December 24, 2015

Coloring for CK Zaki

একটা নতুন স্টাইল এডাপ্ট এর চেষ্টা করছি আমরা ঢাকা কমিক্স থেকে। সিকে জাকি সিরিজের মৃত্যুপাথার সিরিজের শেষ বই, আগামী পরশু উন্মা-জেসিসি কমিককন এ আনার ইচ্ছা (!)। আরাফাত এর অসাধারণ পেন্সিলিং, তার ওপরেই হালকা জল রঙ আর ওপেক ইলিউশনের মত করে ধুপ ধাপ কালার। এই ধরনের স্কেচি আর্ট এর ওপর ডিজিটালি রঙ করাটা বেশ চিন্তাভাবনার ব্যাপার, বারবার হিউ স্যাচুরেশন দেখে দেখে এডযাস্ট করছি। ওদিকে কালকের মধ্যে নাআমতে হবে আরো ১৫ পৃষ্ঠা! পোমদাইরো স্টাইলে টাইম শিডিইউল করে করে কাজ নামাচ্ছি। যা-তা অবস্থা।
লাইফ ইজ গুড :)



December 23, 2015

Dinosaur Egg and MANHA

WE have made a dinosaur Egg. My elder nephew MANHA painted the whole thing. (Hope my awaiting 4 book's publisher would not notice this post :p)

December 16, 2015

Machete and Mangastudio 5

I had been suffering from -not knowing Manga 5-thing while drawing a big comic book project recently with fabulous RIOkiddo. Just have watched MACHETE KILLS and felt like Danny Trejo and Manga 5 somehow matches in attitude. started exploring the sci-fi version after that. (watercolor brushes seems so weird until now.)

December 01, 2015

আমার প্রথম ( ছাপা হওয়া) কমিক্স

কলকাতার দীপন পত্রিকার জন্যে একটা লেখা তৈরী করেছি ক'দিন আগে। জুলফিকার নাইয়া নামের এক ভদ্রলোক সেটার সম্পাদক। বেশ নিপাট ভদ্রলোক। সেই কলকাতা থেকে ফোন করে করে লেখাটা আদায় করে নিলেন। সেই সাথে তাঁর পত্রিকার আরেকটা লেখার জন্যে নিজের সংক্ষিপ্ত কমিক্স সম্পর্কিত সিভি তৈরী করতে গিয়ে খেয়াল করলাম আমার প্রথম কমিক্স আসলে বের হয়েছে সেই ১৯৯৯ সালে। আহসান হাবীব সম্পাদিত 'মৌলিক' নামের সায়েন্স ফিকশন পত্রিকায়। তখন আমি ক্লাস টেন এ পড়, বয়স ষোল। আমার পুরোনো ডায়েরী ঘাঁটতে গিয়ে সেটার কপি খুঁজে পেলাম। কমিক্স দেখে মনে হল এই ক' বছরে খুব একটা এগোতে পারিনি। পুরানো কাজ খুঁজে পেলে কেমন অদ্ভূত অনুভূতি হয় - অনেকটা সময় পরিভ্রমণের মতন উত্তেজনা। যাই হোক, কমিক্সটা তুলে দি', 









November 30, 2015

Old drawings

Just found some old sketches during cleaning my heavy mail inbox. I almost forget some projects :D




November 29, 2015

ফেইসবুক ব্যান

দেশে ফেইসুক বন্ধ (আবার)। আমি খুশী। প্রতিদিন ঘন্টাখানেক বেঁচে যাচ্ছে। 

November 22, 2015

Sample free comics for website

ISSU ডট কম এ আপ করা শুরু করেছি কমিক্স এর স্যাম্পলস। পরে আরো আসছে।

Dhaka Comics promo

যদ্দুর দেখা যাচ্ছে অনেক কিছুই ব্লগ এ শেয়ার করা হয়নি। ঢাকা কমিক্স এর জন্যে দারুণ একটা ভিডিও প্রমো তৈরী করে দিয়েছে সিনেকিচেনের কিছুতরুণ নির্মাতা। আমি যথেষ্ট মুগ্ধ তাদের কাজ দেখে। আপাতত এই ভার্সনটাই চলুক, আরো কাজ আসছে।

