আমি আসলে এই জিনিস পারি না, তাই সেটা সহজে করার একটা টেকনিক বের করেছি। এটাই একমাত্র উপায় না নিশ্চই, এবং বছর পাঁচেক পরেও যে আমি এভাবে আঁকব তার কোন নিশ্চয়তা নেই, তাও টেকনিকটা এখানে তুলে রাখা যাক, কারো কাজে লাগতে পারে।
প্রথমে একটা হালকা রঙ পুরো ক্যানভাসে ফিল মারা হ্ল।
এবারে সবচেয়ে ফাঁকির ধাপ, কয়েক দিকে বড় বড় কিছু ফর্ম এঁকে 'আটকানো হল' কম্পোজিশন।
এটা কিভাবে কোনদিকে দেব সেটা বুঝতে হলে কিছু ভাল কনসেপ্ট আর্ট দেখে
আগে এই বড় ফর্মগুলি বের করলে ভালো। বেশিরভাগ এনভায়রনমেন্ট এ দুই কোণা দিয়ে
কিছু এমন আন্তাজমারি জিনিস থাকে। ভাঙ্গা দালান, পাহাড়, গাছ ইত্যাদি। আসলে এটা দিয়েই মূল আঁকার কাজ
কমায়ে আনা যায়, এই পার্ট টা আমি খুব এনজয় করি। বিগ ফর্ম চাংক কই হবে সেটা ভালভাবে প্লেস করলেই কাজ
হাতে চলে আসে নীচে কিছু উদাহরণ দেই
খুব একটা সুবিধার হল না যদিও তবে বোঝানোর চেষ্টা করা হল যে আসলে অনেক ডিটেইল যেই
পার্টগুলি আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয় সেগুলি আসলে প্রথমের সেই বড় কিছু ফর্ম।
এবারে মাঝামাঝি একটা টোন দিলাম, এটাকে বলা যাক মিডগ্রাউন্ড, পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড
সামনে ফোরগ্রাউন্ড, মাঝে মিডগ্রাউন্ড
মিডগ্রাউন্ড এ কিছু মানুষ টাইপ জিনিস বসালাম। এনভায়রন্মেন্ট এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ব্যাপার হল হিউম্যান স্কেল, মানে যা আঁকছি সেটা মানুষের তুলনায় কত বড় সেটা বোঝানো জরুরি। সামনে বড় করে সাবজেক্ট আঁকা থাকলেও আমার মতে পেছনের দিকে কিছু ছোট করে মানুষ এঁকে স্কেল পার্স্পেক্টিভটা বোঝানো দরকার
একেবারে পেছনে কিছু সেকেন্ডারি ফর্ম। এই পার্ট টা বোঝা জরুরি। কারণ এইগুলি মূল ঝামেলাটা পাকায়।
পেইন্টিং দেখলে মনে হয়, অরে বাপ- কি ডিটেইল। আসলে এই পিছনের ফর্ম গুলির ভ্যালু হহয় লো, আর ডিটেইল আরো কম।
কিন্তু এটা একটা ভিজ্যুয়াল চালাকি তৈরী করে। মনে হয় না জানি কত ডিটেইল। এই পার্ট টায় তাই খুব বেশী
সময় না দিয়ে কিছু গ্রেডিয়েন্ট টেক্সচার মেরে একটা এসেন্স দিয়ে ছেড়ে দেয়াই ভাল।
আমার মতে সব টেকনিক ছাপিয়ে যে কোন আর্ট ওয়ার্কের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট- ছবি দিয়ে একটা স্টোরি বলা।
সামনের পাথর (বা যাই হোক সেটা) এর ওপর একজন মানুষের দুই পা দেয়া হল। হাতে তরবারী। অলরেডি কিন্তু
দর্শকদের মধ্যে ঘটনাটা কী জানার আগ্রহ তৈরী হয়ে গেলো। সামনে যারা আসছে তারা কারা? এই লোকটা কে?
এখন কি যুদ্ধ শুরু হবে? নাকি এরা একই দলের? ড্রয়িং যতই ভাল হোক সেটা
একটা স্টোরি বলার চেষ্টা না করলে আসলে তার গুরুত্ব অনেক কমে যায়।
এবারে কিছু র্যানডম গ্রেডিয়েন্ট (খেয়াল করুন পেছনে কিন্তু এমনি কিছু কানেক্টিং
ডালপালা আঁকা হয়েছে জামানোর জন্যে)
এবারে ডিজিটাল মিডিয়ার সুবিধা নিলাম, কালার পাল্টে নিলাম
(Ctrl+U চাপুন আর স্লাইডার ডান বাম করে বুঝে নিন) সাথে কিছু পাথর টাইপ টেক্সচার
আমার একগাদা গাছের ব্রাশ নামানো আছে গুগল থেকে, সেটা দিয়ে কয়েকটা ক্যাকটাস বসিয়ে দিলাম।
ব্যস!
ট্র্যাডিশনালিও কাজগুলি এভাবেই করে, চাইলে JOHN NAVAREZ এর কিছু পেন্সিল এ করা এনভায়রনমেন্ট থাম্বনেইল দেখতে পারেন।
জোস!
ReplyDeleteএই পোষ্টটা আমার ডিজিটাল ড্রয়িং এ অনেক হেল্প করবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ReplyDelete