August 26, 2014

Photo Painting

এ ক'দিন বর্ষাকালীন সর্দি জ্বর বাঁধিয়ে বাসায় ঝিমাচ্ছি। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই রেস্ট নিচ্ছি। বই পড়া মুভি দেখা আর ঘুম। কাল সন্ধ্যায় ফেইসবুক খুলে সেখানে তানবিন আমিন এর তোলা একটা ফটো দেখে সেটায় একটা ড্রাগন বসিয়ে আঁকলাম। যদিও কম্ন ভিজুয়াল তাও কাজটা মজা লাগে করতে।

August 22, 2014

The creator of ‘deshi’ superheroes

আজকের নিউ এইজ এক্সট্রা সাপ্লিমেন্ট এ বের হওয়া
During the late 80s, a storm blew over India and Bangladesh. Rather than a natural storm, this was a comic book storm- created by a single man named ‘Pran’. You can hardly find anyone in their mid-twenties or thirties now in India or Bangladesh who do not know his name.
In fact, they can even recall the smiling face of Pran from their Diamond Comics collection. Children in those days collected piles of those low cost newsprint comics rather than POKEMON stickers or playing candy crush.
Pran passed away on August 5, 2014 leaving more than 500 comic book titles for those kids. He also left behind a mystery: How did he become so successful by selling inexpensive newsprint comic books that starred desi characters including an aging uncle, two children and similar characters?
His most popular character was undoubtedly Chacha Chowdhury. The character emerged at a time when there were countless superheroes swirling in the Indian market directly imported from the west. The Superman type heroes, wearing briefs and tights, apparently looked odd in the South Asian culture where common people usually wore kurta and saris. Pran had pinpointed on this perspective very intelligently.
As he had said, ‘You cannot draw Indian Comics without drawing Indian people.’ He even criticized the attempt to turn Spide-rman as an Indian by dressing him up in a Dhoti over the globally-recognized Spider-man costume. It was a funny attempt as he had addressed.
Pran began drawing his Indian characters with very simple funny stories and the rest was a history. Millions of copies were sold per month over India and other countries. Diamond Comics literally kicked out a huge chunk of foreign standard comics from the local markets.
Pran felt that a nation requires its own characters and its own heroes. Heroes who would not fly from the statue of liberty or sit over the top of a gargoyle fitted rooftop in the dark Gotham City. Pran introduced some familiar characters like Chacha Chowdhury, Pinky, Billu, Raman, Channi Chachi, Shrimotiji etc. Incredibly, all of these titles were almost equally popular and it was a huge success as a business. Pran actually shows a path about how to survive and grow in a so called ‘open market’.
Against muscular and cutting edged superheroes, Pran placed a tiny big headed middle edged person who can not fly. But has a brain that is ‘smarter than a computer’. He can make anything fly with his brain. He has a sidekick called Sabu, who is a 70 feet tall alien from Jupiter. Sabu served the action purpose. But the uniqueness was that all the stories were taking place in a very common courtyard and neighborhood. All the characters were Indian and they could be found in India.
Pran’s attitude reminds us of the ‘Common man’ by RK Laxman. He used to put very simple characters in every drawing or cartoon of his. This common man technique works for every single creative person.
Pran has criticised the tendency of the present generation to copy western visuals. It is okay to follow and learn from them but it is not appropriate to reproduce the same visual.
Diamond comics was also very popular in Bangladesh where another legendary cartoon magazine called Unmad was working with the same principle. After 36 years of continuous publication, the big-glasses adorned rabbit-tooth character is already a part of the South Asian cartoon history.
Though there is still no developed market for comic books in Bangladesh, Unmad is a very inspiring platform for aspiring artists and entrepreneurs. In a world of internet, TV and cellphone, Unmad is exhibiting Pran’s technique to remain strong and unique as the internet and other media are not completely generating our own visuals.
A generation has grown reading Pran’s diamond-like Comics and the legendary Unmad. This generation along with the younger generation shows how big the untapped comic books and cartoons market is in Bangladesh.
As Scott Mccloud wrote in his book titled ‘Understanding Comics’, a huge portion of the population has not been addressed yet through comic book. He suggested producing new genres for unexplored age group, gender, ethnicity, religion etc.
For Bangladesh, where majority of the people do not love to read too much text ( in fact most of them do not know how to read) and for a world where nobody has enough time to keep tracking series of textbooks- may be comics is a formidable alternative.
In a cultural fight, it can be a very good weapon too. Pran and Unmad magazine has proven that the people as well as readers do not expect glossy printing filled with anatomically perfect flying superheroes. They rather love to read some characters who they can easily identify in their own surroundings. Pevople love to read their stories. People love to see their visuals. This was Pran’s secret and his legacy.
- See more at: http://newagebd.net/42486/the-creator-of-deshi-superheroes/#sthash.d9a4bRbZ.dpuf

August 20, 2014

ফিলিস্তিনের জন্যে

আমার জীবনের সবচেয়ে অলৌকিক ঘটনাটা ঘটেছিলো আমার আব্বা সাংবাদিক আজিজুল হক বান্না'র মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে। আমি স্বপ্নে আমার আব্বার মৃত্যুদৃশ্য দেখলাম! তিনি মৃত্যুর আগে আমাকে বল্লেন 'বাবা, ফিলিস্তিনের ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা কইরো। পৃথিবীর শান্তি চাইলে ওই সমস্যাটার সমাধান আগে করতে হবে'
কেন এইরকম একটা স্বপ্ন দেখলাম তার ব্যাখ্যায় যেয়ে চাইছি না।কিন্তু আব্বা আসলেই তার এক সপ্তা পর মারা গেলেন এর পর আমার পৃথিবী অনেক অগোছালো হয়ে যায়।
স্বপ্নদৃশ্যের ব্যাখ্যায় যাবার দরকার নেই। আমার বাবা প্রবল ডানপন্থী মানুষ ছিলেন। দিনরাত পৃথিবীব্যাপী অসাম্য আর অন্যায়ের প্রতিকার ভাবতেন আর লিখতেন। সেই স্বপ্ন দেখবার ও আব্বার মৃত্যুর পর আমি মনোযোগ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাপ্রবাহ দেখি। আরব বসন্ত যে মূলত গুটিবসন্ত সেটা আব্বাই লিখে গেছেন মৃত্যুর ক'দিন আগে। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম সেটা সত্যি। আমি এরপর সময় পেলেই মিশরের নির্বাচন, সিরিয়ায় গণহত্যা বা সুয়েজ খাল নিয়ে দর কষাকষির ব্যাপারগুলি পড়ি। আর সর্বশেষ ফিলিস্তিনের গাজায় ইতিহাসের অন্যতম নৃশংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম। কি ভয়ানক! হামলার চেয়ে ভয়ানক হল নাকের গোড়ায় বসা আরব বিশ্ব এ  ব্যাপারে উদাসীন। ওদিকে পশ্চিমা বিশ্ব সাফাই গাইছে হামাসের বিরুদ্ধেই! মানে যা হচ্ছে ঠিকই হচ্ছে। কি করা যায় বুঝতে পারছি না।
আমাদের আসলে আদৌ কিছু কি করার আছে?