October 07, 2015

রাজশাহীতে দিনযাপিতঃ অক্টোবর ২০১৫


ওয়ার্কশপ শেষে সবাই
ডান থেকে তাশফি, অন্তু, অয়ন, রনো, সাইফ, মিতু (পিছনে) সব্যসাচী মিস্ত্রী, আমি, আকিব
দারুণ একটা সেশন কাটালাম রাজশাহীতে। রাজশাহী চারুকলার প্রতিভাবান আসিফ কবির চৌধুরী ওরফে 'রনি' র স্মরণে এই কনসেপ্ট আর্ট ওয়ার্কশপ। ছিলাম আমি, সব্যসাচী মিস্ত্রী আর কার্টুনিস্ট মিতু। 

রনি ছেলেটা অসাধারণ প্রতিভাবান ছিল, আঁকাআঁকি শেখার জন্যে তাঁর চেষ্টা দেখার মত ছিল। তাঁর একমাত্র প্রকাশিত কমিক্স সম্ভবত আমাদের ঢাকা কমিক্স এর সংকলনটাতেই হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর মাত্র কিছুদিন আগে ফোনে প্রথম তার সাথে আমার কথা হয়। সে কারণেই পরে তার মৃত্যুর খবরটা খুব মনে দাগ কেটে যায়। মজার ব্যাপার হল বেঁচে থাকতে সব্যদা' কে আর আমাকে সে একাধিকবার রাজশাহীতে যাবার জন্যে বলেছিল, আমাদের তখন যাওয়া হয়নি। সে মরে গিয়ে আমাদের ঠিকই নিয়ে গেলো, এবং তাঁর যেটা বাসনা ছিল তাকে কেন্দ্র করে সেটা শুরুও হল। ঢাকার বাইরে ইভেন্ট এত কম হয় যে আমাদের এই ইভেন্ট এ রাজশাহী শহরের তরুণেরা পুরো দল ভেঙ্গে চলে এল। শ' খানেকের উপরে মানুষ হওয়ায় শেষে অনেকে জায়গাও পায়নি।

এই পুরো আয়োজনে জান প্রাণ দিয়ে খেটেছে রাজশাহীর এক ঝাঁক তরুণ, তার মধ্যে অয়ন, সাইফ, রনো, তাশফি, অন্তু, শুভ্র (এবং আরো যাদের নাম ভুলে গেছি) বেশ কষ্ট করেছে কাজটা করতে। বেচারাদের এমন আয়োজন সম্ভবত এই প্রথম। ওয়ার্কশপটা হয় রাজশাহীর আমেরিকান কর্নার এ। ঢাকার আমেরিকান সেন্টার এর রুশদী ভাই এ ব্যাপারে অয়নদের দারুণ সাহায্য করেছেন, তাঁকে ধন্যবাদ।
প্রগ্রামের শেষ চেরি অনদ্য টপ হিসেবে ছিলো 'স্বরব্যাঞ্জো' এক্যস্টিক ব্যান্ড এর অসাধারণ গান। আমি তাদের ভক্ত হয়ে গেছি ইতিমধ্যে।

সব শেষে এটা বাৎসরিক একটা আয়োজন করে ফেলার একটা সিদ্ধান্তে সায় দিয়ে সব্যদা' আর আমি ঢাকা ফেরত চলে এলাম।

ওয়ার্কশপের ব্যনার
আমেরিকান কর্নার এর সামনে, র‍্যাশনাল সব্যদা' গরমের পোশাকে, কলোনিয়াল হ্যাঙ্গোভার কাটিয়ে উঠতে না পেরে আমি ফর্মাল হবার চেষ্টারত।

রনি
যেন মরে গিয়ে আমাদেরকে আনতে পেরে হাসছে পেছনে বসে।

মিতু ডিসক্লেইমার দিচ্ছে যে সে কনসেপ্ট আর্টিস্ট না।

রনির কাজ ডিস্প্লে করা ছিল চারদিকে

 অবসর পেলেই আমরা আমেরিকান কর্নারের বইটই ঘেঁটে দেখছিলাম

ভীড় এর একাংশ


ইন্সট্যান্ট আঁকা সব্যদা'-০১

ইন্সট্যান্ট আঁকা সব্যদা'-০২

রাজশাহী শহরের ঢপকল নামে রানী ভবানীর বসানো পানির জালা থেকে আমার সাই-ফাই কনসেপ্ট আর্ট এর চেষ্টা


স্বরব্যাঞ্জো টিমের সাথে

September 28, 2015

Comics pencilling

Drawing in Mangastudio ex 4. I prefer HARD type pencil for this stage.

