দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বিভাগের একটা (বিজ্ঞান), মোট ৬ টা বইয়ের কাজ শেষ হল। এই মহা-প্রজেক্টের মূল দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। আর স্যার যখন বলেন যে এটি তাঁর জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন প্রজেক্ট তখন প্রজেক্টটার গুরুত্ব কিছুটা বোঝা যাবে আশা করি।
বাংলাদেশের বোর্ডের বইয়ের প্রজেক্ট যে কত বিরাট স্কেলের তা বোঝাতে হলে কয়েকটা পরিসংখ্যান জানা জরুরী। এই বই ছাপা হয় মোট ৩৬ কোটি কপি। শুধু নবম-দশম শ্রেণিতেই মোট শিক্ষার্থী ১৫ লক্ষ! এবং এদের সবার হাতে সব জায়গায় বিনামূল্যে এই বই পৌঁছে যেতে হবে জানুয়ারি মাসের এক তারিখে! এটা প্রায় অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার। আমাদের কারো জানামতে বিনামূল্যে এভাবে এত সংখ্যক পাঠ্যপুস্তক পৃথিবীর আর কোথাও বিলানো হয় না। সেই পাঠ্যপুস্তকের কাজে এবার ডাক পড়েছে আমাদের!
কারোরই ভুলে যাবার কথা না আমাদের পাঠ্যপুস্তকের ইলাস্ট্রেশন আর কন্টেন্টের মানের কী অবস্থা দাঁড়িয়েছিলো। কিছু বই দেখে আমার মনে হয়েছে এতটা অবহেলা নিয়ে যে ছবি আঁকে সে আর যাই হোক শিল্পী নয়। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে এত অবহেলার প্রভাব কি ভয়ানক সেটা ভাবলে আঁতকে উঠতে হয়। ড্রয়িং বা গ্রাফিকাল প্রেজেন্টেশন বইয়েরই অংশ, এবং অনেক গুরুত্বপূর্ন অংশ। সেটা ভাল হলে শিক্ষার্থীরাও ভাল মত বুঝবে ও শিখবে। স্কুলে আমি নিজে খুবি পঁচা ছাত্র ছিলাম, আমি সব কিছুই অনেক দেরীতে বুঝতাম আর সে জন্যে ক্লাসে একটা হাসাহাসিও হত। আমার তখন বেশ রাগ হত, কারণ আমি জানতাম যে এটা বুঝে ফেলছে তার আই কিউ আমার চেয়ে বেশী না। পরে এইচ এস সি তে ওঠার পর আমি একেবারে নিজে নিজে সব বই বুঝে বুঝে পড়া শুরু করি আর তখন আমি আবিষ্কার করি আমাদের বইয়ে সহজ জিনিস গুলি কী কঠিন করে দেয়া আছে। আমি অসংখ্য ডায়াগ্রাম আর চিত্র নিজে বোঝার জন্যে সহজ করে এঁকে নিতাম। এমনকি স্যারদের জিজ্ঞেসও করতাম যে এটা এভাবে না এঁকে এভাবে আঁকলে কি হয় কি না? উত্তর পেতাম- 'বইয়ে যা আছে তাই কর।' বইয়ের প্রতি এই অন্ধ আনুগত্য আর ভুল থাকলেও সেটা মেনে নেবার প্রবণতা দেখলে খুবই বিরক্ত লাগতো। মনে মনে ভাবতাম কখনো যদি এই কাজটা আমি করতে পারতাম।
আমার জীবনের আরো অনেক ঘটনার মতই এবারেও যেটা মনে মনে ভেবেছি সেটা জুটে গেল! ২০১৭ এর জানুয়ারিতে স্বয়ং মুহম্মদ জাফর ইকবাল ফোন দিয়ে বললেন
- টেক্সট বইয়ের ইলাস্ট্রেশন করতে পারবে? সাথে বুক ডিজাইন?
- টেক্সট বইয়ের ইলাস্ট্রেশন করতে পারবে? সাথে বুক ডিজাইন?
