December 29, 2013
ল্যাসো
একটা ইন্টারেস্টিং নতুন টেকনিক শিখেছি। ফিল কালার করে তারপর ল্যাসো দিয়ে সিলেক্ট করে করে গ্রেডিয়েন্টের কাজ করা। অনেক দ্রুত বেশ মজার কাজ করা যায়। ধ্রুব'দার একটা চিল্ড্রেন বই পুরোটা এভাবে করে ফেললাম মাত্র চারদিনে। এই কাজটাই এর আগে পেইন্টারলি করে করতে গিয়ে লেজে গোবরে হয়ে গিয়েছিলো। এই টেকনিক অনেক আরামের।
December 25, 2013
December 24, 2013
December 21, 2013
December 19, 2013
December 18, 2013
কথোপকথনঃ রাম মোহন
তাঁকে বলা হয় 'ফাদার অফ ইন্ডিয়ান এনিমেশন'। ইন্ডিয়ার এনিমেশন ইন্ডাস্টৃর যাত্রা একরকম তাঁর হাত ধরেই শুরু। আমরা বাংলাদেশে তাঁকে চিনি তাঁর তৈরী করা মীনা চরিত্রটি দিয়ে। দুই বছর এগে ইউনিসেফ এর ডাকে মীনার একটা এনিমেশন প্রজেক্ট এ ডাক পাই, সে সময় শুনেছিলাম আগের বারে নাকি রামমোহন এসেছিলেন, এবারে শরীর খুব একটা ভালো না তাই আসবেন না। বেশ মন খারাপ নিয়ে ওয়ার্কশপে যাবার দ্বিতীয় দিন আবিষ্কার করলাম শেষ মূহুর্তে উনি এসেছেন! রামমোহন! আমার সামনে! ব্যাপারটা কি অসাধারণ সেটা বোঝানো কঠিন। যাই হোক আমি ওয়ার্কশপে এসেছিলাম গল্প লিখিয়ে হিসেবে। সেই গ্রুপে থাকবেন ভারতের আরেক অসাধারণ লেখিকা দীপা ভালসাভার। কিন্তু আমার চোখ তো খালি পাশের রুমে :( পরে অনেক কিরিঞ্ছি করে কার্টুনিস্ট মিতু কে লেখিকা সাজিয়ে এই রুমে বসিয়ে আমি পাশের রুমে রামমোহনের সাথে বসে পরি। সেবারই প্রথম একটা ধারনা পাই যে আমাদের মূল সমস্যাটা কোথায়। কার্টুন লাইনে এরকম পিতৃসুলভ একজন গুরু (আহসান হাবীব ছাড়া) আমাদের নাই। এই শ্রেনীর মানুষগুলির সব থেকে বড় ব্যাপারটা তাঁরা ভাল আর্টিস্ট বা ভালো এনিমেটর সেটা না, বড় ব্যাপার হল তাঁরা অনেক বড় মনের মানুষ। অনেক সহজ ও স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ। ওয়ার্কশপ শেষে তাঁকে একটা ক্যারিকেচার করে দেই ও চান্সে একটা সাক্ষাৎকার নিয়ে নেই। সেই সাক্ষাৎকার উন্মাদে ছাপা হওয়া
তার পরের সংখ্যাতেই। এখানে সেটা আবার তুলে দেই।
তার পরের সংখ্যাতেই। এখানে সেটা আবার তুলে দেই।
মেহেদী হকঃ স্যার, আমরা জানি আপনাকে ভারতের এনিমেশন
দুনিয়ার জীবন্ত কিংবদন্তি বলা হয়, এবং তার যতটা না আপনার কারীগরি জ্ঞানের জন্য,
তার চেয়ে বেশী আপনার অরিজিন্যালিটি নিয়ে, বলা হয় ইন্ডিয়ান ড্রয়িং এ ‘ভারতীয়’ ঘরানার জনক
আপনি। স্যার আমাদের কি বলবেন কিভাবে আপনার পক্ষে এই দুরূহ ব্যাপার সম্ভব হল?