Ruhan Ruhan 03


দেখতে দেখতে আবার (নিজের সেট করা) ডেডলাইন চলে আসছে। দিনরাত এঁকে শেষ করছি রুহানের ০৩ নম্বর ইস্যু।

September 24, 2015

চোরাড্যাকটাইল

দাদু-নাদু আঁকছি, আঁকার মাঝে ফান ক্যারেক্টার, চোরাড্যাক্টাইল।

September 15, 2015

from recycle bin

Just found these two illustrations before cleaning my recycle bin. This one was done for KIA a kid;s magazine and the below placed one was done for nothing: just a quick essence drawing of the singer Shayan

September 13, 2015

Random panel

I am cleaning my desk and found so many synopsis done for comic books. A quick panel fro one of those write ups. Life is good!

এনিমেশন, কী কেন ও কিভাবে?

এনিমেশন কী সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলে সেটা হাস্যকর হয়ে যেতে পারে। গুগলের দুনিয়ায় যখন ঘরে ঘরে টিভি, হাতে হাতে ট্যাব আর সারি সারি এনিমেটেড মুভি, গেমস খেলছে সব 'স্মার্ট' ছেলেবুড়ো আর মেয়েরা তখন হঠাত উড়ে এসে জুরে বসে চশমার ডাঁট ঠিক করতে করতে এনিমেশন কী জিনিস সেটা নিয়ে গুরু গম্ভীর আলোচনা শুরু করতে গেলে কেউ 'খাবে' না। তারপরেও যেহেতু লেখাটি এনিমেশন নিয়ে সেহেতু বলে রাখা যাক যে মানুষের বানানো যে কোন ভিজুয়াল সেট এ (ড্রয়িং ই হতে হবে এমন না) যদি কোন মেশিন (মূলত কম্পিউটার) এর মাধ্যমে গতি যোগ করে তা দিয়ে একটা গল্প বলা হয় তবে সেটা এনিমেশন। আসলে এনিমেশন মানে যেটার মোশন আছে এমন কিছু। আমরা এখানে এনিমেশন বলতে কার্টুন এনিমেশন কেই বোঝাচ্ছি, আর সেই কার্টুন এখন আর টম এন্ড জেরিতে আটকে নেই। সেই গণ্ডি ছাড়িয়ে চলে গেছে আরো অনেক দূর। আজকালকার হলিউডি প্রায় সব মুভিতেই ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট আকারে যা ব্যবহার করা হয় তা কোন না কোন রকম এনিমশনই বটে। এবারে আমরা ব্যাপারটা আরেকটু ডিটেইলে বোঝার চেষ্টা করি-
(না বুঝলেও অবশ্য ক্ষতি নেই।)

আগের কথা
আমরা আজকের যেই এনিমেশন দেখি সেটার উৎপত্তি কিন্তু অনেক আগেই। যেই মূল ব্যকরণটা মেনে এই যাদুকরী জগতটা তৈরী করা হয় সেটা আসলে খুবই সরল। মানুষের চোখ একটা বস্তু তার সামনে থেকে সরিয়ে নেবার পরেও ০.০১ সেকন্ড দেখতে পায়। (অনেকেই হয়ত দর্শনানুভূতির স্থয়িত্বকাল শব্দটা অনেক কষ্টে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ক্লাস নাইন টেনে পড়ে থাকবেন। এটা সেই জিনিস।) এই ছোট্ট ব্যকরণ এর ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এই যাদুর জগত। একেবারে আদিম এনিমেশনের কথা যদি জানতে চান তবে আমাদের চলে যেতে হবে গুহাচিত্রে। মিশরের প্যাপিরাসে পাওয়া বেশ কিছু হায়ারোগ্লিফিক আসলে আজকালকার এনিমেশন বা কমিক্স এর একেবারে প্রাথমিক রূপ। মানে সেখানে একটা ঘটনা দৃশ্যের পরে দৃশ্য এঁকে যাওয়া হয়েছে। যেমন নিচের ছবিটা মিশরের 'বেনি হাসান' এর এক সমাধিক্ষেত্রের দেয়ালে পাওয়া গেছে, দুইজন লোক কুস্তি লড়ছে। ব্যাস এ-ই। এবং এটা করা হয়েছে ৪০০০ বছর আগে! পর পর দেখে গেলে মনে হবে যেন চোখের সামনে ঘটনাটা সত্যি ঘটছে। তবে এ আর যাই হোক এখানে কোন মেশিনারিজ ব্যবহাার করা হয়নি। স্রেফ কিছু ড্রয়িং।

