August 15, 2020

ঢাকা বটস


(আইডিয়াটা এল আর্কিটেক্ট কাম কাটিং এজ ইলাস্ট্রেটর নাঈম এর থেকে। সাথে তাল ঠুকছিলো মাহাতাব রশীদ। তিনে মিলে ধুপ ধাপ কী থেকে কি হয়ে গেলো। একটা ইভেন্ট নেমে গেল। আশা করি এটা প্রতি মাসেই চালানো যাবে। একেক বার একে থিমে। এবং বছর শেষে হবে একটা আর্ট বুক। দেখা যাক, one step at a time. Feeling good.)

আঁকান্তিস নামে আমাদের এই আঁকাআঁকির দলটার স্কেচবুকিং যে শুরু হয়েছিলো তা আজ প্রায় দশ বছর হতে চলেছে! সময় কিভাবে যায় ভেবে অবাক লাগছে। আমাদের এই আঁকাআঁকির কাজ শুরু করার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমাদের অসংখ্য তরুণ ট্যালেন্টেড আঁকিয়েদের জন্যে একটা আমাদের মত করে প্ল্যাটফর্ম বানানো। সাপ্তাহিক স্কেচবুকিং, ক্যারেক্টার ডিজাইন কন্টেস্ট, ক্যারিকেচার কন্টেস্ট ইত্যাদি বেশ কিছু আঁকাআঁকির কার্যক্রম আঁকান্তিস থেকেই শুরু করেছিলাম আমরা। সময়ের সাথে সাথে এডমিনদের ব্যক্তিগত ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়াতে এইসব কার্যক্রম প্রায় থেমেই যায়। যদিও আঁকান্তিস থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে আরো অনেকে স্কেচবুক, ক্যারেক্টার ডিজাইন ইত্যাদি শুরু করেছেন। যেটা আমরা মনে করি আমাদের একটা দারুণ সাফল্য। আমাদের মূল উদ্দেশ্য এটাই ছিলো। যত মানুষকে আমরা আমাদের সেই আঁকাআঁকির আড্ডাখানা থেকে উৎসাহিত করতে পারি ততই কাজটা সফল। বছর দশেক পরে এখন আর আমাদের দেশে তরুণ আঁকিয়ের অভাব নেই। দারুণ সব কাজ করছে অনেকেই। তবে একটা ব্যাপার আমাদের একেবারে শুরু থেকে ভাবনা ছিলো। সেটা হল আমরা কিভাবে ‘আমাদের’ মত করে ভিজুয়াল তৈরী করতে পারি। আমাদের শেখাটা হয় পশ্চিমা গতানুগতিক সব ভিজুয়াল দেখতে দেখতে। তাই তার বাইরে কাজ করাটা কঠিন। কিন্তু চাকা আবার আবিষ্কারের যেমন মানে নেই তেমনি বাইরের কোটি কোটি গতানুগতিক ভিজুয়াল আবার নতুন করে আমাদের আঁকার মানে নেই। তাই আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটা নতুন ভিজুয়াল করার চেষ্টা করি না কেন? আঁকান্তিসের প্রথম উদ্দেশ্য তো সেটাই ছিলো। আর যেহেতু অনেকেই যে যার মত করে চেষ্টা করে চলেছে নতুন কিছু করার, সে ক্ষেত্রে আঁকান্তিস থেকেই আবার সেই আগের মত শুরু করা যাক নিজেদের ভিজুয়াল তৈরী করার প্র্যাকটিস। পরীক্ষামুলকভাবে আমরা এবারে ছাড়ছি একটি প্রতিযোগিতা। নিচে সেটার ডিটেইল দিয়ে দেয়া হল।

আঁকান্তিস ক্যরেক্টার ডিজাইন চ্যালেঞ্জ: সাইবার 90s ঢাকা বটস

অনেকটা what if ধরনের কাজ। ধরা যাক বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই রোবটিক্স বেশ ভালো ডেভেলপ করেছে। (অবশ্যই আমাদের মত জোড়াতালি পদ্ধতিতে, হাবিজাবি জিনিসপত্র মিলিয়ে) এবং নব্বইয়ের দশকে ঢাকায় রোবোট একেবারে চারিদিকে গিজগিজ করছে। তাহলে কেমন হবার কথা ছিল সেইসব রোবটদের? সেটাই তুলে ধরতে আঁকুন-

