এই সিরিজের নাম ভাল বই না বলে বলতে আসলে বলা উচিত ছিলো মনে রাখার মত বই, সেই তালিকায় এই বইটা থাকবে। লেখক স্বয়ং এডলফ হিটলার! যতই ভিলেন হিসেবে এই লোক ইতিহাসে থাকুন না কেন, আমি মনে করি এই একজন মানুষ কিভাবে ভাবতেন, কিভাবে হাজার হাজার (আসলে লক্ষ লক্ষ) মানুষকে কোন যুক্তি ছাড়াই আরো লক্ষ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলতে রাজী করিয়েছিলেন সেটা সবার জানা উচিত। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নাই- ইত্যাদি বলে আমরা যতই মুখে ফেনা তুলি না কেন, হিটলার কিন্তু সেই সব কিছুর উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি মুখে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের ভেতরের পাশবিক প্রবৃত্তিকে এভাবে এই 'সভ্য' সময়ে যে আবার বের করে আনা যায় তার একটা অকাট্য দলিল হিটলার স্বয়ং। এই যুগে এই বইটি আবার পড়া অতি গুরুত্বপুর্ণ কারণ এখন আবার একটা চরমপন্থা চারিদিকে মাথা তুলছে। মানুষ যখন খুব হতাশ হয়ে যায় তখন এই চরমপন্থাকে পুঁজি করে কিভাবে কিছু মানুষ বিভৎস যুদ্ধে মাতে এবং সব মানুষ অন্ধের মত তার পিছনে দাঁড়ায় তার একটা উদাহরণ হিটলার। এই মানুষটা কিভাবে ভাবতো, কিভাবে ধীরে ধীরে পুরো জার্মান (মুলত: আর্য্য) জাতিকে বিশ্বাস করাতে পারল যে তাঁরাই পৃথিবীর সেরা জাতি, অন্যেরা ভাইরাস মাত্র, মানুষের উপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে কিভাবে মেঠো ইঁদুর বনাম ঘরের ইঁদুরের প্রসঙ্গ টানলো তা আসলে পড়া উচিত। পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ঘৃণায় ভরা যত ঘটনা ঘটে চলেছে তা বুঝতে হলে আমার মতে এই মাইন ক্যাম্ফ পড়া উচিত। বইটা এমনিতে একেবারেই ছোট, পড়তে খুব সময় লাগবে না, আর পাওয়া যায় প্রায় সব বড় বইয়ের দোকানেই। নীলক্ষতের ফুটপাতও হিটলারের দখলেই আছে বলা যায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
হ্যাংওভার কাটিয়ে
একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...
-
আইডিয়া পাওয়া বা ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদিকে এখনো আমাদের সমাজে একটা অলৌকিক প্রতিভা হিসেবে ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যও বটে। ত...
-
দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বি...
-
এইবার আমরা হুইলের আসল কাজটা দেখি। মানে রঙ করার সময় এটা আসলে কি কাজে লাগে। একটা ছবি রঙ করার সময় আসলে মূল যে ব্যপারটা মাথায় আগে আনতে হবে সেটা ...
No comments:
Post a Comment