ছবিঃ ৪০০০ বছর আগের মিশরীয় দেয়ালচিত্র। কুস্তি  লড়াই

আবার অন্যদিকে ইরানের 'শাহরে সুখতে' নামের জায়গাতে পাওয়া গেছে এই পাত্রটা। এটাকে বরং আরেক ডিগ্রি ওপরে ধরা যায়, কারণ পাত্রটা যদি চোখের সামনে নিয়ে ঘোরানো হয় তবে দেখা যাবে একটা পাহাড়ি ছাগল লাফ দিয়ে একটা গাছের পাতা থেকে কিছু ছিঁড়ে খাচ্ছে। তার একেকটা বিভিন্ন সময়ের পোজ এখানে পর পর আঁকা আছে। পাত্রটার ড্রয়িংটা খুলে ধরলে কেমন হবে সেটা দেখানো হয়েছে নিচের দ্বিতীয় ছবিতে খোলা রিল এর মত করে। (ঘটনাক্রমে ইরানে গিয়ে এই পাত্রটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার রীতিমত রোমহর্ষ অভিজ্ঞতা।) আর এই জিনিস ৫২০০ বছর আগের বানানো!

ছবিঃ ৫০০০ বছর আগে ইরানের শাহরে সুখতে নামের জায়গায় পাওয়া এনিমেটেড পাত্র’

এ গেলো আগের দিকের কথা তবে আসলে যেটাকে আমরা এখন এনিমেশন বলি- অর্থাৎ মেশিন টেশিন দিয়ে যেটা করা হয় সেটার মূল উৎপত্তি  ইউরোপ এ।  লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির ষোড়শ শতকের একটা এনাটমি স্টাডির একটা স্কেচ থেকে দেখা যায় এ রকম ধাপে ধাপে আঁকা মানুষের শরীরের মুভমেন্ট। যেগুলি পর পর দেখলে মনে হবে অনেকটা এনিমেশনের ফ্রেম। এ ছাড়া ইউরোপে ও আমেরিকায় বিভিন্নভাবে এনিমেশনের প্রাথমিক ফর্মগুলি জন্ম নিচ্ছিলো তখন। যেমন ম্যাজিক ল্যন্ট্রার্ন (১৬৫০) The magic lantern, থুমাট্রপে (১৮২৪) Thaumatrope, ফেনাকিস্টোস্কোপ (১৮৩১) Phenakistoscope, জ্যুওট্রপ (১৮৩৪) Zoetrope ইত্যাদি নামের বেশ কিছু লাগসই প্রযুক্তি তখন আবিষ্কৃত হচ্ছিলো। ইংরেজি বানানটা এখানে দিয়ে দেয়ার কারণ যাতে করে আপনি চাইলে গুগল এ সার্চ করে আরো ডিটেইল জানতে পারেন। আপাতত জ্যুওট্রপ  নামের যন্ত্রটার কথা বলা যাক। সেটা বললেই আসলে মূল ব্যকরণটা বোঝা যাবে। যন্ত্রটা দেখতে এরকম-

ছবিঃ জ্যুওট্রপ, প্রাথমিক এনিমেশন যন্ত্র

একটা গোল সিলিন্ডারে কিছু ছোট ছোট চির কাটা আছে। আর সিলিন্ডার বা পাত্রটার ভেতরের গায়ে সেঁটে দেয়া আছে একটা একটা মানুষের বিভিন্ন সময়ে দৌড়ের ছবি। এবারে কেউ যদি হাতে যন্ত্রটার দ- ধরে সেটা জোরে ঘুরিয়ে দেয় লাটিমের মত আর কোন একটা ফাঁকায় চোখ রাখে তবেই যাদু- দেখা যাবে লোকটা দৌড়াচ্ছে! কারণ একটা ছবি দেখে শেষ করতে না করতেই মানে সেটার রেশ থাকতে থাকতেই (সেই দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকাল ইত্যাদি) পরের ছবিটা চোখের সামনে চলে আসছে । তার ফলে মনে হচ্ছে সব একটানা চলছে আর তাতেই মনে লোকটা দৌড়াচ্ছে। যারা এই ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছেন না তাদেরকে আরো সহজ করে দেয়া যাক। আশা করি অনেকেই ছোটোবেলায় এই খেলাটা খেলেছেন/দেখেছেন। খাঁচার ভেতর পাখি।