রামমোহনঃ ওয়েল, এটা আসলে একদিনের ব্যাপার না। আমি এই একই
কাজে আছি আজ ৫০ বছরেরও বেশী, হয়ত করতে করতে হয়ে গেছে, আসলে একটানা লেগে থাকার একটা ব্যাপার আছে।
মেহেদী হকঃ না স্যার মূল যে ব্যাপারটা আসলে জানতে চাচ্ছি
সেটা হল আমরা এখানে বাংলাদেশে অনেক কার্টুনিস্ট -আর্টিস্ট টানা কাজ করে যাচ্ছি,
অনেকেরই ডেডিকেশন বলেন, ট্যালেন্ট বলেন... অভাব নেই, কিন্তু যখনই আমরা নিজস্ব
স্টাইল আনতে যাচ্ছি তখনই কেন যেন সেটা আমাদের না হয়ে বিদেশী ওয়েস্টার্ন ঘরানার মনে হয়। জাপানিজরা যেমন মাঙ্গা[1]
তৈরী করেছে, তারতাকোভস্কি করেছেন নিও-রেট্রো, ল্যাটিন আমেরিকানরা এবং পার্কশিয়ানরা করেছেন নিজেদের মত স্টাইল এবং আপনি করেছেন ভারতে সেখানে আমরা সেটা কেন পারি না?
আমাদের আসলে কী করা উচিত?
রামমোহনঃ দেখো এটা আমি আমাদের ইনস্টিটিউটের সবাইকেও বলি, সেটা হল ‘দেখা’ নিজেদের
স্টাইল করতে অবশ্যই নিজেদেরকে দেখতে হবে। আশেপাশে তাকাতে হবে। আমরা কেমন জামা
পরি, কী খাই, কী পড়ি? আমাদের রঙের প্যাটার্ন ক্যামন ইত্যাদী, এর কোন বিকল্প নেই।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গার কালচারাল ডাইভার্সিটি আছে, চেহারার পার্থক্য আছে, জামা
কাপড় খাওয়া দাওয়া চাল চলন সবই আলাদা আলাদা। আমরা তো ক’দিন আগে ভারতের চারটা প্রদেশ নিয়ে একটা প্রমো বানালাম,
কেরালা, রাজস্থান, তামিল নাড়ু ইত্যাদি। তো তাতে তো আমরা প্রতিটা রাজ্যের আলাদা আলাদা
স্টাইল ডেভেলপ করেছি। যেমন কেরালায় একটা টেরাকোটা স্টাইল আছে ওদের নিজস্ব, আমরা
সেই পার্ট টা ই স্টাইলে করেছি, রাজস্থানে আছে মিনিয়েচার স্টাইল আর্ট, তারপর ওদের
উজ্জ্বল রঙ ইত্যাদি মিলিয়ে তাদের জন্য আলাদা স্টাইল। আসলে একটু খুঁজলে ব্যপারটা
ধরা যায়। আসলে তোমরা যদি তোমাদের লোকজ আর্ট গুলি দেখো... যেমন পটচিত্র তো তোমাদের
একেবারে নিজস্ব, বা গ্রামের পটারি ইত্যাদি থেকে মটিফ নিলে কিন্তু একটা স্টাইল
দাঁড়া করানো যায়।
মেহেদী হকঃ স্যার আপনারা যখন প্রথম কাজ শুরু করেন তখন কি
এভাবে গ্রামাঞ্চল ঘুরে ঘুরে স্টাইল খুঁজতেন?
রামমোহনঃ না না, এমনিতে সবকিছু দেখতাম বটে কিন্তু ঘটা করে আমরা এ কাজটা করতে গ্রামে
যেতাম না, আমরা আরো সহজে কাজটা সারতাম, আমরা যেতাম যাদুঘরে। আমাদের বেশ ভালো
কিছু মিউজিয়াম আছে। যে কোন কালচার স্টাডি করতে সেখানকার সাহায্য নিলেই অনেকটা কাজ
হয়ে যায়।
with legend |
রামমোহনের স্বহস্তে আঁকা মীনার শট ডিভিশন ০১ |
রামমোহনের স্বহস্তে আঁকা মীনার শট ডিভিশন ০২ (দুইটা পেইজই আমি সযত্নে সরিয়ে নিয়ে এসেছি:) |
রামমোহনের সাথে বাঁ থেকে আমি, রামমোহন ও 'লেখিকা' মিতু (পেছনে পুলকদা-ignore his expression he is actually a nice guy) |
বাঁ থেকে (ভাই আপনার নাম ভুলে গেছি এই লেখাটা দেখলে জানান, স্যরি), নাফিস ভাই দ্য বস- অগিলভি তে কাজ করেন আমার দেখা কোন এড ফার্মের সবচেয়ে ভদ্র মানুষ |
রামমোহন কে দেয়া আমার ক্যারিকেচার- লাইভ আঁকা |
আমার খাতায় দেয়া রামমোহনের অটোগ্রাফ |
মেহেদী হকঃ তার মানে কি বলছেন আমাদের এ জাতীয় ফিল্ড স্টাডি করা দরকার?