এমন সময়ে হঠাত এক ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট মোহাম্মদ সাবানেহ এর মেইল। সে ফিলিস্তিনের রামাল্লায় একটা মিউজিয়ামে এই হামলা বিরোধী একটা কার্টুন প্রদর্শনী করতে চাচ্ছে। আমি কার্টুন দিতে আগ্রহী কিনা। পরদিনই দুটি  কার্টুন পাঠিয়ে দিলাম। জানতে চাইলাম কবে কী। আর তার উত্তর এল  আজ। মাহমুদ দারভিশ মিউজিয়ামে অন্য অনেকের সাথে আমার কার্টুনও ওরা রেখেছে। এই কার্টুন কোন গোলা আটকাতে পারবে না জানি। কিন্তু কেন জানি মনে হল আব্বা আনন্দ নিয়ে আমার মাথায় হাত রেখে আলো ঝলমলে চোখে এই চিঠিটা দেখছেন।

August 12, 2014

‘প্রাণের কমিক্স: ভিন্ন পাঠ’

চাচা চৌধুরীর স্রষ্টা মরে গিয়ে আমাকে লেখক বানিয়ে দিচ্ছেন :/ এবারে লালজীপের ডায়েরি নামের ব্লগের জন্যে কিঞ্চিত আঁতলা লেখা
*A comedian died in India
পৃথিবী ছুটছে। কোনদিকে তা ঠাহর করাটা কঠিন। সেটা ঠিক কি বেঠিক তার খোঁজ করা আরো কঠিন। ছুটে চলাই নিয়তি ধরে নিয়ে আমরা কোনমতে তার সাথে আঁকশি চড়িয়ে গেঁথে আছি আর ছুটে চলেছি। ছুটছি-চারদিক ভীড়ে ভীড়াক্কার, সবাই চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটছি। সবারই অনেক কিছু বলার আছে কিন্তু কারো অন্যরটা শোনার সময় নেই। তাতে ভাষা কালচার সংস্কৃতি ‘টংস্কৃটি’ সব মিলিয়ে জগা বাবার খিচুরী হয়ে হয়ে থিতিয়ে যাচ্ছে। গালভরা পুঁজিবাদের ধরাচূড়া আর কখনো এভাবে ‘টংস্কৃতি’ সামনে রেখে আকাশ ফুঁড়ে এর আগে আর এতটা ওঠেনি। তাই পৃথিবী আদৌ কোনদিকে যাচ্ছে তা ভেবে বের করাটা এক বিরাট সমস্যাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাঝেও কিছু লোক থাকেন যাঁরা পৃথিবীর সেন্ট্রিপেটাল ফোর্স কে অস্বীকার করেন। তাঁরা ভীড়ে মেশেন না। তাঁরা জানেন ‘টংস্কৃতি’ বলে কিছু নেই। গ্লোবাল ভিলেজ কথাটাও ফক্কিকারি। আছে শুধু ভিলেজ। সেটা পাঞ্জাবের কাসুর গ্রাম ও হতে পারে বা দিল্লীর কাছের গুরগাঁও ও হতে পারে।
আমাদের প্রাণ কুমার শর্মা সেই পৃথিবীর গাড্ডালিকা থেকে দূরে বসে ঠাণ্ডা মাথায় প্রশ্বাস নিয়ে বসা মানুষটা। প্রাণ কুমার শর্মার জন্ম অবিভক্ত ভারতবর্ষে। পাঞ্জাবের কাসুর গ্রাম-এ, দেশ বিভাগের পর যেটা আসলে পড়েছে গিয়ে পাকিস্তানে। মানুষের তৈরী করা বিভেদের কারণে নিজের জন্মস্থান ফেলে এলেও সেই কল্পিত সীমারেখাটা অনায়াসে আবার তুমুলভাবেই অতিক্রম করেছিলেন প্রাণ। সে গল্পই বলতে বসা। না বল্লেও সচেতন ও অসচেতন পাঠকেরা বুঝে গেছেন যে আমরা চাচা চৌধুরী নামের বিখ্যাত কার্টুন কমিক্স চরিত্রের স্রষ্টা প্রাণ এর কথাই বলছি। এ মাসের ৫ তারিখ যার ইহকালীন যাত্রাবিরতি শেষ হল। যাবার আগে তিনি ৫০০’র অধিক কমিক্স এঁকে রেখে গেছেন আর ভক্ত রেখে গেছেন কয়েক কোটি। কিন্তু সে কারণে তাঁকে নিয়ে কথা বলতে বসা নয়, প্রাণ এর পাঠ আজ অন্য কারণে জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রাণ এমন একটা বৈরী সময়ের শুরুতে এমন একটা পদ্ধতিতে আজ করে গেছেন যেটা আমাদের এই সময়টা তথাকথিত গ্লোবালাইজড সময়ে টিকে থকার রসদ দিতে পারে। পলিটিক্যাল সায়েন্সের এই ছাত্র তাঁর প্রথম যৌবনে ঠিকই বুঝে গিয়েছিলেন ‘আমাদের’ আর ‘ওদের’ শব্দ দুটোর পার্থক্য। গ্লোবাল দুনিয়ায় খোলা বাজারের নাম ভাঙ্গিয়ে ছদ্মবেশে ভিনদেশী কালচার ঠিকই ঢুকে যাচ্ছিলো নিজের দেশের মধ্যে। হালের দোরেমন কার্টুনের প্রভাবে ঠিক যে কারণে আমাদের অভিভাবকশ্রেণী বিরক্ত সেই একই কারণ তাঁকেও চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো। বাচ্চাদেরকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে কার্টুন, সেটা কোন সমস্যা না। কিন্তু সেটা তখনই সমস্যা হতে পারে যখন সেটা অন্য দেশের কালচার নিয়ে ঢুকে যায়।