ছবিঃ পাখি ও খাঁচার এনিমেশন

একটা শক্ত বোর্ড কাগজের একপাশে একটা পাখি আরেক পাশে একটা খাঁচা আঁকা। দুটোই বরাবর সোজা করে আঁকা। এবারে সেই কাগজের দুই পাশে দুটো ফুটো করে তাতে সূতো বেঁধে পেঁচিয়ে দেয়া হল। তারপর ছাড়তেই সেটা এবারে তীব্র গতিতে এমন ভাবে ঘুরতে থাকবে যেন মনে হবে পাখিটা খাঁচার ভেতরে ঢুকে গেছে। চাইলে এখনই কেউ এটা করে দেখতে পারেন। এমনি আরেকটা মজার এনিমেশন আছে হাতে করার সেটার নাম ফ্লিপ বুক। অনেকে কোন মোটা বইয়ের কোণাতে ছোটো ছোট করে পর পর বিভিন্ন ভঙ্গি এঁকে এটা বানিয়ে থাকেন।
ছবিঃ ফ্লিপ বুক
ছবিঃ উন্মাদের ওয়াক সাইকেল


এত কিছু বলে নেয়ার একটাই কারণ, এনিমেশন কিভাবে কাজ করে সেটা বোঝা। আসলে সফটওয়ার বা কোন টুলস যে যাই ব্যবহার করুন না কেন মূল ব্যাপারটা এই যে একই বস্তুর পর পর কয়েকটা ভঙ্গী যদি দ্রুত পর পর দেখানো যায় তবে সেটাই এনিমেটেদ বলে মনে হয়। এই ব্যকরণটা মাথায় রেখে চাইলে নিজেও একটা নতুন পদ্ধতি বানাতে পারেন- তার আগে আমরা এই মূহুর্তে পৃথিবীতে কী চলছে আর আমরা কী করতে পারি সেটা দেখে আসি।
টু ডি আর থৃডি এনিমেশন
এনিমেশনের একন মোটা দাগে দুইটা ধারা আছে থৃডি আর টু ডি। টুডি এনিমেশন হল যেটাতে ছবিগুলি দ্বিমাত্রিক। আমরা যত আগের যুগের ক্লাসিক এনিমেশন দেখি তার মোটামুটি সবই এই টুডি এনিমেশন। ডিজনি লুনি টিউন্স প্রথমদিকের মাঙ্গা আনিমে সবই তাই। টুডি কিন্তু তুলনামূলক কষ্টসাধ্য এনিমেশন। কারণ এখানে সেই আদিম জ্যুট্রপের মত করে ফ্রেম বাই ফ্রেম হাতে এঁকে এঁকে কাজটা করতে হয়। এবং ক্লাসিক্যাল টুডি এনিমেশন- যাকে সেল এনিমেশন বলা হয়- তাতে প্রতি সেকেন্ডের একটা ভালো মুভমেন্ট এর জন্যে আর্টিস্ট এর আঁকতে হয় প্রায় ২৪ টা ড্রয়িং! সুতরাং বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা কতটা ধৈর্য্যের কাজ। তবে এখন বেশ কিছু কম্পিউটার সফটওয়ার এই কষ্ট অনেকটাই লাঘব করে দিয়েছে যেমন এডোব ফ্ল্যাশ বা টুনবুম এবং আরো কিছু ভেক্টর বেইজড সফটওয়ার এ মূল মডেলটা একবার বানালেই অনেকখানি কাজ কমে আসে। অন্যদিকে থৃডি তে কাজ করাটা বেশ মজার। যদি বুদ্ধি করে কিছুটা সহজ মডেল করা যায় আর ভালো কাজ জানা থাকে তবে একবার থৃডি মডেল বানিয়ে নেয়া মানে কোন ক্যারেক্টারের একটা পুতুল বানিয়ে নেবার মতই। তখন তাকে দিয়ে আপনি যা ইচ্ছা তাই করাতে পারবেন। সম্প্রতি এ দেশেও বেশ জনপ্রিয় হওয়া কার্টুন সিরিজ মোটু পাতলু কিন্তু এমনই একটি বেসিক থৃডি এনিমেশন। থৃডি এনিমেশন করারও অনেক সফটওয়ার আছে, সবচেয়ে জনপ্রিয় থৃডি ম্যাক্স আর মায়া। আর থৃডি