পারবো না মানে? আবেগাপ্লুত হয়ে কী করব বুঝতে না পেরে দুইদিন ঝিম মেরে থাকলাম। তারপর প্রথম মিটিং এ গিয়ে পরে বিশ্বাস হল কাজটা আসলেই করছি।
প্রথম মিটিং জানুয়ারি ২৭, ২০১৭। ইয়াসমীন ম্যাডামের মায়ের বনানীর বাসায় আমরা সবাই। |
একই ছবি, খালি আগেরটার ক্যামেরাম্যান হিসেবে থাকা তাম্রলিপির প্রকাশক রনি ভাই বাদ পড়েছিলেন, উনি এবারে মাঝখানে |
এবং প্রথম মিটিং এ আমরা আবিষ্কার করলাম কাজটা এত সহজ না। কারণ এনসিটিবির কাছে কোন বইয়ের সফট কপি নাই! মানে এতদিন যা যা টাইপ করা হয়েছিল তা আবার টাইপ করতে হবে। এবং সেই সাথে তাদের কোন ইউনিকোড বেইজড ফন্ট ও নাই। তার মানে আমাদের এমনকি ফন্ট ও তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমি ভুলে যাচ্ছিলাম এই কাজের মূল মানুষটার নাম জাফর ইকবাল। আমাদের কাছে যা অসম্ভবের কাছাকাছি তাঁর কাছে আসলে সেটা খুবই সহজ, কারণ উনি যদি একবার বলেন তাঁর একটা ফন্ট লাগবে, সেটা বানানোর জন্যে অসংখ্য তরুণ ফন্ট নির্মাতা চলে আসবে। এবং সত্যি সত্যি 'অভ্র' খ্যাত সিয়াম রুপালি ফন্টের সিয়াম চলে এসেছে। প্রথম মিটিং এ ফন্ট নিয়ে এত কথা বলার দুটো কারণ।
১. বইগুলি কাজ শেষে ইন্টারনেটে দিলে সেটা ইউনিকোডে না হলে পড়া যাবে না।
২. এনসিটিবির খুবই অদ্ভুত যুক্তাক্ষর রীতির একটা ফন্ট আছে সেটা আর কোথাও নেই, তার মানে আমাদের ঠিক সেটার কপি একটা ইউনিকোড বানাতে হবে।
সিয়াম অসাধ্য সাধন করলো, সেই অদ্ভূত ফন্টের রেপ্লিকা বানিয়ে ফেললো। আর ওদিকে স্যারের সাথে বুয়েটের স্বনামধন্য কায়কোবাদ স্যার মিলে বইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্য বই সহজবোধ্য/ সুখপাঠ্য করা, ও নির্ভুল করা। তাই লেখকেরা যে আমূল পালটে ফেলবেন সব বই তা হয়নি। কিন্তু যা হয়েছে আমার মনে হয় না এর আগে এনসিটিবির আন্ডারে অন্য কেউ এইটুকু স্বাধীনতাও পেয়েছে। আমরাও আঁকিয়ে হিসেবে ভাগ্যবান। কার্টুনিস্ট মিতু আগেই পাঠ্যবইয়ের কাজে সিদ্ধহস্ত। বেশ কয়েকটা বইয়ের ইলাস্ট্রেশন সে আগে করেছে, কিন্তু সেগুলি ছিল যাকে বলে অন ডিমান্ড। বলে দেয়া থাকবে কী আঁকতে হবে, আর সেটা এঁকে দিতে হবে। এবারের ব্যাপারটা পুরোই আলাদা। পুরো দায় আমাদের মাথায় আর বই গুলো বিজ্ঞান বিভাগের। মানে কোন তথ্যগত ভুল থাকা আবে না। উদাহরণ দেই, হয়ত একটা ড্রয়িং আছে, একটা বাচ্চা ঘুড়ি উড়াচ্ছে। সে এখন যেইভাবে ইচ্ছা ঘুড়ি উড়াতে পারে, ছাদে-মাঠে-ঘাটে যেখানে ইচ্ছা, ঘুড়িটাও যে কোন রঙ্গে যে কোন ঢঙ্গের হতে পারে। কিন্তু এখানে যেমন আঁকতে হবে কিডনির প্রস্থচ্ছেদ! বোঝো এবার। এবং এই প্রথম আমরা জানতে পারলাম আগের বইয়ে এমনকী আমরাও যা যা পড়ে এসেছি সেগুলিতে বেশ কিছু ভুল আঁকা তো ছিলোই, সাথে ছিলো দুর্বোধ্য এমবিবিএস লেভেলের