কী করতে হবে:

১. একটা রোবোট/ মেকা ক্যারেক্টার। মূল জোর দিতে হবে গল্প বলা ও সেটা কতটুকু আমাদের লোকাল জিনিসপত্র দিয়ে বানানো যায় লোকাল কাজের জন্যে বিশ্বাসযোগ্য করে।

২. সাথে একটা/ একাধিক মানুষ ক্যারেক্টার থাকতে পারে, তবে সেই ক্যারেক্টার যেন মুল ‘বট’ কে ছাড়িয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে যায়।

 

কিছু কমন প্রশ্নোত্তর:

১. ভাইয়া কয়টা কাজ জমা দেয়া যাবে?

উঃ যতগুলি ইচ্ছা, তবে স্প্যামিং না করে সবথেকে ভালোটা দিন।

 

২. ভাইয়া ডিজিটালি করতে হবে?

উঃ না, যে কোন মিডিয়াতেই করতে পারেন। তবে হাতে আঁকলে সেটার ছবি তুলে/ স্ক্যান করে পাঠাতে হবে। পরে পুরস্কৃত হলে অরিজিনাল কপিটি নিজ দায়িত্বে পাঠাতে হবে। সেটা অফেরৎযোগ্য।

 

৩. আগের কাজ দেয়া যাবে?

উঃ না, আগের আইডিয়া নতুন করে আবার করা যেতে পারে, তবে আগে আঁকা কাজ দেয়া হয়েছে এমন হলে সেটা বাতিল হবে।

 

৪. ডিজিটালি পাঠালে রেজোলিউশন কত হবে? মাপ কী হবে?

উঃ মাপ অতটা নির্দিষ্ট নেই, তবে A4 কাগজের অনুপাত (8.27X11.69) রাখতে পারেন। ল্যান্ডস্কেপ বা পোর্ট্রেইট যেভাবে ইচ্ছা।

ডিজিটাল কাজের ক্ষেত্রে রেজোলিউশন অন্তুত 300 DPI

 

আর আঁকান্তিসের এডমিন বা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কেউ পুরস্কারের জন্যে বিবেচিত হবেন না!

 

জমার শেষ তারিখ:

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

যেভাবে দিতে হবে: কাজ পোস্ট করে দিন আঁকান্তিস গ্রুপে হ্যাশট্যাগ রাখুন #Dhakabots90s কাজের প্রগ্রেস (WIP) ধাপে ধাপে চাইলে দিতে পারেন। ফাইনাল কাজ জমা দিন akantischool@gmail.com এ। ইমেইলের কাজটিই ফাইনাল ধরা হবে।

 

জুরি:

আঁকান্তিসের এডমিন প্যানেল থেকে জুরি করা হবে।

 

পুরস্কার

প্রথম পুরস্কার: আঁকান্তিস গোল্ডেন ক্রেস্ট ও সনদ

দ্বিতীয় পুরস্কার: আঁকান্তিস সিলভার ক্রেস্ট ও সনদ এবং আঁকান্তিস স্কুলের যে কোন একটি অনলাইন কোর্সে ফ্রি এক্সেস।

তৃতীয় পুরস্কার: আঁকান্তিস সিলভার ক্রেস্ট ও সনদ

 

·         আঁকান্তিস আর্ট বুক: আমরা প্রতি মাসে এরকম নির্দিষ্ট থিম নিয়ে এরকম একটা প্রতিযোগিতা করার প্ল্যান করছি। তার কাজগুলি নিয়ে করা হবে আর্ট বুক। প্রিন্ট হবে বইমেলায়। তবে সেটা প্রি অর্ডার পদ্ধতিতে করা হবে।


2 comments:

  1. Thank you very much sir. By the way, do I have to make the story too big??? Like a normal story??

    ReplyDelete

হ্যাংওভার কাটিয়ে

একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...