রামমোহনঃ অবশ্যই, এর কোন বিকল্প নেই, এখনকার আর্টিস্টরা
অনেকটাই কম্পিউটারমুখি হয়ে গেছে, নিজের আশেপাশের দৃশ্য আঁকতে গেলে তারা চারদিকে না
তাকিয়ে আগে মনিটরে সেটা খোঁজে, ইন্টারনেট... ওয়েল এটার সাহায্য অবশ্যই নিতে হবে
কিন্তু এর ওপর পুরো নির্ভর করলে কখনোই অরিজিন্যালিটি আশা করা যায় না।
মেহেদী হকঃ স্যার আরেকটা ব্যপার, আমাদের এখানে কমিক্স
ইন্ডাস্টৃ ডেভলপ করেনি, কিন্তু বেশ কিছু এনিমেশন হাউজ গড়ে উঠেছে, তো আপনি কি মনে
করেন নিজস্ব এনিমেশন ইন্ডাস্টৃ গড়বার আগে কমিক্স শিল্প দাঁড়ানো উচিৎ? নাকি দু’টো পুরো আলাদা ব্যপার?
রামমোহনঃ দু’টো ব্যাপারে যোগাযোগ তো অবশ্যই আছে। বলা ভালো কমিক্স হচ্ছে এনিমেশনের
ভিত্তি, কারণ ওখানেই প্রথম গল্প বলার শিল্পটা চর্চ্চা হয়। আর ড্রয়িং বল ক্যারেক্টার
নিয়ে চিন্তা ভাবনা বল সেটার প্রথম চর্চাটাও তো ওখানেই হয়। যার কমিক্স ইন্ডাস্টৃ যত
সমৃদ্ধ তার এনিমেশন তত ভাল হবে। আর এখন তো অনেকে শুধু গোটা কয়েক সফটওয়ার শিখে নিয়ে
ধরে নেয় সে এনিমেটর হয়ে গেছে। একটা অবজেক্ট মনিটরে ডান থেকে বামে সরালেই যে সেটার
মানে এনিমেশন না এটা অনেকেই বোঝে না। এই সফটোয়ার শেখার কালচার এক অর্থে ইন্ডাস্টৃ কে নষ্ট করছে।
কারণ একজন এনিমেটরের ন্যূনতম কিছু ড্রয়িং সেন্স থাকতে হবে, তার আইডিয়া অন্যদের
সাথে এঁকে অন্তত বুঝিয়ে বলবার ক্ষমতা থাকতে হবে। আর তার বদলে লোকজন শুধু একটা
সফটোয়ার শিখেই ধরে নিচ্ছে সে এনিমেটর। সফটোয়ার তো আসলে একটা ‘টুল’ ছাড়া আর কিছু
না।
মেহেদী হকঃ স্যার আপনি তো এ নিয়ে একাধিকবার বাংলাদেশে এলেন, তো এখানের কার্টুনিস্ট-
এনিমেটরদের নিয়ে আপনার মূল্যায়নটা যদি জানাতেন।
রামমোহনঃ ওয়েল, সত্যি বলতে আমি রীতিমত পুলকিত এই দেশের মেধা দেখে। কারণ কার্টুন নিয়ে
আমার জানামতে কোন ইন্সটিটিউট এখানে না থাকলেও আমি অসংখ্য ট্যালেন্ট এখানে দেখতে
পাচ্ছি। যেমন এই রুমেই এতোজন ট্যালেন্ট একসাথে আছে যা তারা সত্যি বলতে ভারতে এত
সহজে একবারে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তোমাদের মূল সমস্যা হল কোন ইন্সটিটিউট ডেভেলপ
না করা। তোমরা শিখছো নিজেরা নিজেরা। ট্রায়াল এন এরোর পদ্ধতিতে। এভাবে হয়ত আমরা
একজন অপু, একজন সুদি বা একজন মেহেদীকে পাব, কিন্তু এনিমেশন বা কমিক্স ইন্ডাস্টৃ
একটা টিম ওয়ার্ক। এ ক্ষেত্রে ইউ নিড লিডার। কেউ একজন থাকতে হবে যে কি না এটাকে
একটা মুভমেন্ট হিসেবে এগিয়ে নেবে। তুমি জানো আমরা এই এখনো ভারত সরকারের কাছে ধর্না
দিচ্ছি যাতে আমাদের শিশুতোষ চ্যনেলে বাইরের এনিমেশনের পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিদিন তিন ঘন্টা দেশী এনিমেশন দেখায়? এটা
একটা পলিসি। এতে করে লোকাল ইন্ডাস্টৃ দাঁড়াবার একটা সুযোগ পাবে।
মেহেদী হকঃ স্যার আমাদের যেই লোকবল বা অন্যান্য অভিজ্ঞতা
তাতে বিশ্ববাজারে পাল্লা দেয়ার ব্যাপারে খুব বেশী আশাবাদী হওয়া যায় কি?