টেক্সট বই থেকে সরাসরি কপি করা জটিলতম ড্রয়িং, যা ডাক্তার হবেন এমন কেউ ছাড়া কাজে লাগার কোন কারণ নেই। পদার্থবিজ্ঞানের জন্যে আছে স্যার স্বয়ং। এবং তাঁর 'ড্রাফট' করে দেয়া আঁকাগুলি আমাদের ফাইনালের চেয়ে সহজবোধ্য। স্যার তরুণ বয়সে কার্টুন আঁকতেন, এই প্রজেক্টে গিয়ে আবিষ্কার করেছি আঁকাআঁকি নিয়ে তাঁর আইডিয়া খুবই উঁচুমানের, খুবই নিপাট। যাই হোক, আমরা বিপদে পড়লাম জীববিজ্ঞান নিয়ে, গুগল ঘেঁটে আর অন্যান্য টেক্সট বই ঘেঁটে মোটামুটি নামিয়ে দেবার পরে দখা গেল বেশ কিছু ভুল তাও রয়ে গেছে। আমাদের হাতের কাছের ডাক্তার ও পিজি হাসপাতালের শিক্ষক ডা: রোমেন রায়হান- অর্থাৎ কিনা রোমেন ভাই- তাঁর শরণাপন্ন হয়ে বেশ কিছু কনফিউশন কাটলো। ওদিকে কেমিস্ট্রির টেস্টটিউব, পরমাণুর ঘূর্ণন, নল, বিকার ইত্যাদি নির্বিকার চিত্তে এঁকে ফেলছে আসিফ। পদার্থবিজ্ঞানের বোরিং ডায়াগ্রাম ধরিয়ে দিয়েছি কার্টুনিস্ট রোমেলের হাতে। সে আমাকে না করতে পারে না বলে সুযোগ নেয়া। আর এদিকে আমি আর মিতু আমাদের পাশাপাশি চেয়ারে বসে এঁকে চলেছি জীববিজ্ঞান আর বিজ্ঞান বই। সত্যি বলতে আমরা পূর্ণ কাজ করেছি এই দুইটা বইতেই। গণিতের দুই বই কায়কোবাদ স্যার তাঁর টিম নিয়ে করেছেন, সেখানে আমাদের হাত দিতে হয় নি। পদার্থবিজ্ঞানে খালি এঁকেছি, সেটার পেইজ মেকাপও জাফর স্যার নিজে করেছেন। তাঁর যুক্তি ছিল কোথাও কোন লাইন না আঁটলে তিনি ঠাস করে দুই এক লাইন ডিলিট মেরে মিলিয়ে দিতে পারবেন দিতে পারবেন, কারণ সেটা তাঁরই লেখা। আমরা সেটা পারব না। আসলে তিনি আমাদের কাজের প্রেশার কমাতেই এটা বলেছেন সেটা বুঝলেও তাঁর ওপরে আর কথা নেই। দিনের পর দিন এই কাজের ফাঁকে আমি নতুন করে আরেকজনের ভক্ত হয়ে গেছি, তাঁর নাম ড: ইয়াসমীন হক। এমন প্রাণচঞ্চল ভালো মানুষ আমি খুব বেশী দেখিনি।
এই প্রজেক্ট চলাকালীন কতবার ভেবেছি কী কী লিখব প্রজেক্ট শেষে, সত্যি বলতে এখন কেমন খেই হারানো লাগছে। আসলে এত এত ঘটনা এত এত কাজ, কার কথা রেখে কার কথা লিখব। কেমিস্ট্রি বইয়ের অন্যতম লেখক বিদ্যুৎ স্যারের কথা বলব? সেটাই একটা বই হয়ে যাবে। জীববিজ্ঞনের লেখক ড: সৌমিত্রকে নিয়ে বলব? পেইজ মেকাপের জন্যে মাহবুব ভাই কত গুলি ছুটি নষ্ট করে দিনের পর দিন কাজ করেছে তা বলব? আসলে কোনটাই এইটুকু জায়গায় বলা যথেষ্ট হবে না, তাই সেই চেষ্টা বাদ দি'। কাজটা আমরা সময়মত শেষ করতে পেরেছি এটাই বড় কথা। কেমন হয়েছে সেটা শিক্ষার্থীরাই দেখবে, তাদের জন্যে বই সহজবোধ্য হলেই আমরা সার্থক। বই সহজ হলে প্রাইভেট পড়া বা কোচিং যদি কিছুটাও কমে সেটাই প্রাপ্তি। আমাদের মান্ধাতা পদ্ধতির মুখস্থ কেন্দ্রিক পড়াশোনার কালচার যদি কিছুটাও কমে তবেই হল।
