জল রঙ পারি না। তার ওপর গত কয়েক বছর টানা ডিজিটালি আঁকতে আঁকতে আজকে জল রঙ্গের সেট বের করতে গিয়ে দেখি ধুলো পড়ে বাজে অবস্থা। রঙ টং শুকিয়ে নাই হয়ে আছে। গ্যাম্বোগ ইয়েলো তো খুঁজেই পেলাম না। কেমন একটু অপরাধী অপরাধী লাগলো। উন্মাদ এর কোরবানী ঈদ সংখ্যার কভার করার কথা, নতুন কার্টৃজ এর খাতা আর এক গাদা তুলি কালির সেট নিয়ে অনেকদিন পর আমার বার্মাটিক এর টেবিলটায় বসলাম। আঁকার আগে খালি মাথায় ভরে নিতে হল- এইখানে আনডু নাই। যা করলাম তার ধারাবাহিক ফটো তোলার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু পরে আর হয় নি। বেশ কিছু ফেইজ টানা এঁকে গেছি মাঝে ছবি তোলা হয় নি।
বলপেন এ পেন্সিল ড্রাফট এর ওপর ইংকিং |
আমার টেবিল, আসলে আমার দাদার। বার্মাটিক এর এই টেবিলের বয়স ১২০ বছর। আমার বাবা এই টেবিলেই পড়াশোনা করেছেন, আমিও। আমার সব আঁকাআঁকির ৮০ ভাগ এই টেবিলেই করা। (নস্টালজিক হয়ে গেছি একটু) |
এবারে বার্ন্ট সিয়েনার আস্তর (গ্রিনিশ করে করতে চেয়েছিলাম, রঙ খুঁজে পাইনি) প্রথম কোট টা শুকানোর পর তুলনামূলক পানি কম মিশিয়ে পরের ধাপে যাই, ব্রাশ ও আস্তে আস্তে চিকনটা নেই |
একটু ক্লোজ লুক, কলম আর চিকন তুলিতে কিছু টেক্সচার যোগ করা। |
পুরো ফ্রেম, লক্ষণীয় যে ওপরের দিকে অনেকগুলি রঙের স্ট্রোক। আসলে মূল পেইন্টিং এ রঙ কেমন হবে সেটা সরাসরি দিয়ে দেখার আগে ওপরের সেইফ জোন এ একবার করে মেখে দেখে নেই, বেশ কাজের |
ক্লোজার লুক (এতদিন পরে টের পেলাম জলরং এ আগে একটা ফ্রেশনেস আনতে পারতাম এখন কেমন যেন স্টিফ আর ওপেক ওপেক টাইপ ই হয়ে গেলো। আরো প্র্যাকটিস করতে হবে এখন থেকে) |
কাজের মাঝে এক বিরক্তিকর আবির্ভাব ছিল। এর সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। দিনে দিনে আমাদের পার্সোনালিটি আর ইগো ক্ল্যাশ চরমে যাচ্ছে। |
No comments:
Post a Comment