প্রাণ কার্টুন পছন্দ করতেন। তিনি খেয়াল করলেন ভারতের বাজারে যে সব কমিক্স পাওয়া যাচ্ছে তা সবই বিদেশী। ছোট ছোট ভারতীয়রা বিদেশী কিছু মানুষদেরকে নিজেদের জীবনের হিরো জেনে বড় হচ্ছে। যদিও এগুলি অনুবাদ হয়ে ভারতীয় ভাষাতেই বের হচ্ছে। কিন্তু সেগুলি কোন ভাবেই ভারতের না। এর সমাধানের জন্যে সবচেয়ে সহজ যে পথগুলি আছে যেমন- সব দোষ অন্যদের কেন কেউ কিছু করছে না বা সরকার কেন কিছু করছে না বা এই দেশের কিছু হবে না অন্য দেশে চলে যাওয়াই ভাল- ইত্যাদি না করে তিনি নিজেই কাগজ কলম নিয়ে আঁকতে বসে গেলেন নিজেদের কার্টুন। তিনি প্রথমেই বুঝেছিলেন স্পাইডারম্যানকে ধুতি পরিয়ে দিলেই সে ভারতীয় হয়ে যাবে না। ভারতীয় কার্টুন চরিত্রকে প্রথমে হতে হবে ভারতের মানুষ। তিনি একেবারেই সহজ সাধারণ মানুষদের তাঁর কমিক্স-এ চরিত্র করে আঁকতে শুরু করলেন। চাচা চৌধুরী তো আসলে তাঁর ছেলেবেলায় দেখা সেই কাসুর গাঁয়ের কোন এক লাল পাগরী পড়া চাচারই ছবি। তার সাথে সাইডকিক আকারে এল পালোয়ান সাবু। আর তাদের সাথে কখনই ব্যাটম্যান বা সুপারম্যানের সাইকো কিলার ধরনের জটিল ভিলেন এলো না। এল একেবারে লোকাল পাঁতি ডাকু বা চোর। তার অন্যান্য সিরিজেও যাদের দেখা পাওয়া যায় তারা আসলে ভারতেরই যে কারো পাশের বাড়িতে থাকা চরিত্র। বিল্লু, পিংকী বা চান্নি চাচীকে একটু খুঁজলেই আশে পাশে পাওয়া যায় ওখানে ওখানে। প্রাণ এইসব চরিত্র আঁকার পর ভারতের অনেক সমালোচক আঁকিয়ে নড়েচড়ে বসেন। যারা এদ্দিন পশ্চিমা অংকনরীতিতে কোন এক ভারতীয় ‘ম্যান’ বানানোতে ব্যস্ত ছিলেন তার দেখলেন এক অদ্ভূত কমিক্স বিপ্লব। সুপারম্যান বা স্পাইডারম্যান ছাড়িয়ে কোন রকম অতিমানবীয় ক্ষমতা ছাড়াই সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ছে চাচা চৌধুরী নামের একটা ছোটখাটো আসল ভারতীয় মানুষ। ক্ষমতা বলতে যার বিরাট লাল পাগড়ীর নিচে থাকা ছোট্ট টাক মাথার ভেতরের বুদ্ধি যা নাকি ‘কম্পিউটারের চেয়েও প্রখর’। প্রাণ যাদুমন্ত্রবলে সেই সময়েই যেটা বুঝেছিলেন সেটা হল পশ্চিমা সুপারহিরোরা যতই চমৎকার আর শক্তিশালী হোক না কেন ভারতের কালচারের সাথে তারা কখনই ‘যায় না’। এই ছোট্ট একটা উপলব্ধি-ই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দিলো। এবং দেখতে দেখতে ভারতের কমিক্স বাজার থেকে বিদেশী কমিক্সদের সরিয়ে দিয়ে নীরবে বিপ্লব ঘটিয়ে জায়গা করে নিলো ‘ডায়মন্ড কমিক্স’।
আমরা এ ব্যাপারে প্রসঙ্গত সত্যজিত রায়ের কথা ভাবতে পারি। পশ্চিম সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারা ভারতীয়দের তালিকা করলে তার ওপর দিকেই থাকবেন রায়- সেই রায়কেও আমরা দেখি বাইসাইকেল থিফ বা সিটিজেন ক্যেইন আর রশোমন আত্মস্থ করে গল্প হিসেবে শেষে আম আঁটির ভেঁপুর দৃশ্যপট টাকেই বেছে নিতে। ইউরোপ এমেরিকার কালচারের রস নিয়ে সেটা দেশীয় খোলসে পুরে উপস্থাপনার ঢংটাই তাঁকে আলাদা করে তুললো। দু’জনে তুলনীয় নন-মান ও ক্ষেত্র নিয়েও বিতর্কের অবকাশ থাকতে পারে; কিন্তু তাঁদের বোধ এর জায়গাটা একই ধরনের। আর এই টংস্কৃতির বাজারে যখন নিজের নাম খুঁজতেও আমরা গুগল এ সার্চ দিচ্ছি অবিরাম তাঁদের এখান থেকে কিছুটা হলেও নেবার আছে। প্রাণ আমাদের সেই পথ দেখিয়ে গেলেন। আমরা দোরেমন নিয়ে হা হুতাশ শেষ করে এখন ‘পাখি’ (বাংলা সিরিয়াল) আটকাতে চ্যানেল বন্ধের কথা ভাবছি। নিজেদের চ্যানেলের বা বইয়ের বাজে মান জায়েজ করতে অজুহাত দেই উন্নত বিশ্বের সুবিধা নেই বলে কিছু করা যাচ্ছে না। বলি ওদের অনেক ‘ফ্যাসিলিটি’। আর ঠিক এই সব অজুহাতের সামনেই হাসিমুখে ভরা প্রাণের ছবিটা বিদ্রুপ হয়ে দাঁড়ায়। ড্রয়িং স্কিল বা ‘আন্তর্জাতিক’ মান বিচারে কখনই তাঁর কমিক্স প্রথম সারির নয়। তিনি পুরোদস্তুর একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের শিল্পীও নন। কিন্তু তাঁর সেই বি গ্রেডের ড্রয়িং-এ সৃষ্ট ছোটোখাটো চাচা চৌধুরী এক ফুঁয়ে অনেকগুলি সুপার-হিরোকে উড়িয়ে দিলো। তিনি বুঝিয়ে গেলেন দেশের মানুষ আপনার কাছে এ গ্রেড এর টেকনিক আশা করে না। তারা আশা করে কেউ একজন তাঁদের গল্পটা বলবে, তাদের ঘটনাটা ভিজ্যুয়াল-এ আনবে।
প্রাণ এর এই এক জীবন ধরে সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ-এ দিয়ে যাওয়া শিক্ষাটা আমাদের বাংলাদেশের জন্যে এই মুহুর্তে জরুরী হয়ে পড়েছে। আত্মপরিচয় হাতড়ে হাতড়ে যখন আমাদের গল্পগুলি বিভিন্ন ‘ফরেন’ মাল আমদানীতে ব্যস্ত এবং সমালোচকরা ব্যস্ত অন্য নতুন কার ঘাড়-এ দোষ চাপান যায় সেটা খুঁজে বের করতে তখন প্রাণ এর কাজের ধরন আমাদের সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। বিদেশী বাজারের সামনে জোর পায়ে দাঁড়াতে প্রাণের তাগিদে ‘প্রাণ’ এর পথে হাঁটাটাই এই সময়ের কাজ বলে মেনে নেয়া যেতে পারে। গুরগাঁওয়ের এই বৃদ্ধ আমাদের ইঙ্গিতে সেই প্রাণ আরকের সন্ধানই দিয়ে গেলেন।
*A Comedian Died in New York মূলতঃ এলান মুর এর ওয়াচমেন গ্রাফিক নভেলের কোটেশন

