নতুন বাসা গুছিয়ে বসার আগেই মিতুর প্রবল জ্বর ও পেটের গণ্ডগোল। অবস্থা এমন দাঁড়াচ্ছিলো যে ডাক্তার বন্ধু মানিক পরামর্শ দিল আইসিডিডিআর, বি এ একটা বুকিং মেরে রাখা যেতে পারে। কী করি না করি ভাবছি এমন সময় ৪ তারিখ ঠিক দুপুর দুইটা থেকে প্রায় পুরো দেশে ব্ল্যাক আউট! জেনারেটর ঘোঁ ঘোঁ করে বেশ কিছুক্ষণ সামলানোর চেষ্টা করে পরে ফুরিয়ে গেলো। কিছুদিন একটা হালকা ভেজা ভেজা ভাব থাকায় অতটা গরম না হলেও দুর্যোগের এরকম জাতীয় ও বাসাতো প্লাস পাড়াতো সংস্করণ সবাই হাত ধরাধরি করে একত্রে চলে আসায় ভেবড়ে গেলাম। অবশ্য রাত সাড়ে ৯ টার দিকেই আবার মোটামুটি সব রি-স্টোর হল। এর মধ্যে মোবাইল ফোনের নেটোয়ার্ক বা ইন্টারনেট ও ছিলো না বললেই চলে।
এসব চুকিয়ে পরদিন উঠে অবশেষে আমার ভীনদেশীয় ক্লায়েন্টদের অবশেষে একটা বলার মত অজুহাত শোনাবো বলে যেই না পিসি খুলেছি, দারুণ এক দুঃসংবাদ। এ যুগের অন্যতম- না বলা যায় প্রধানতম আর্টিস্ট, দক্ষিণ কোরিয়ান কিম জাং গি প্যারিসে হঠাত হার্ট ফেইল করে মারা গেছেন।
ক্ষণজন্মা জিনিয়াস সম্ভবত একেই বলে। বয়স হয়েছিলো ৪৭, এ বয়সেই যা-তা কাজ করে গেছেন। অবিশ্বাস্য আঁকিয়ে ছিলেন। যাইহোক। হুট করে মাথায় ঢুকলো কত সহজ এই চলে যাওয়া। আমি এখন ৩৮ এ আছি। অর্ধেকের বেশি জীবন কত কী করা যেতে পারে ভেবে শেষ করে ফেলছি। বেস্ট কাজ বড় হলে করা যাবে ভাবতে ভাবতে বড় হয়ে হয়ে বুড়ো ও হয়ে যাচ্ছি। কিছু করা তো হয় নি, এবং সামনের দিনে দিন দিন কিছু করা আরো কঠিন ই হবে মনে হচ্ছে। যতই নিজের এত এত কাজ নিয়ে একটা ছদ্ম অহং লাগুক না কেন। আসলে তো গভীরে জানি কত আলসেমিতে অকারণ নষ্ট হচ্ছে একটা জীবন।
এমন মানব জনম কি আর হবে?
যা করো মন তড়ায় করো
এই ভবে।
-----
ভালো থাকুন কিম
No comments:
Post a Comment