রামমোহনঃ দেখো বিশ্ববাজার একটা অন্য ব্যপার, আমরা ভারতে
কিন্তু প্রথমে বিশ্ববাজার ভাবিনি। আর কখোনই ভেবো না যে তোমাদের প্রতিযোগিতা ডিজনি
বা পিকজারের সাথে। আসলে তোমাদের প্রাইমারি ভিউয়ার বা রিডার হল তোমার দেশের লোক,
তোমার ভাষার লোক। আর তোমাদের দেশে তো অসাধারণ একটা গিফট আছে- তোমরা সবাই এক ভাষায়
কথা বল! এটা তো ভারতে অকল্পনীয়। তার মানে এক ভাষায় বের করলেই সেটা সবাই বুঝবে। আর
একটা ব্যাপার খেয়াল কর, পাঠক বা দর্শক কিন্তু খুব বেশী কোয়ালিটির ড্রয়িং বা এনিমেশনের
চমৎকারি আশা করে না, তারা আসলে খোঁজে গল্প।
একটা ভাল গল্প হলে আঁকা যেন তেন বা এনিমেশন দূর্বল হলেও সেটা উৎরে যায়। এটা কিন্তু
প্রমাণিত। যেমন ভারতের তুমুল জনপ্রিয় একটা সচিত্র সিরিজ... নাম ছিল... অমর
চিত্রকথা, এমন আহামরি আঁকা না, কিন্তু ওই বই ছিলো না ভারতে এমন বাসা মনে হয় কম
ছিলো। আসলে আমাদের এই ভূখণ্ডের কালচার কিন্তু গল্প বলিয়ে কালচার। আমাদের দাদু নানু
বা কথক ঠাকুর উঠানে বসে গল্প বলে আর সবাই তাকে গোল হয়ে ঘিরে গল্প শোনে। সাথের
ড্রয়িংটা আসলে কম্পলিমেন্টারি। খেয়াল করে দেখো এনিমেশনেও কিন্তু এই স্টাইলটা
ব্যবহার করা যায়। স্টিল পিকচার এর পেছনে কেউ একজন ‘ভয়েস ওভার’ গল্প বলে যাছে, সাথে খুব এলিমেন্টারি
এনিমেশন...
মেহেদী হকঃ কিন্তু স্যার আমাদের এখানে ছোট পর্যায়ে যে ক’টা উদ্যোগ- এনিমেশন বলুন বা কমিক্স নিয়ে বলুন- নেয়া
হয়েছে সেগুলো তো মোটেও ব্যবসা সফল হয় নি, এই টিভি, ইন্টারনেটের যুগে মানুষকে হাতে
আঁকা বই পড়ানো তো প্রায় অসম্ভব ব্যপার।
রামমোহনঃ হ্যাঁ এটা একটা সমস্যা বটে, এবং এটা বিশ্বব্যপী
সমস্যা। তবে ওই ‘অমর চিত্রকথা’ সিরিজের কথাই ধর। ভারতের প্রবাসী বাবা- মা’রা তাদের বাচ্চাদের দেশজ গল্প ও কালচার শেখাতে ওই বই
গুলো কিনতো, সত্যি বলতে তারাই ওই সিরিজের প্রাইমারি ক্রেতা। তো হতে পারে তোমরা
বংলায় লোকজ গল্পকে ইলাস্ট্রেশন করে বাঙ্গালী প্রবাসী বাবা- মা যারা তাদের
বাচ্চাদের জন্য বাংলা বই খুঁজছে তাদের কে টার্গেট গ্রুপ ধরে মাঠে নামলে, ইট কুড বি
এন আইডিয়া।
মেহেদী হকঃ স্যার আপনার এই দীর্ঘ সফল ক্যরিয়ারের এই
পর্যায়ে এসে আপনার সামনের কোন পরিকল্পনার কথা কি জানতে পারি?
রামমোহনঃ পরিকল্পনা হল টু ডু এনিমেশন (স্মিত হেসে) দিস
ইজ মাই ওয়ার্ক।
মেহেদী হকঃ আপনাকে এত সময় ধরে কষ্ট দেবার জন্য ক্ষমা
চাচ্ছি স্যার, বাংলাদেশে স্বাগতম।
রামমোহনঃ থ্যাংক ইউ।
December 15, 2013
December 12, 2013
December 09, 2013
December 04, 2013
কমিক্স কমিক্স কমিক্স!
