নতুন ঠিকানায় এখনো সব অগোছালো। মিতু আর আমি মিলে আমাদের প্রবল অ-বৈষয়িক জীবনের মধ্যেও কিভাবে কিভাবে একটা ফ্ল্যাট কিনে ফেলেছি। এখনো সেটা হজম হয়নি। বাকি জীবন খুব সম্ভব আমাদের ঠিকানা হবে এই তল্লাবাগ, সোবহানবাগ। জায়গাটা বেশ পুরোনো আবাসিক। পুরোনো আবাসিক এলাকায় একটা আলাদা ঘ্রাণ আছে, সেটা খুবই হালকা কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন সেটা টের পাওয়া যায়। চকচকে এপার্ট্মেন্টের মাঝে হুটহাট দুই একটা দোতলা বারান্দা ওয়ালা বাড়ি। গ্রিলের কারুকাজ সেই নব্বই দশকের কথা মনে করিয়ে দেয়। বারান্দায় ঝুলছে প্রায় তিন প্রজন্মের কাপড় চোপড়। তার মাঝে বাচ্চাদের অনেকগুল ছোট ছোট কাপড়। আর পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই কিছু 'যুবক' মোড়ে মোড়ে পাড়াতো আড্ডা গুলতানি মারছে। হাতের কাছেই হাতে লেখা সাইনবোর্ডের সেলুন। রাজাবাজার মসজিদের গেটে নকশী তোলা আগের আমলের সিরামিক মোটিফ। সব মিলিয়ে বেশ না চাইতেই আপন আপন একটা ব্যাপার। ওদিকে মিরপুর রোড টা পার হলেই আর এই বাতাস টা নেই, সব সেখানে অতি মসৃণ। পাখি বসছে না, মেঘ আটকে আছে কাঁচের দালানে। রাস্তাটা পাড় হলেই এপাড়ের মানুষও কেমন গম্ভীর হয়ে যায়। অবশ্য তারও দরকার আছে। চারিদিক বিচিত্র না হলে নিজের সমস্ত কিছুকে আলাদা করে খেয়াল করা ভার।
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ এ আমাদের এই পুরোনো গন্ধমাখা আবাসিক এলাকায় একটা নতুন জীবন শুরু হল। আশা করি খুব একটা খারাপ কাটবে না এবারে।
আমাদের নতুন ঠিকানায় (বাসা অগোছালো তাই ছাদে উঠে ছবি তোলা, পেছনে তাকালে সংসদ ভবন দেখা যায়, এই ছবিতে অবশ্য নেই) |
No comments:
Post a Comment