August 09, 2014

'প্রাণ' এর আঁকা প্রাণের কমিক্স

যেই মানুষটার একটা বড় ভূমিকা আছে আমার কার্টুন আঁকায়- সেই প্রাণ কুমার শর্মা মারা গেছেন। বিডিনিউজের বাচ্চাদের সেকশন কিডজ এর জন্যে লেখা। পুরোটা পেতে এখানে ক্লিক করুন।


তোমরা তাকে সেভাবে চিনবে কি না আমি কিন্তু ঠিক বলতে পারছি না। তোমরা বরং দোরেমন বা বেনটেন অথবা অগি এন্ড দ্যা কক্রোচেস কে ভালো চিনবে। তবে বলে রাখি আমরা যারা কার্টুন নেটওয়ার্ক, মোবাইল ফোন এমনকী ইন্টারনেট ছাড়া বড় হয়েছি তারা সবাই গত ৫ ই অগাস্টে অনেক মন খারাপ করে বসে ছিলাম। কারণ আমাদের সময় মোবাইল ফোন ইন্টারনেট প্লে স্টেশন ইত্যাদির অভাব যিনি ভুলিয়ে দিয়েহিলেন সেই কার্টুনিস্ট প্রাণ সেদিন মারা গেছেন। ভারতীয় কার্টুনিস্ট এই প্রাণ রায় আসলে কী এমন যাদু জানতেন যাতে করে আমরা সবাই এত মন খারাপ করে আছি এখনো? আশা করি তোমরা সবাই না জানলেও অনেকেই উত্তরটা মনে মনে জানো। প্রাণ রায় হচ্ছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র চাচা চৌধুরীর স্রষ্টা। কেউ যদি এই কমিক্সটি না 



পড়ে থাকো তাহলে আমি বলব তোমরা একটা বিরাট মিস করেছো। লাল পাগড়ী পরা ছোটখাটো এক চরিত্র আর তার সাথে ভিনগ্রহের এলিয়েন পালোয়ান- সাবু।  সাথের ছোট্ট কুকুর রকেট মিলে যদিও হুট করে তোমাদেরকে এস্টেরিক্স ওবেলিক্স ও ডগমাটিক্স কে মনে করিয়ে দিতে পারে তবে একটু পড়বার পরেই বুঝে যাবে এটা সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। এমন সহজ সরল ফান করে যে একটা দূর্দান্ত গল্প টানা বলে যাওয়া যায় তার একটা দারুণ উদাহরণ এই চাচা চৌধুরী সিরিজ। কী নেই তাতে? টানটান উত্তেজনার ব্যাংক ডাকাতি আবার সাথে সাথেই বুদ্ধিমান চাচার পাগড়ীর ফাঁদে পড়ে তাদের আটক হওয়া। সাথে গাটুগুটূ টিঙ্গু মাস্টার। হঠাত হঠাত এসে পড়া ডাকু গব্বর সিং, চাচার গিন্নী মানে চাচী। তাঁর হাতে বানানো একশো লুচি দিয়ে নাস্তা সেরে সাবুর উঠে বসে ক্রিকেট ব্যাট হাতে ডন ব্র্যাডম্যানের সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে আবার তার পরেই ভয়ানক ডাকুদের তাড়া করে ফেরা। সোজা কথা দম ফেলার ফুরস পাওয়াই ভার। একটা গল্প পড়ে শেষ না করতেই আরেকটা, সেটা শেষ করে আরেকটা। কোথাও কোন জটিল প্যাঁচঘোঁচ নেই, নেই মাথা খাটিয়ে গল্প বোঝার দায়। একেবারে জলব তরলং গল্প। এখানেই প্রাণ নামের এই লোকটার কমিক্স এর 'প্রাণ' লুকানো। তবে প্রাণের এই কমিক্স আঁকার গল্পটা কিন্তু আরো মজার। ভদ্রলোক তো পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে মাস্টার্স করলেন দিল্লী থেকে। তারপরেই তাঁর মাথায় ঢুকলো লাড্ডুর প্যাঁচ। মানে আঁকাআঁকির প্রবল ঝোঁক থেকে সটান ঢুকে গেলেন মুম্বাইয়ের স্যার জে জে স্কুল অব আর্ট এ। দিল্লী থেকেই প্রাইভেট স্টুডেন্ট হয়ে সেই পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে লাগলেন। কিন্তু মনের মধ্যে যার এত এত মজার আইডিয়া আর গপ্পের বুড়বুড়ি আর্ট কালচারের ঘোরালো প্যাঁচালো ইতিহাস পাতিহাস তাঁর ভালো লাগার কথা না। তাই সেই কোর্স শেষ না করেই শুরু করে দিলেন নিজের যেটা ভালো লাগে সেই 'কার্টুন'। প্রাণের নিজের ভাষায়-'আমি আসলে এত সাত পাঁচ ভাবিনি। আমি বুঝেছিলাম আমাদের কোন সুপারম্যান দরকার নেই, কাউকে সুপার হিরো হয়ে আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে গুণ্ডা তাড়ানোর দরকার নেই। আমাদের দরকার একেবারেই আমাদের নিজস্ব ভারতীয় 