এই কাজে আরেকটা উপলব্ধির কথা বলে শেষ করি। জাফর স্যারের আমি অনেক আগে থেকেই ভক্ত। কিন্তু এই কাজে এসে আমি কিছু জিনিস তাঁর থেকে শিখে আরো বড় ভক্ত হয়ে গেছি। তাঁর অসম্ভব মনের জোর, আর কাজের স্পৃহা। এটা এবনরমাল। উনি সকাল ১০ টায় কাজে বসে টানা রাত ১১ টা পর্যন্ত একইভাবে বসে কাজ করেন, আমি আর মিতু একটু পরেই মোচড়ামুচড়ি শুরু করি কিন্তু তিনি একইভাবে বসা। এবং সেটা একদিন না, মাসের পর মাস! এর মাঝে স্যার আর ম্যাডাম দুইজনেরই পালাক্রমে চিকুনগুনিয়ায় ধরলো। এই ভয়ানক অসুখের মধ্যেও তাঁরা কাজ করেছেন। অবিশ্বাস্য মনের জোর আর ডেডিকেশন না হলে এটা সম্ভব না।
যাই হোক, পোস্ট আর লম্বা করা যাচ্ছে না, তার চেয়ে বরং কিছু ছবি দেয়া যাক ধারাবাহিকভাবে।
ঢাকা কমিক্সের স্টুডিওতে কাজ চলছে |
স্যারের সাথে মিতু |
স্যারের সাথে আমি (অনেক কাজ করছি এমন একটা ভাব ধরার চেষ্টা) |
স্টুডিও, ডানদিকে মাহবুব চাই, মাঝে আসিফ |
অবশেষে কম্পিউটার পৃন্ট করে বইএর ডামি প্রস্তুত। সর্বডানে সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ ভাই। ডামি বই বাঁধাই এর গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করে দিয়েছেন। |
১২ সেপ্টেম্বর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে স্যার আমাকে ও মিতুকে বললেন শিক্ষামন্ত্রীকে বইয়ের সিডি তুলে দিতে। শিক্ষামন্ত্রী শুধু যদি জানতেন কী পরিমাণ কার্টুন আমরা তাঁকে নিয়ে এঁকেছি! |
কাজ শেষে গ্রুপ ছবি। মাহবুব ভাই খালি নাই। ডান থেকে কার্টুনিস্ট রোমেল বড়ুয়া, কার্টুনিস্ট আসিফ, ইয়াসমীন ম্যাডাম, জাফর স্যার, মিতু, আমি আর সিয়াম |
বইগুলির কভার বসিয়ে করা মক-আপ গ্রাফিক্স। |
বাঁয়ে আগের ড্রয়িং ডানে আমাদের। |
সুন্দর করে দাঁত আঁকার পর স্যার ঘেঁটে দেখলেন কারিকুলামে আছে পরিপাকতন্ত্র, দাঁত তার একটা অংশমাত্র, কিন্তু বইয়ে আছে অসংখ্য দাঁতের ড্রয়িং আর লেখা, যা না থাকলেও ক্ষতি ছিলো না। |
আগের ড্রয়িং এখনকার ড্রয়িং, ব্যপারটা শুধু 'সুন্দর' করা ছিলো না। আরো যথার্থ ও সহজবোধ্য করাটাই ছিলো চ্যালেঞ্জ। এটা মিতুর আঁকা। |
মিতুর আর একটা কাজ। রেফারেন্স হিসেবে যা পাওয়া যায় সেটা আঁকলেই কিন্তু চলছে না, কারণ সেটায় আবার এতই ডিটেইল থাকে যা আবার এই বইয়ের মূল টেক্সট এ নাই। |
আগের ডিএনএ বনাম এখনকার ডিএনএ, এখন বেশী প্রোটিন :P |
আগের বইয়ে শুধু তীর চিহ্নের ডায়াগ্রাম ছিলো, এখন কমপ্লিট করে রক্ত সংবহন বোঝানো হল। এটা একই সাথে একটা পেইজের উদাহরণ। |
ওপরে আগের ড্রয়িং, আর নতুন ড্রয়িং আরো পলিটিক্যালি কারেক্ট করার চেষ্টা |
রেশম তৈরির প্রক্রিয়া, আগের ড্রইং ওপরে, আমাদেরটা নীচে |
Super super super awesome ! Proud of you guys ! :D :D
ReplyDeleteThanks Manik-Ratan :D
Deleteআপনার ফোন নম্বরটা দিন, প্লিজ!
