November 22, 2020

IBRAHIM Bangladeshi superhero comics character suit design

ঢাকা কমিকসের সুপারহিরো কমিক্স ইব্রাহীম সিরিজের জন্যে আমরা একটা সুপারহিরো স্যুট ডিজাইন প্রতিযোগিতা ডেকেছিলাম, দারুণ দারুণ সব কাজ জমা পড়েছে সেখানে, সেসব থেকে ইন্সপিরেশন নিয়ে ফাইনালি একটা ডিজাইন করলাম। আঁকবে এড্রিয়ান অনীক। তার জন্যে সাজেশন আকারে করা। 

সিরিজটা যারা পড়েন নি পড়ে দেখতে পারেন, আমার নিজের বেশ পছন্দ। এবং এর গল্পের সামনে সম্ভাবনা গুলিও বেশ দারুণ মনে হচ্ছে। 


 

November 01, 2020

Dhaka Comics banner


ঢাকা কমিক্স নিয়ে একটু সিরিয়াস হয়েছি ইদানীং। ব্যবসা মটেও আমার কাজ না, কিন্তু করতে মন্দ লাগছে না। ব্যাপারটা অনেকোটা বুদ্ধির গেম খেলার মত। খালি হিসাব নিকাশটা অটোমেটিক ব্যকাগ্রাউন্ডে হলে মন্দ হতো না। দেখতে দেখতে সাত বছর পার করে ফেলছি ঢাকা কমিক্স নিয়ে। কত কী যে ঘটনা জমেছে। কার্টুনিস্ট বলেই সম্ভবত সব ভয়ানক বিরক্তিকর ঘওটনাগুলিও দিন শেষে হাসির ঘটনা মনে হয়। প্রতদিন ঘটছেও কম না। সবচেয়ে মজার হয় বিজনেস নাম্বারে যে কলগুলো আসে সেখানে, যেমন কাল ফোন আসলো-

-ভাই ঢাকা কমিক্স? 

-জ্বী

-আমি আজিজ সুপার মার্কেট থেকে বলতেছি, পারসোনা থেকে।

(আজিজ এ পারসোনা খুলেছে? বলে কী? আর তারা ঢাকা কমিক্স চাচ্ছে? মানে কী?)

-জ্বী বলেন, পারসোনা? পারসোনা আজিজে এ?

একটু পরে জানা গেল, পারসোনা না, পাঠশালা। একটা বইয়ের দোকান। তাদের বই লাগবে।

সেই বই পরে কিভাবে দেওয়া হল সে আরেক কাহিনি। 

যাই হোক। সামনে বইয়ের দোকান গুলিতে আমাদের ডিসপ্লে বাড়াতে বুক স্ট্যান্ড দেয়া হবে। সেই স্ট্যান্ডের একটা প্রোমোশনাল স্টিকার আঁকলাম আজকে। সামনে স্ট্যান্ডের ছবিও দেয়া  হবে।

August 19, 2020

কাজীদা'!


বেশ অনেকদিন পরে আবার দেখা হল জীবন্ত কিংবদন্তী কাজী আনোয়ার হোসেন- কাজীদা'র সাথে। অনেকদিন পরে আবার সেই রমনা পেরিয়ে শিল্পকলার পাশ দিয়ে চেনা সেগুন বাগিচা। ঢাকা যখন ঠিক শহর হয়ে ওঠেনি তখনকার একটা দালান, বাড়ির মালিকের নামে সড়কের নাম- কাজী মোতাহার হোসেন সড়ক। দেয়ালে ছোট সাইনবোর্ডে লেখা- সেবা প্রকাশনী।

এই নামটা দেখলেই আমাদের প্রজন্মের সবার বুকের মধ্যে একটা অন্যরকম কিছু উথলে ওঠে। কত কী স্মৃতি। কত কী গল্প। জীবনের কত অসাধারণ সময় কেটেছে আমাদের এই বইগুলির সাথে। ঢাকা কমিক্স থেকে পঞ্চ রোমাঞ্চ গ্রাফিক নভেল সংকলন করার সুবাদে পরিচয় হয়েছিলো তাঁর সাথে, মূল সমন্বয়ক ছিলেন হাসান খুরিশীদ রুমী ভাই। এবারের বইমেলায় পঞ্চ রোমাঞ্চের প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে যাওয়াতে মার্চেই তাঁর সাথে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু সেই মার্চের ১২ থেকে টানা লক ডাউন, কোয়ারেনটাইন ইত্যাদির ফলে আর যাওয়া হয়নি। 