সাধারণ মানুষ- হ্যাঁ তাঁর বুদ্ধি হতে হবে অসাধারণ' তা সেই চাচা চৌধুরীর বুদ্ধি অসাধারণই বটে। সিরিজটার অন্যতম বিখ্যাত ডায়ালগ তাই ছিল 'চাচা চৌধুরীর বুদ্ধি কম্পিউটারের চেয়েও প্রখর'। এটা ছিলো আমাদের সবার মুখস্ত ডায়ালগ। আর ওদিকে ভালো মানুষ সাবু? যে আবার রেগে গেলে রক্ষা নেই। তখন বলা হয় 'সাবু রেগে গেলে কোথায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হয়'। তা ভয় পাবার কারণ নেই সাবু সহসা রাগে না। তবে হ্যাঁ লড়াইটা যদি হয় অমর ভিলেইন 'রাকা'র সাথে তবে এমন দু একটা অগ্ন্যুতপাত হতেই পারে। বিষ মনে করে ভুলে এক কবিরাজের অমৃত আরক খেয়ে অমর হয়ে যায় রাকা নামের এক ডাকাত। তার পর থেকে তাকে থামায় কার সাধ্য? ডাক পরে সেই চাচা আর তার এলিয়েন পালোয়ান সাবুর। সে এক দূর্ধর্ষ লড়াই। প্রতিবারেই কোন না কোনভাবে রাকা তার বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে পৃথিবী তছনছ করা শুরু করে। বুক ধরফর করা টেনশন নিয়ে সেটা এক নাগাড়ে গিলে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। আর শুধু চাচা চৌধুরী-ই কেন? প্রাণ নামের এই 'ভারতের ওয়াল্ট ডিজনী' তৈরী করেছেন বিল্লু, পিংকী, চান্নি চাচী, রমন ও শ্রীমতিজী নামের আরো কয়েকটা কমিক্স চরিত্র। এতগুলি কমিক্স চরিত্র তৈরী করে আবার সেগুলো প্রায় সবগুলি-ই সমানভাবে জনপ্রিয় করাটা মুখের কথা না। প্রাণ নামের এই কিংবদন্তী কার্টুনিস্ট যখন এইসব মজার মজার কমিক্স চরিত্র তৈরী করেছিলেন ঠিক তখন ভারতে শুধু কিছু বিদেশী ইংরেজী কমিক্স এর বাংলা বা হিন্দী অনুবাদ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যেতো না। প্রাণ দেখলেন- আরে, দেশটা আমাদের কিন্তু গল্প সব বিদেশী। যার চরিত্র গল্প কৌতুক কিছুই আমাদের না, আমরা তার সব বুঝিও না- ঠিক অনেকটা আমাদের এখনকার দোরেমন, বেনটেন, জাপানি মাঙ্গা, এনিমে বা এডভেঞ্চার টাইম এর মত। সেগুলি মজার সন্দেহ নেই, কিন্তু এরা তো আমাদের দেশী কার্টুন না। নিজের জন্যে নিজেদের গল্প নিজেদের ভাষা না হলে কি চলে? ব্যস বসে গ্যালেন নিজেই আঁকতে, এবং তার ফলাফল এই ইতিহাস গড়ে দেয়া কার্টুন চরিত্রগুলি। এমনকী সেই ভারত পেরিয়ে নব্বই সালের পর থেকে বাংলাদেশেও মানে আমাদের এখানেও তাঁর এই কমিক্সগুলি চলে এসেছিলো। চাইলে যে নিজেদের কমিক্স কার্টুন নিজেরাই বানানো যায় সেটার স্বপ্নও উনি উপমহাদেশের সবাইকে দেখিয়ে গেছেন। তাঁর আগে অনেকি ভাবতো এগুলি আসলে বিদেশীরাই করবে। কিন্তু এখন এমনকী বাংলাদেশেঅ বেশ কিছু কমিক্স বই বের হচ্ছে, পত্রপত্রিকায় কার্টুন ও কমিক্স স্টৃপ বের হচ্ছে, হচ্ছে কমিক্স এর মেলা কমিকন। এগুলি যারা করছেন তাঁরা কিন্তু এই প্রাণ নামের মানুষটার বই পড়েই বড় হয়েছেন, এবং তাঁর দেখানো পথেই নিজেদের মত কার্টুন এঁকে যাচ্ছেন। বাংলাদেশেও তাই তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশী কমিক্স। আশা করি অবিস্মরণীয় প্রাণ এর কমিক্সগুলির পাশাপাশি বাংলাদেশী সেই কমিক্সগুলিও দোরেমন পোকেমন ফেলে আমাদের আরো দারুণ কিছু সময় উপহার দেবে।  আপাতত প্রাণ কুমার শর্মাকে আমরা সবাই মিলে প্রাণের গভীর থেকে একটা ধন্যবাদ জানাই এসো।

August 08, 2014

কার্টুনের রান্নাঘর সিরিজঃ চেহারা ও চাপা

কিশোর আলো তে বের হওয়া দ্বিতীয় পর্ব :)

এইবারে চেহারা কিভাবে আঁকা যায় (পাশ থেকে) তার হাতেখড়ি হোক। আসলে শুধু কার্টুন এ নিয়মমাফিক এনাটমির ধার না ধারলেও হবে। তবে অন্তত মুখ আঁকার ক্ষেত্রে ভেতরের কলকব্জা কেমন সেটা দেখে রাখলে ক্ষতি নেই। আমরা আরো সহজ করে পুরো ব্যাপারটা বুঝে নেব তবে টাইমসেভার নোটস হিসেবে এটা দেখে রাখি।


প্রথমে আঁকা নীল গোল্লাটা ধরে নেই পাশ থেকে মানুষের মাথার খুলি। সেটা কেন্দ্র বরাবর আড়াআড়ি দাগ টেনে চার ভাগে ভাগ করে নেই। এবারে ডানদিকের নীচের ভাগটা থেকে একটা চতুর্ভূজাকৃতি (আসলে ট্রাপিজিয়াম) আরেকটা ফর্ম নামাই। এটা আসলে পাশ থেকে আঁকা চোয়াল। এইটুক বেশ ভালো মত বুঝবার আছে। কারণ চেহারা আঁকায় অন্যতম কমন সমস্যা হল এই চোয়াল পার্ট টা একেবারেই না আঁকা। এই পার্ট টা কিন্তু সবস্ময় চতুর্ভূজই হবে তা না। পাশে তার কিছু উদাহরণ ও দেয়া হল। চোয়ালটুকু বিভিন্নভাবে  এঁকে বিভিন্ন চেহারা এনে ফেলা যায় বেশ সহজে।


এবারে আমরা আরেকটু ডিটেইল এ যাই। মাথার খুলিটা শুধু একটা বৃত্ত না করে তিনভাগের একভাগ নীচের থেকে কমিয়ে দেই। যেটুকু রয়ে গেলো সেটুকুর মধ্যেই মানুষে চোখ নাকের ফুটো আর ওপরের পাটির দাঁত থাকে, সেটা আমরা আরো ভালো ভাবে পরে দেখব, আপাতত সেই চতুর্ভূজ চোয়ালটা বসাই। আর সেটার ওপরেও অস্ত্রপচার করে ডান থেকে কিছুটা অংশ সরিয়ে দেই। আসলে এই জায়গাটা পাশ থেকে দেখা মুখগহ্বর। ব্যস আমাদের মাথা মোটামুটি বোঝা হয়ে গেলো।



এবারে সেই প্রথম পর্বে দেখা আমাদের চোয়ালের বড় স্ক্রুটা দিয়ে সেটা খুলির সাথে এঁটে দেয়া যাক। ব্যস, এবারে এই স্ক্রু এর অবলম্বন থেকে চোয়াল (মানে চাপা) ওপর নীচ করতে থাকবে। ওপরের দ্বিতীয় ড্রয়িং এ খেলায়ল করি মাথার সামনের দিকে সমান করে এঁকে নেয়া হয়েছে, এই অংশটা আসলে কিছুটা সুাওই থাকে। এবারে শেষ ড্রয়িংটায় কংকালের গঠনটা একটু হালকা করে ওপরে একটা মাথা এঁকে দেয়া হল। এখন কথা হল সারাজীবন কী তবে এইরকম বিটকেলে করে একটা কংকাল এঁকে নিয়ে তারপর আঁকতে হবে? না- আসলে এটা আমরা বোঝার জন্য টুকে  নিলাম। ভেতরের গঠনটা জানা থাকলে পরে যে কোন রকমের চেহারা আঁকা আমাদের জন্যে সহজ হবে, আমরা দেখি এই যেটুকু শিখেছি সেটুকু দিয়ে কতরকম (পাশ থেকে) চেহারা আঁকা যায়।