Deleteদারুণ উদ্যোগ ভাইয়া, অপেক্ষায় রইলাম নতুন বাংলাদেশের...
ReplyDeleteআমরাও
Deleteএকটু তথ্যগত ভুল আছে। মোট বইয়ের সংখ্যা ৩৬ কোটি সেটা ঠিক আছে। কিন্তু মোট শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১৫ লক্ষের অনেক বেশি! (৫ কোটির কাছাকাছি খুব সম্ভব!!)স্পেসিফিকভাবে বললে, গেল বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশই নিয়েছে মোট ১৩,০০,২৮৪ জন শিক্ষার্থী! মানে শুধু নাইন-টেনে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৫ লক্ষের মত!!!
ReplyDeleteJi acca
Deleteজীববিজ্ঞান* হাসপাতালে* । দুটো টাইপো, প্রুফ রিড করে দিলাম বিনা পয়সায় ��।
ReplyDeleteকি অসাধারণ সুন্দর হবে এবারের বই গুলি ☺️☺️☺️
অনেক ধন্যবাদ
Deleteঅসাধারন। ছবিগুলো দেখতেই ভাল লাগছে । পড়তে নিশ্চয়ই আর ও ভাল হবে।
ReplyDelete:D অবশ্যই।
Deleteনতুন প্রজন্মের উপর জেলাসি কাজ করছে! কি সুন্দর কিছু বই পড়বে এরা। এটা নিয়ে আরো ডিটেইলস লিখেন পালা করে।
ReplyDeleteআগামী কয়দিন ছুটিতে আছি। তবে লিখব আবার।
Deleteঅসাধারণ!ভাই বইগুলির ডামি কপি কি পেতে পারি?
Deleteঅসাধারণ .....
ReplyDeleteঅনেক অনেক ধন্যবাদ।
:D
Deleteআপনারা আছেন বলেই, আমরা এখনও স্বপ্ন দেখি
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteপড়ে মুগ্ধ হলাম এবং একজন বিজ্ঞানের শিক্ষক হয়ে বইটি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
ReplyDeleteধন্যবাদ পুরো টিমকে অসাধারণ একটি কাজ করার জন্য এবং বিজ্ঞানকে সহজ করার জন্য...
ধন্যবাদ আপনাকেও
Deleteঅভিনন্দন এবং ভালোবাসা
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteঅবশ্যই পড়ে দেখবো।
ReplyDeleteJoss! But feeling jealous! As I passed class 9 3 years ago :(
ReplyDelete:/
Deleteঅসাধারণ কাজ ভাইয়ারা... সত্যিই অসাধারণ। কবে যে আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবো।
ReplyDeleteধন্যবাদ , হবে একদিন :D
Deletevery proud of you, mehdib bhai. congratulations! and thanks for doing this.
ReplyDeleteধন্যবাদ রুবাইয়াত :D
Delete:)
ReplyDeleteসফট কপি কোথায় পাওয়া যেতে পারে?