মডেলিং এর জন্যে হালে জি ব্রাশ, মাডবক্স ইত্যাদি বেশ নাম করেছে। এখানে একটা ভুল ধারনা ভেঙ্গে দেবার সময় এসেছে। আসলে এই সফটওয়ায়র গুলি একেকটা কাজের টুল ছাড়া আর কছুই না। সফটওয়ার আপয়ার এনিমশন কওে দেবে না। গল্পও লিখে দেবে না। তাই সফটওয়ার এ একটা বস্তু নাড়াতে পারলেই আপনি এনিমেটর না। এনিমটর বা এনিমেশন স্টোরি টেলিং করতে হলে সবার আগে আপনাকে সেই হাতে কলমে আদিম পেন্সিল আর কাগজেই ফেরত যেতে হবে। বেসিক ড্রয়িং আর ক্যারেক্টার ডিজাইন যদি আপনি হাতে কলমে করতে না পারেন তবে অরিজিন্যাল কাজ করাটা আসলেই দুষ্কর। এখন কথা হল আপনি সব মেনে নিয়ে আসলেই এনিমশন শিখতে ও করতে চাচ্ছেন তাহলে কী উপায়? আমাদের দেশে এনিমেশন এর বেশ কিছু ফার্ম আছে, যেমন Dreamer Donkey, Ogniroth  চাইলে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যেতে পারে। আর নইলে একেবারে ঘরে বসেও শিখে নিতে পারেন অনলাইন ক্লাস করে। আজকাল ইউটিউবএ যেই পরিমাণ রিসোর্স পাবেন তা দিয়ে ঘওে বসে এনিমশনে ডক্টরেট করে ফেলা যায়। খালি লিখুন How To animate/ Learning animation. তবে সে ক্ষেত্রে অনলাইনে এত কিছু পাবেন যে খেই হারিয়ে ফেলতে হবে। তার চেয়ে আরো নির্দিষ্ট করে লেখা ভাল। যেমন যদি টুডি শিখতে চান তবে টুডি এনিমেশন, থৃডি শিখলে থৃডি। এবং কোন সফটয়ার এ শিখবেন সেটাও বলে দিলেন। অন পেমেন্ট এডভান্স কোর্স যেমন আছে তেমনি  আছে বেশ কিছু ফৃ টিউটরিয়াল। চাইলে একেবারে বেসিকের জন্যে দেখতে পারেন Lynda  বা cgmasteracademy.com  । সুতরাং আগ্রহীরা আর কোন অজুহাত দিতে পারছেন না। বাংলাদেশেই এখন বিশ্বমানের এনিমেশন করা সম্ভব। ইউনিসেফ এর মীনা সিরিজের শেষ সবগুলি এনিমেশন করা হয়েছে এই দেশেই! তাই যদি আইডিয়া থাকে আর থাকে আগ্রহ তবে এখনই উপযুক্ত সময় এই পেশায় আসার। পেশা হিসেবে এটা কেমন? নির্ভও কওে আপনি কতটা ভাল এ ব্যাপারে। যদি একেবাওে একা একাও ঘওে বসে শেখেন আর টুকটাক কাজ করেন ইল্যান্স বা ওডেস্ক এরম ত আউটসোর্সিন এর তবে এই দেশের আটটা পাঁচটা কেরানী চাকরির যে কোণটার চেয়ে খারাপ ইঙ্কাম আপনার হবে না এটুকু বলা যায়। তবে তার আগে বাড়াতে হবে নিজের দক্ষতা, দৈর্য্য আর কজের প্রতি বিশ্বস্ততা। বিজাতীয় কার্টুনের প্রভাবে আমাদেও পরের প্রজন্ম ভিন্ন সংস্কৃতি মনের মধ্যে গেঁথে বড় হচ্ছে। তার একটা বিকল্প বানানোও একটা বড় দেশপ্রেমমূলক কাজ। সেই মাঠও প্রায় ফাঁকা বললেই চলে। সুতরাং আর দেরী করার কিছু নেই, এই মূহুর্ত থেকে শুরু করে দিন। 

কে জানে পৃথিবী হয়ত আপনার অপেক্ষাতেই বসে! 



চলছে ফরেন কমিকস