আমাদের এবারের প্রাকটিস টা হবে এই পাশ থেকে কিছু খুলি আর বিভন্ন শেইপ এর চাপা আঁকা। এর পরের অংশে প্রথম পর্বের সেই ডিম মানুষের ধড় এর সাথে এর পর এই মুণ্ডূটা জুড়ে শুরু হবে মজা। আপাতত এখানেই থামার আগে চোখা নাক মুখ কোন টা কোথায়  বসানো যায় তার একটা ছোট্ট নোটস।



এর পরের বার আমরা এক্সপ্রেশন আর বিভিন্ন ধরনের চেহারা কিভাবে সহজে আঁকা যায় তা দেখে সেই ডিম মানুষের সাথে বসিয়ে কাজ শুরু করে দেব। আপাতত ততক্ষণ এইবারের মু-ুগুলি আয়ত্তে আনি।

August 05, 2014

ক্যারিকেচারের কথা

উন্মাদ এ ধারাবাহিক ভাবে ক্যারিকেচার নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছি। তার প্রথম কিস্তি এখানে তুলে দি'


Caricature is rough truth. 

George Meredith
প্যালিওলিথিক যুগের গুহাচিত্র। 
মানুষ ও পশুদের ক্যারিকেচার্ড ফর্ম লক্ষণীয়
ক্যারিকেচার এর বাংলা প্রতিশব্দ নেই। প্রতিশব্দ হিসেবে যেটা ব্যবহার করা হয় তা হল ‘ব্যংগচিত্র’। সমস্যা হল কার্টুনের বাংলা হিসেবেও একই শব্দ ব্যবহার করা হয়। কোন কিছুর প্রতিশব্দ কোন ভাষায় না পাওয়া গেলে বুঝে নিতে হবে সেই জিনিষ ওই ভাষাভাষীদের মধ্যে প্রচলিত না। ক্যারিকেচারের ক্ষেত্রে কথাটা হয়ত পুরোপুরি ঠিক না। উল্লেখযোগ্য না হলেও বাংলাদেশে ক্যারিকেচার হয়নি বলাটা ভুল হবে। আমরা এই লেখার শেষের দিকে  সে প্রসঙ্গে যাব। তার আগে একটা কাজ চলবার মত ‘ক্যারিকেচারের ইতিহাস’ ভিত্তিক খটোমটো কয়েক লাইন লিখে ফেলা যাক। এবং যেহেতু এই লেখাটি একটি সিরিয়াস টাইপ লেখা তাই অতি অবশ্যই আমরা এর ভিতরে কিছু ভারি ভারি ব্যপার ঢোকানোর চেষ্টা করব, যেমন কোন ল্যাটিন শব্দের কোন অংশ থেকে ক্যরিকেচার নামটি এসেছে,  এবং ষোড়শ বা সতেরো শতকের কোন শহরের কার হাতে এর উদ্ভব-ইত্যাদি। তবে এ সবকিছুর আগে ক্যারিকেচার কী বস্তু তা নিজেদের মত করে একটু বুঝে নেয়া যাক।  আমাদের এই সময়ে ক্যারিকেচার বলতে সাধারণতঃ কোন মানুষের অতিরঞ্জিত (Exaggerated) পোর্ট্রেইটকেই বোঝায়। যদিও ব্যপক অর্থে ধরলে আমরা বলতে পারি সেটা যে কোন কিছুর অতিরঞ্জনই হতে পারে, এমন কি জড় বস্তুকে নিয়েও ক্যারিকেচার করা সম্ভব। সোজা ভাষায় কেরিকেচার আসলে ফর্ম (আকার) এর অতিরঞ্জন। আর এ ক্ষেত্রে মাস্টার ক্যারিকেচারিস্টরা বারবারই আমাদের সাবধান করে দিচ্ছেন যে সেটা অতিরঞ্জনই, বিকৃত (Distortion) করা না। অর্থাৎ কোন কিছুকে এমন ভাবে টানাটানি করে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যাতে  সেটা একেবারে রিয়েলিস্টিক কিছুও না থাকে আবার তাকে যেন সেই অবস্থাতে চেনাও যায়। চেনা যাওয়াটা এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমন ভাবে কোন কিছুকে উল্টেপাল্টে দেয়া হল যে মূল ব্যপারটাই বোঝা গেল না তাহলে সেটা আর যাই হোক ক্যারিকেচার না। এবার কথা হল মানুষ কবে থেকে এই জিনিসটা শুরু করল? এবং সেটা কেন? এর দরকারটাই বা কী?

আসলে আমরা যদি ক্যারিকেচারের ওপরের সংজ্ঞাটা মেনে নেই তাহলে বলতে হবে ক্যারিকেচারের ইতিহাস প্রায় মানুষের ইতিহাসের সমান বয়সী! কারণ গুহাচিত্রে আমরা যা দেখি তা আর যাই হোক কোনভাবেই রিয়েলিস্টিক ফটোফিনিশড ছবি না। মানুষ তাদের শিকার করার ঘটনাগুলিকে অতিরঞ্জিত করে আঁকত। মানুষ আর পশুগুলির ফিগারের ফর্ম আসল ফিগারের অতিরঞ্জন। অর্থাৎ ক্যারিকেচার। মানে কি না এই ছবিগুলিতে মানুষের অবয়ব হুবহু না এঁকে তার ‘ভাব’ (Essence) টা ধরার চেষ্টা করেছে। মজার ব্যপার হল বর্তমানের আধুনিক চিত্রকলাও কিন্তু সেই একই দিকে যাচ্ছে। আধুনিক চিত্রকলায় ফর্মের সরলীকরণ (Simplification) আর ভাবের অতিরঞ্জন (Exaggeration) এই দুইদিকে জোর দিয়েই নিত্যনতুন গবেষণা চলছে। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে আমরা কার্টুন-ক্যারিচারকে আদিম আর আধুনিকের একটা দারুণ ককটেল বলে চালিয়ে দিতে পারি। কারণ কার্টুন-ক্যারিচার এই দুইটা ব্যপারের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে। এখানে সবচেয়ে জটিল ফর্মটাকে সবচেয়ে সহজে এঁকে ভেতরের ভাবটায় রঙ চড়িয়ে প্রকাশ করাটাই আসল মুন্সীয়ানা। (এবারে ইতিহাসফাঁস অংশে প্রবেশ করা যাক)