ReplyDeleteঞ্জানুয়ারি, ২০১৮'র ১ তারিখ থেকে সরকারী ওয়েবসাইটে থাকবে।
Deletegreat work ever
ReplyDeleteঅসংখ্য ধনবাদ মেহেদীভাই এটি অসধারণ করা করার জন্য। এটি শুধু জাতির জন্য না, আপনার পেশাগত জীবনেও সফলতা আসবে। সৎ ও যোগ্য মানুষের জয় হবেই। আমি ১০ বছর পূর্বে 'দেবদাসের যক্ষাজয়' এই কমিক্স বইটা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। জয়তু...
ReplyDeleteবলেন কী? সেই বইয়ের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ।
Deleteবাংলাদেশে পাঠ্য পুস্তক আপডেটে সুখবরটা জেনে আমার মনে আনন্দধারা বইছে।
ReplyDeleteআরেকটা ভালো কাজ করার দরকার । ভালো শিক্ষক তৈরী করা , না পারলে ৫০ বছর আগের সৎ ও স্মার্টফোনহীন শিক্ষক পেলে মন্দ হবে না। ১৫০-২০০ বছর পূর্বের হাবাগোবা কিন্তু তুখোর শিক্ষক-আর্চায্য প্রথা আনতে পারলে তো আসাধারণ হবে আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি। রবীন্দ্রনাথের জীবন ও প্রকৃতি নির্ভর শিক্ষাপদ্ধতি অসাধারণ ছিল! কিন্ত বাঙালী পাত্তাই দিল না, অথচ জাপানীরা গ্রহন করলো আধুনিকরুপে!
আজ জাপানে ১০০ ভাগ মানুষ সুশিক্ষিত, স্বশিক্ষিত সৃজনশীল, সৎ ও স্মার্ট! বাংলাদেশের শিক্ষাপদ্ধতি উন্নত হলে - বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না! যেমনটা পারেননি - জাপানের। ২য মহাযুদ্ধের পর থেকে, গত ৬০+ বছর ধরে মিডিয়া, সরকার, করপোরেট প্রমুখ সবার প্রথম ও প্রধান কেন্দ্র শিক্ষা, সেবা ও অধিকার উন্নয়ন! গনতন্ত্র, নিরাপত্তা ও সুশীলতা এখন জাপানের ঘরে ঘরে; যার দ্বিতীয় উদাহরন পৃথিবীতে নেই, এমনকি দাপটি আম্রিকা-যুক্তরাজ্যেও না! বাংলাদেশ নিয়ে আমার আশা-স্বপ্ন আছে; থাকবে আজীবন।
এই দেশে অনেক যোগ্য ও ভালো মানুষ আছেন, তাঁদের কারনে আমরা সামনে এগোবৈ, যা ভেবেছেন সেটাও হবে একদিন।
DeleteYou guys did a great job! Keep doing that. Onek doa.
ReplyDeleteIt was a team word led by one and only Zafar Iqbal sir.
Deleteপিকচারগুলু আরও জটিল হয়েছে। স্টুডেনটরা যখন আঁকবে তখন অনেক টাইম নিবে।
ReplyDeleteএটা আমাদেরও মনে হয়েছে, সে জন্যে যেগুলি পরীক্ষায় আঁকতে হবে সেগুলি আমরা আরো সহজ রেখেছি। জটিল যা দেখছেন সেগুলি আসলে আঁকতে হয় না। আর সহজবোধ্য করতে গেলে একটু ডিটেইল আসবে। আমি নিজে আগের অনেক 'সহজ' ড্রয়িং দেখে বুঝতাম না। আন্দাজে মুখস্ত করতাম। আশা করা যায় এবারে অন্ত বোঝা সহজ হবে।
Deleteদারুন অর্জন মেহেদি ভাই!
ReplyDeleteশুভকামনা নিরন্তর...
ধন্যবাদ দীপ ভাই
DeleteA tremendous work. Hope this will work for the students & most hopefully the education ministry will go on with these books for a long considerable time, not changing it every year.
ReplyDeleteBest of luck :)
that's a very important point, thanks.
DeleteVaiya boi lgular soft copy ta ki internet e pabo?
ReplyDeleteYes, from January 2018
Deleteকি সুন্দর!!! কি সুন্দর!!! কি সুন্দর!!! কি সুন্দর!!!