ক'দিন আগে (ঠিক যখন পালং শাক ধুচ্ছি :P) কাজীদা'র কল! তাঁর নাতির বায়না এক সেট ঢাকা কমিকসের বই চাই। তথাস্তু। তাই নিয়ে আজ সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম। সেই সাথে আমাদের দুর্জয় সিরিজের বই তাঁকে দিয়ে অনুরোধ করলাম সেই বই সহ তাঁর একটা ছবি তুলতে চাই। দুর্জয়ের লেখক ও আঁকিয়ে তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ ভাই কাজীদা'র হাতেই প্রথম আঁকাআঁকি শুরু করেন সেই ১৩ বছর বয়সে। তাই তিনি এই ছবি পেলে খুশী হবেন এই ভেবেই তোলা। হাসিমুখে বুকে বই নিয়ে পোজ দিলেন কাজীদা'।

মাঝে মাঝে মনে হয় এইটুকু জীবনে যত অসাধারণ বড় মাপের মানুষদের কাছাকাছি এসেছি তা প্রাপ্তির চাইতে অনেক অনেক বেশি।
ভালো থাকুন কাজীদা'- নিরন্তর।
 

August 18, 2020

উন্মাদ উন্মাদ

উন্মাদের জন্যে একটা ফিচার আঁকছি। ঢাকায় শার্লক। স্ক্রিপ্ট এন্ড আইডিয়া বাই ওয়ান এন্ড অনলি আহসান হাবীব। এখনো মনে আছে ১৯৯৮ সালে প্রথম মির্জা গালিব নামেরর যে টিভি সিরিয়াল চলছিলো সেটার স্যাটায়ার আঁকছিলেন আহসান ভাই। আমি তখন ক্লাস টেনের ছাত্র। আমাকে বললেন এই কোণা দিয়ে একটা চেহারা এঁকে দাও, আর পরের পেইজে ব্যাকগ্রাউন্ড। বলেই বললেন-

- ভয় নাই নাম দেবো।

আহসান হাবীব আমাকে আঁকতে বলছেন আর বলছেন নাম দেব। আমি কি নামের জন্যে আঁকছি? ওনার আঁকা ফিচারে হাত দিচ্ছি যখন আমার বয়স ১৬! ভয়ে বুক দূরু দূরু। এবং তখন তো আর ডিজিটালি করার প্রশ্নই নেই, সরাসরি তাঁর আঁকার পাশেই আঁকতে হবে। যা পারি এঁকে দিলাম। এবং পরের মাসে উন্মাদ যখন বের হল আমি ক্রেডিট দেখে তব্দা মেরে গেলাম, সেখানে লেখা-

আঁকা- আহসান/ মেহেদী

আহসান ভাই আপনার মত এরকম অদ্ভূত মানুষ আমি আর দেখিনি। আপনার সাথে এতদিন কাজ করতে করতে আমিও মনে হয় কিছুটা অদ্ভূত হয়ে গেছি। চারিদিকে এত ক্যারিয়ারের ছোটাছুটির মধ্যেও সেই আমার টেবিলে বসে এঁকেই যাচ্ছি, এমন কি এখনো এই বিশ বছর পরেও সমান আগ্রহে উন্মাদের জন্যে আঁকছি সেই একই উত্তেজনায়।
আমাকে 'সফল' হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ। 
 

August 17, 2020

সরলাক্ষ হোমস

 দারুণ মজার একটা ফিচার এর কাজ করছি। শার্লক হোমস আর ওয়াটসন। একটা what if টাইপ কমিক্স ফিচার। 


August 15, 2020

ঢাকা বটস


(আইডিয়াটা এল আর্কিটেক্ট কাম কাটিং এজ ইলাস্ট্রেটর নাঈম এর থেকে। সাথে তাল ঠুকছিলো মাহাতাব রশীদ। তিনে মিলে ধুপ ধাপ কী থেকে কি হয়ে গেলো। একটা ইভেন্ট নেমে গেল। আশা করি এটা প্রতি মাসেই চালানো যাবে। একেক বার একে থিমে। এবং বছর শেষে হবে একটা আর্ট বুক। দেখা যাক, one step at a time. Feeling good.)