বারোক যুগ ও আনিবেল কারাচচি

চিত্রকলার ইতিহাসে ষোড়শ শতকের দিকে মধ্য ইউরোপে একটি নতুন ধারা দেখা যায়। ধারাটির নাম ‘বারোক’ (Baroque). বারোক পেইন্টারদের মূল বৈশিষ্ট্য ছিলো তারা  রোমান্টিক ঘরানা থেকে সরে এসে প্রকৃতির রূঢ় বাস্তবের কথা বলতে শুরু করেন। যেমন কোন একটা অসাধারণ নৈসর্গিক পেইন্টিং এর কোণা দিয়ে একটা মড়ার খুলি এঁকে দিলেন, মানে হল এই জীবন সুন্দর তা মানি, কিন্তু ভুলে যেও  না  একদিন মরতেও হবে। কিঞ্চিত ধর্মীয় ভাব ঘেঁশা বারোক যুগের পেইন্টাররা তাঁদের পেইন্টিংগুলি যাতে মানুষ দেখেই তার মেসেজটা চট করে বুঝে ফেলে সেভাবে আঁকতেন, আর তাঁরা পেইন্টিং এর মূল ভাবটাকে ‘অতিরঞ্জিত’ (exaggerated) করে আঁকতেন। এই বারোক যুগ নিয়ে এত কিছু বলার কারণ হল আমাদের ক্যারিকেচার বস্তুটার প্রাতিষ্ঠানিক জন্ম হয় একজন বারোক পেইন্টারের হাতে, তাঁর নাম আনিবেল কারাচচি (Annibale Caracci)। এই ইতালিয়ান পেইন্টার সর্বপ্রথম ক্যারিকেচার করা শুরু 

আনিবেল কারাচচির আঁকা ক্যারিকেচার।

আরেক বারোক যুগের শিল্পী এড্রিয়ান আট্রেখট এর আঁকা পুষ্প ও করোটি
Still Life with Bouquet and Skull– (Adriaen van Utrecht)
করেন বলে ধরা হয়। ক্যরিকেচারের ইতিহাসে কারাচচির সাথে চিত্রকলার ইতিহাসের আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয় একজন স্বয়ং কারাচচির ভাই আগস্তিনো কারাচচি(Agostino carracci), আরেকজন মহা প্রতিভাধর বার্নিনি (Gianlorenzo Bernini)। বার্নিনি তিন চার টানে মানুষের  ক্যারিকেচার করে ফেলতে পারতেন। পাপাসির যুগে এই কারণে তাঁর বেশ কদরও ছিল। প্রথমদিকে ক্যারিকেচার এই ইটালি আর  ফ্রান্সের একটা নির্দিষ্ট মহলের শিল্পবোদ্ধাদের
বার্নিনির আঁকা নিজের ক্যারিকেচার


আগস্তিনো কারাচচির ক্যারিকেচার
মধ্যে আটকা থাকলেও অচিরেই গোটা ইউরোপে তা ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায় এই নতুন অদ্ভুত আর মজাদার মাধ্যমটির জনপ্রিয় হতে বেশী সময় লাগছে না। মজার ব্যপার হল কারাচচি ভ্রাতৃদ্বয় বা বার্নিনির অনেক আগেই মোনালিসার আর্টিস্ট লিওনার্দো দ্যা ভিনচি ক্যারিকেচার শুরু করেছিলেন (এই লোক আসলে কিছুই ছাড়েননি)! মানুষের চেহারার আসল ‘ভাব’



লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির করা ক্যারিকেচার স্টাডি
 কিভাবে অতিরঞ্জিত করে আঁকা যায় তা নিয়ে বেশ কিছু স্টাডি তিনি করে গেছেন।  এমনকি মানুষের হাসি কিভাবে আঁকা যায় (সে সময় কথায় কথায় স্মাইলি এঁকে ফেলাটা সহজ ছিলো না) সেটা দেখতে তিনি মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধবদের দাওয়াত দিয়ে তাদের কৌতুক শোনাতেন- উদ্দেশ্য, হাসি স্টাডি। আবার ইটালির পম্পেই নগরীতে তারো আগের কিছু গ্রাফিতি (দেয়ালচিত্র) ক্যারিকেচার পাওয়া যায়। অর্থাৎ কারাচচি পর্বের আরো আগে থেকেই ক্যারিকেচারের চল ছিল। সে যাই হোক, কারাচচি পর্বের পর পর যাঁর নাম না বললেই না তিনি বৃটিশ দিকপাল আঁকিয়ে উইলিয়াম হোগার্থ । উইলিয়াম 


দ্যা বেঞ্চ, উইলিয়াম হোগার্থ।
প্লাম্বপুডিং, জেমস গিলারি
হোগার্থ কে একই সাথে পশ্চিমা সিকোয়েনশিয়াল আর্ট- বা কমিক্স এর জনক বলেও ধরা হয়। উইলিয়াম হোগার্থের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল তিনি এই ধরনের ড্রয়িং অর্থাৎ কার্টুন ক্যারিকেচার বা কমিক বুক ঘরানার ড্রয়িং কে সামাজিক রাজনৈতিক স্যটায়ার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। এর আগেও যে সেটা হত সেটা আমরা জানি। কিন্তু এ বিষয়ে হোগার্থ ছিলেন সবিশেষ। হোগার্থের পর পরই যার নাম বলতে হয় তিনি জর্জ ক্র্যুকশ্যাংক (George Cruikshank)এই বৃটিশ ক্যারিকেচারিস্টকে মডার্ন যুগের হোগার্থ বলেও ডাকা হত। ক্রুকশ্যাংক তাঁর ক্যারিকেচারগুলি 
জর্জ ক্র্যুকশ্যাংক এর আঁকা রাজা চতুর্থ জর্জ

আম্ব্রেলা, জর্জ ক্র্যুকশ্যাংক

শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একেবারে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করতেন। আঠারো শতকে এসে বৃটেনে মারি ড্যারিল আর জেমস গিলারি’র হাত ধরে ক্যারিকেচার আরো প্রসারিত হয়। আর সে সময় ফরাসী শিল্পী অনহ্র্যে ডোমিয়ে’ (Honoré Daumier) এসে ক্যারিকেচারের সংজ্ঞাই যেন পালটে দেন। ফর্মের এমন ভাংচুর তিনি করে দেখালেন যা এর আগে ক্যারিকেচারিস্টরা ভাবতেও সাহস করেননি। ক্যারিকেচারের ইতিহাস লিখতে গেলে ফ্রান্স এর এই দোমিয়েরদের