ReplyDeleteডিএনএ এর প্রতি খাঁজে নাইট্রোজেন বেসজোড় থাকে দশটি করে। আঁকার বেলায় সাতটি করে দেখালেও মানা যায়। কারণ টুইস্ট এর কারণে ২-৩টি দেখা না যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জীববিজ্ঞান বইয়ের কাভারে দেখানো হয়েছে তারচেয়েও কম।
ReplyDeleteCover is a symbolic graphics. Students will read the inner text and diagrams. Like in science we have drawn a conceptual microscope- not real.
Deleteমনে হচ্ছে দারুণ কিছুই হয়েছে....
ReplyDeletebooks gula ki pdf akare pawa jabe??? pawa gele link ta ektu diben???
ReplyDeleteপাওয়া যাবে, জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে
Deleteঅসাধারণ উদ্যোগ
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteএত চমৎকার বই গুলো সব বের হবে আমি পাশ করে যাবার পর। ইচ্ছা করছে আবার ক্লাস নাইনে ভর্তি হই। যাই হোক আমি পড়তে পারি নি তো কি হয়েছে? আমার পরে যারা আসবে তারা বইগুলো খুব আনন্দ নিয়ে পড়বে। এটা ভেবেই শান্তি লাগছে। কর্তৃপক্ষের উচিত সব ক্লাসের সব বই জাফর ইকবাল স্যারের এই টিমকে দিয়ে তৈরি করানো। যারা এই বই গুলো করেছেন শিক্ষার্থীরা তাদের হয়ত চিনবে না কিন্তু প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতের ভালোবাসার স্পর্শ ঠিকই পৌঁছে যাবে মানুষ গুলোর কাছে। শুভ কামনা আমার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য।
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteআচ্ছা, ক্লাস নাইন এর পুরনো বই এর বদলে কি ক্লাস টেন এ আবার নতুন বই বিতরন করা হবে?
ReplyDeleteএবারে যারা নাইন থেকে টেন এ উঠবে তারা সম্ভবত আগের বইতেই থাকবে।
DeleteWhat's about the book for English Version?
ReplyDeleteসেটার কাজও চলছে। খালি ভাষা পাল্টাবে।
Deleteশুভ কামনা
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ
Deleteকাজের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে অভিনন্দন।
ReplyDeleteএখনকার ইন্টার, নবম -দশম শ্রেনির বিজ্ঞান বিভাগের বই এ অনেক কিছু নেই। যা হয়ত অপ্রয়োজন মনে করে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশের স্কুল,কলেজের শিকক্ষ রা সেই পুরানো বই, পুরানো সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন করে।
তাই শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়েই স্যারদের শিট,পুরনো বই,স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়তে হয়।
এই ব্যাপার এ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এটা একটা বাস্তব সমস্যা। এবারের বই সহজবোধ্য করার সেটাও একটা কারণ ছিলো যাতে অকারণ প্রাইভেট কোচিং করতে না হয়। তবে এটা একবারে সব হয়ে যাবে এমন না। ধাপে ধাপে সবই ভালোর দিকে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
DeleteOsthir hoise :D
ReplyDeleteIccha hoy 9-10 e abar bhorti hoi :(
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeletegreat job... thanx to all the members of the team. and where there is Jafor sir, job itself will be perfect.....
ReplyDeleteবইগুলা যে অসম্ভব ভাল মানের সেটা ছাত্র হিসাবে না পড়ে বুঝতে পারা দুষ্কর।
ReplyDeleteSSC দিসি ২০১৭ তে। কি কচুর পড়ালেকা! আমি এক স্টেজ পার হই আর নেক্সট ইয়ারেই বই আপগ্রেড হয়! মনে খালি কষ্ট আর হিংসা! :V
ReplyDelete৭ এ উঠসি আর প্রাইমারি সব বই রঙ্গীন! এবার SSC দিয়া যেই ভয় পাচ্ছিলাম সেটাই সাধন হইল!
এমন একটি ভাল কাজের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।
ReplyDeleteস্যার আমার একটি প্রশ্ন ছিল,গ্রন্থ অলংকরণ আর বুক ইলাস্ট্রেশন কি একই জিনিস? প্রচ্ছদ কি গ্রন্থ অলংকরণের অংশ?