আঁকান্তিস নামে আমাদের এই আঁকাআঁকির দলটার স্কেচবুকিং যে শুরু হয়েছিলো তা আজ প্রায় দশ বছর হতে চলেছে! সময় কিভাবে যায় ভেবে অবাক লাগছে। আমাদের এই আঁকাআঁকির কাজ শুরু করার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমাদের অসংখ্য তরুণ ট্যালেন্টেড আঁকিয়েদের জন্যে একটা আমাদের মত করে প্ল্যাটফর্ম বানানো। সাপ্তাহিক স্কেচবুকিং, ক্যারেক্টার ডিজাইন কন্টেস্ট, ক্যারিকেচার কন্টেস্ট ইত্যাদি বেশ কিছু আঁকাআঁকির কার্যক্রম আঁকান্তিস থেকেই শুরু করেছিলাম আমরা। সময়ের সাথে সাথে এডমিনদের ব্যক্তিগত ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়াতে এইসব কার্যক্রম প্রায় থেমেই যায়। যদিও আঁকান্তিস থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে আরো অনেকে স্কেচবুক, ক্যারেক্টার ডিজাইন ইত্যাদি শুরু করেছেন। যেটা আমরা মনে করি আমাদের একটা দারুণ সাফল্য। আমাদের মূল উদ্দেশ্য এটাই ছিলো। যত মানুষকে আমরা আমাদের সেই আঁকাআঁকির আড্ডাখানা থেকে উৎসাহিত করতে পারি ততই কাজটা সফল। বছর দশেক পরে এখন আর আমাদের দেশে তরুণ আঁকিয়ের অভাব নেই। দারুণ সব কাজ করছে অনেকেই। তবে একটা ব্যাপার আমাদের একেবারে শুরু থেকে ভাবনা ছিলো। সেটা হল আমরা কিভাবে ‘আমাদের’ মত করে ভিজুয়াল তৈরী করতে পারি। আমাদের শেখাটা হয় পশ্চিমা গতানুগতিক সব ভিজুয়াল দেখতে দেখতে। তাই তার বাইরে কাজ করাটা কঠিন। কিন্তু চাকা আবার আবিষ্কারের যেমন মানে নেই তেমনি বাইরের কোটি কোটি গতানুগতিক ভিজুয়াল আবার নতুন করে আমাদের আঁকার মানে নেই। তাই আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটা নতুন ভিজুয়াল করার চেষ্টা করি না কেন? আঁকান্তিসের প্রথম উদ্দেশ্য তো সেটাই ছিলো। আর যেহেতু অনেকেই যে যার মত করে চেষ্টা করে চলেছে নতুন কিছু করার, সে ক্ষেত্রে আঁকান্তিস থেকেই আবার সেই আগের মত শুরু করা যাক নিজেদের ভিজুয়াল তৈরী করার প্র্যাকটিস। পরীক্ষামুলকভাবে আমরা এবারে ছাড়ছি একটি প্রতিযোগিতা। নিচে সেটার ডিটেইল দিয়ে দেয়া হল।

আঁকান্তিস ক্যরেক্টার ডিজাইন চ্যালেঞ্জ: সাইবার 90s ঢাকা বটস

অনেকটা what if ধরনের কাজ। ধরা যাক বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই রোবটিক্স বেশ ভালো ডেভেলপ করেছে। (অবশ্যই আমাদের মত জোড়াতালি পদ্ধতিতে, হাবিজাবি জিনিসপত্র মিলিয়ে) এবং নব্বইয়ের দশকে ঢাকায় রোবোট একেবারে চারিদিকে গিজগিজ করছে। তাহলে কেমন হবার কথা ছিল সেইসব রোবটদের? সেটাই তুলে ধরতে আঁকুন-

কী করতে হবে:

১. একটা রোবোট/ মেকা ক্যারেক্টার। মূল জোর দিতে হবে গল্প বলা ও সেটা কতটুকু আমাদের লোকাল জিনিসপত্র দিয়ে বানানো যায় লোকাল কাজের জন্যে বিশ্বাসযোগ্য করে।

২. সাথে একটা/ একাধিক মানুষ ক্যারেক্টার থাকতে পারে, তবে সেই ক্যারেক্টার যেন মুল ‘বট’ কে ছাড়িয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে যায়।

 

কিছু কমন প্রশ্নোত্তর:

১. ভাইয়া কয়টা কাজ জমা দেয়া যাবে?

উঃ যতগুলি ইচ্ছা, তবে স্প্যামিং না করে সবথেকে ভালোটা দিন।

 

২. ভাইয়া ডিজিটালি করতে হবে?