অনহ্র্যে ডোমিয়ে’র আঁকা ক্যরিকেচার
 যুগটাকেই প্রধান বলে মানতে অবে আর ক্যারিকেচারের এই ‘ফরাসী বিপ্লবের’ পুরোধা হিসেবে যাঁর নাম বলা হয় তিনি ফরাসী আঁকিয়ে কাম ক্যারিকেচারিস্ট শ্যার্ল ফিলিপঁ (Charles Philipon) তিনি লা কারিকাতুরা (La Caricature) নামে একটি রাজনৈতিক স্যাটায়ারিকাল ম্যাগাজিনই বের করেন। এবং সে সময়ের অনেক নাম করা ক্যারিকেচারিস্ট (একটু আগে বলা দোমিয়ের সহ) এই ম্যাগাজিনে কাজ করতেন। রাজতন্ত্রের ওই যুগে তিনি রাজা প্রথম লুই ফিলিপ (Louis Philippe I ) এর ক্যারিকেচার করেন। যাতে দেখা যায় রাজার মুখটা আস্তে আস্তে একটা নাশপাতি হয়ে যাচ্ছে। ফ্রান্স এ 


শার্ল ফিলিপঁ এর আঁকা নাশপাতি রাজা।
এর মানে হল মাথামোটা। ব্যস সাথে সাথে আদালতের সমন এসে হাজির, তৎক্ষণাত গ্রেফতার হন এই ক্যারিকেচারিস্ট। ক্যারিকেচারের ইতিহাসের সাথে এই ফ্রান্সের রাজতন্ত্রের একটা বিরাট যোগাযোগ আছে বলে ধরা হয়। এ সময় প্রচুর প্রতিভাবান শিল্পী রাজতন্ত্রের খামখেয়ালীপনায় পড়ে বেকার হয়ে যান। সেই ক্ষোভ একে একে রাজনৈতিক ক্যারিকেচারকে আশ্রয় করে ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে। অর্থাৎ এ সময় পর্যন্ত  ক্যারিকেচারের মূল বক্তব্য ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক। সবকিছু পালটে গেল এসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ক্যারিকেচার
ঊনিশ শতকে এসে খবরের কাগজে ক্যারিকেচার প্রকাশের হিড়িক পড়লো। আর এবারে সেটা শুধু রাজনৈতিক স্যাটায়ার নিয়েই বসে থাকলো না তার সাথে প্রকাশ পেতে থাকলো বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের মজাদার সব ক্যারিকেচার-ও। যদিও তার মধ্যে রাজনৈতিক সেলিব্রটিরাই প্রাধান্য পেতেন। আর বলাই বাহুল্য যে সেইসব সেলিব্রেটিরা সেসব দেখে সবাই মজা পেতেন না। তাই ঝামেলা এড়াতে ক্যারিকেচারিস্টরা বেশিরভাগ সময়েই ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পর ক্যারিকেচার যেন পৃন্ট মিডিয়ার অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠলো। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে  তখন এমনকি ফটোগ্রাফের চাইতেও ক্যারিকেচারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেল। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমত ক্যারিকেচার বিপ্লব ঘটে গেল। সে সময়টাকে ক্যারিকেচারের রেনেসাঁ যুগ বললেও ভুল বলা হবে না। সে সময়ে আল হির্শফিল্ড, মিগুয়েল কোভারুবিয়াস এর মত ক্যারিকেচার শিল্পীরা দেখালেন ক্যারিকেচার মানেই শুধু কারো চেহারা 


আল হির্শফিল্ডের আঁকা হিচককের ক্যরিকেচার
মিগুয়েল কোভারুবিয়াস আঁকা ক্যরিকেচার
ভয়ানক করে আঁকা না, ক্যারিকেচার এমন রঙ্গীন ও কুশলীভাবে করা যায় যাতে যার ক্যারিকেচার করা হল তিনি নিজেও  ব্যাপারটা উপভোগ করতে পারেন।  অর্থাৎ ক্যারিকেচার তখন তার নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরেও ছড়িয়ে গেল। বিভিন্ন ফ্যাশন ম্যগাজিন, দৈনিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে একজন ক্যারিকেচারিস্ট তখন লাগবেই। একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে সে সময় ফাইন আর্টস থেকে পাশ করেননি এমন ক্যারিকেচারিস্ট ছিলো না বললেই চলে।  মানে রীতিমতন আর্ট কলেজ থেকে পাশ করা আঁকিবুকির ব্যকরণ জানেওয়ালারাই তখন এই কাজটা করতেন। কারণ
নিজের ক্যরিকেচার, থমাস নাস্ট
স্যার ম্যাক্স বিরবঅম


একজন ক্যারিকেচারিস্ট কে অবশ্যই প্রথমে একজন ভালো পোর্ট্রেইট আর্টিস্ট হতে হবে, আগে জানা তারপর সেটা ভাঙ্গা। সে যাই হোক হির্শফিল্ড, কোভারুবিয়াস ছাড়াও সেই সময়ের এমন দিকপাল কজন আঁকিয়ের মধ্যে আরো ছিলেন জন্মসূত্র জার্মান-আমেরিকান কার্টুনিস্ট থমাস নাস্ট (Thomas Nast) স্যার ম্যাক্স বিরবঅম (Sir Max Birbohm) ইত্যাদি। ক্যারিকেচারের আধুনিক যুগ শুরুর আগে পর্যন্ত এই হল এর ছোটখাট ইতিহাস।

Cover for Rosh+Alo


রস+আলো'র সাইজ পাল্টেছে তাতে হয়েছে এক বিপদ। বড়ো করে ড্রিয়ং ছাপা হচ্ছে মানে একই ড্রয়িং এখন আরো ডিটেইল এ আঁকতে হচ্ছে। নাইলে ধ্যাব ধ্যাবে হয়ে হয়ে যে কোন ছোট খুঁত বড় হয়ে চোখে পড়ে। তবে ছাপা হবার পর দেখতে ভালোই লাগে। এবারের প্রচ্ছদ। সবাই ঈদের ছুটি সেরে বাড়ি ফিরবে তাই হালের রজনীকান্ত মার্কা বাঙ্গাল হিরো অনন্ত জলিল এর ছবি নামানুসারে করা 'পান'।

August 02, 2014

Done for Save Gaza Cartoon Exhibition

পরশু দুপুরে একটা মেইল পেলাম। মূহাম্মদ সাবানেহ নামের কেউ একজন ই-নেইল করেছে। নামটা চেনা লাগলো। খুলে দেখি ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট। কার্টুন মুভমেন্টে আমাএ এন্টৃগুলিতে প্রায়ই কমেন্ট করত। এখন মেইল করার কারণ সে এই সপ্তাহে ফিলিস্তিনের রামাল্লায় একটা কার্টুন প্রদর্শনী করতে চায়। আমাকে আঁকতে বলেছে। সাথে সাথে বসে গেলাম আঁকতে সময় নিয়ে আরো দু'টো পাঠাবো ভাবছি। এই ভয়ানক অন্যায়ের বিরুদ্ধে আর কি-ই বা করার আছে আমার?



Caricature


তোবা গার্মেন্টস (এবং তাজরীন হত্যাকাণ্ডের হোতা) এর মালিক দেলোয়ার। এদের আঁকার আগে অনেক্ষণ তাকিয়ে দেখি। কত রকমের মানুষ হয় পৃথিবীতে।

চলছে ফরেন কমিকস