উঃ না, যে কোন মিডিয়াতেই করতে পারেন। তবে হাতে আঁকলে সেটার ছবি তুলে/ স্ক্যান করে পাঠাতে হবে। পরে পুরস্কৃত হলে অরিজিনাল কপিটি নিজ দায়িত্বে পাঠাতে হবে। সেটা অফেরৎযোগ্য।

 

৩. আগের কাজ দেয়া যাবে?

উঃ না, আগের আইডিয়া নতুন করে আবার করা যেতে পারে, তবে আগে আঁকা কাজ দেয়া হয়েছে এমন হলে সেটা বাতিল হবে।

 

৪. ডিজিটালি পাঠালে রেজোলিউশন কত হবে? মাপ কী হবে?

উঃ মাপ অতটা নির্দিষ্ট নেই, তবে A4 কাগজের অনুপাত (8.27X11.69) রাখতে পারেন। ল্যান্ডস্কেপ বা পোর্ট্রেইট যেভাবে ইচ্ছা।

ডিজিটাল কাজের ক্ষেত্রে রেজোলিউশন অন্তুত 300 DPI

 

আর আঁকান্তিসের এডমিন বা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কেউ পুরস্কারের জন্যে বিবেচিত হবেন না!

 

জমার শেষ তারিখ:

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

যেভাবে দিতে হবে: কাজ পোস্ট করে দিন আঁকান্তিস গ্রুপে হ্যাশট্যাগ রাখুন #Dhakabots90s কাজের প্রগ্রেস (WIP) ধাপে ধাপে চাইলে দিতে পারেন। ফাইনাল কাজ জমা দিন akantischool@gmail.com এ। ইমেইলের কাজটিই ফাইনাল ধরা হবে।

 

জুরি:

আঁকান্তিসের এডমিন প্যানেল থেকে জুরি করা হবে।

 

পুরস্কার

প্রথম পুরস্কার: আঁকান্তিস গোল্ডেন ক্রেস্ট ও সনদ

দ্বিতীয় পুরস্কার: আঁকান্তিস সিলভার ক্রেস্ট ও সনদ এবং আঁকান্তিস স্কুলের যে কোন একটি অনলাইন কোর্সে ফ্রি এক্সেস।

তৃতীয় পুরস্কার: আঁকান্তিস সিলভার ক্রেস্ট ও সনদ

 

·         আঁকান্তিস আর্ট বুক: আমরা প্রতি মাসে এরকম নির্দিষ্ট থিম নিয়ে এরকম একটা প্রতিযোগিতা করার প্ল্যান করছি। তার কাজগুলি নিয়ে করা হবে আর্ট বুক। প্রিন্ট হবে বইমেলায়। তবে সেটা প্রি অর্ডার পদ্ধতিতে করা হবে।


August 03, 2020

Anatomy and value

Trying to getting out from comfort zone, Anatomy and value paint study from memory.

July 26, 2020

Anatomy study in the time of CORONA

Passing a difficult time since MITU has been tested as Corona positive and is now been admitted in a hospital. And the only thing I can do now beside her is drawing. Hope this ominous time will be over. 

July 17, 2020

Color study: Confrontation

প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি, রঙ খুবই দারুণ একটা জিনিস। আয়ত্তে আসতে অনেক দেরী যদিও, তবে মজা পাচ্ছি বেশ। হাতে কলমে অ্যাক্রিলিক এ বা পোস্টার কালারে  করলে আমার ধারনা আরো মজা পাবো।

July 16, 2020

Bed time story

Did this old concept as a value study, overjoyed the process.

learning Zbrush

জি ব্রাশ নামের একটা ডিজিটাল স্কাল্পটিং সফটওয়ার শেখার ইচ্ছে ছিল অনেক আগে থেকেই। সুযোগটা এসে গেল মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন ভাই (টুমরো) এর কল্যাণে। যা হয়, প্রথম দিকে খবর হয়ে যায় বুঝতে, তাও জিনিসটা দারুণ। টুকটাক যা শিখলাম তা থেকে হাবিজাবি বানাচ্ছি, আজ বানালাম মিতুর মাথা। :P


July 02, 2020

Water color study

Messed up the figure, but enjoyed the drawing a lot, a little bit photoshop touch up.

Drafting a children book

বেশ মজার একটা ছোটদের বই আঁকছি। প্রথম ধাপে ইদানীং পেন্সিল রাফের সাথে সাথে কিছু শেড দিয়ে ভ্যালু ব্লক করে নেই। পরে রঙ করতে বেশ সুবিধা হয়। 



চলছে ফরেন কমিকস