রিশাদ ০২ এর স্টোরি শিট |
রুহান রুহান এর স্টোরি শিট |
ইঙ্কিং এর কাজ শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি |
হাফটোন এ ভ্যালু ম্যানেজমেন্ট |
এবারে লেটারিং সব হাতেই করছি |
এ ক'দিন টানা কমিক্স এঁকে যাচ্ছি। বেশ মজা পাচ্ছি কাজ করে। মাঙ্গাস্টুডিও সফটওয়ার এ না করলে এত দ্রুত কাজ করা যেত না। এখন গড়ে প্রতিদিন চার পৃষ্ঠা করে আঁকছি। এক সময় মনে আছে দিনে এক পৃষ্ঠা করলে সেটাই অনেক মনে হত। যদিও তারপরেও যথেষ্ট প্রেশারের কাজ, কারণ একই সাথে ঢাকা কমিক্স এর দুই দুইটা ৩২ পৃষ্ঠার কমিক্স করছি। এর মধ্যে রিশাদ ০২ টা অনেকটাই এক্সপেরিমেন্টাল। সাদায় কালোয় করা এই কমিক্স এ এই প্রথম নিজে হাফটোন এর কাজ করে নিচ্ছি। জাপানিজ মাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিই পৃন্টিং কস্ট কমাতে সাদা কালো ও সেই সাথে গ্রেডিয়েন্ট শেডের বদলে হাফটোন এর কাজ শুরু করেছিলো। তাদের ওই টেকনিক আর সাথে ডিসি মার্ভেল ভার্টিগোর স্টোরিটেলিং মিলিয়ে কিছু একটা করে যাচ্ছি- মূল ব্যাপার হল এনজয় করছি কাজটা। এই বইমেলায় দুইটা বই রিলিজ হতে যাচ্ছে ফ্রম ঢাকা কমিক্স।
November 28, 2013
কথোপকথনঃ ম্যাট ভেরকার
ম্যাট ভেরকার, পুলিতজার বিজয়ী আমেরিকান কার্টুনিস্ট। কাজ করেন পলিটিকো নামের একটি ওয়েব ভিত্তিক সাইটে। গত সেপ্টেম্বারে আমেরিকান সেন্টার,বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ঢাকায় এসেছিলেন এই কার্টুনিস্ট। সে সময়ে প্রায় পুরোটা সময় এঁটুলীর মত সাথে সেঁটে থাকার চেষ্টায় আমাদের মধ্যে একটা অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। একাধিক হাউজে কাজ করায় সবার থেকে মোটামুটি অনেক খানি সামনের দিকে ছিলাম আমি। তারই চান্স নিয়ে এক হরতালের দুপুরে , তাঁর চলে যাবার আগের দিন আমেরিকান সেন্টারের অফিসে একটা ছোটখাটো সাক্ষাতকার নিয়ে নেই। এখানে তার একটা সংক্ষেপিত লেখনী তুলে দিলাম।
ম্যাট ভেরকার |
- হ্যালো স্যার। আমি এখন আপনার একটা খুবই বোরিং সাক্ষাতকার নিতে যাচ্ছি।
- (হেসে) অবশ্যই, আমি এতে অভ্যস্ত।
- প্রথমেই জানতে চাই কেন আঁকেন?
- ওহ, এটা আসলে একটা কঠিন প্রশ্ন। 'কেন আঁকেন' এর প্রথম উত্তর হবে-আমি পছন্দ করি কাজটা। আর যদি প্রশ্ন করো কেন কার্টুন আঁকি, তবে এর অনেক উত্তর আছে।
- যেমন?
- যেমন হয়তো কোন একটা ঘটনা ঘটেছে যেটা আমি চাচ্ছি না, বা পছন্দ করছি না আমার এর সম্পর্কে কিছু বলার আছে তখন বা যখন এমনি মজা করতে ইচ্ছে করছে- আসলে অনেক কারণই আছে, নির্দিষ্ট করে কোন কারণ বলাটা কঠিন।
- আমেরিকাতে কার্টুন করার, বিশেষ করে রাজনৈতিক কার্টুন করার স্বাধীনতা কতটা?
- এখানে সর্বোচ্চ স্বাধীনতাটাই আছে, যা একই সাথে একটা সমস্যাও, মানে অন্যভাবে ভাবো। ফৃডম অফ স্পিচ তোমার আছে কিন্তু vyeর ব্যাপার হচ্ছে সেটা সবারই আছে। মানে তোমার বিপক্ষের যেই মানুষগুলি আছে তাদেরও একই স্বাধীনতা আছে। তাই যে কোন কিছু বলার বা করার আগে আসলে বেশ ভেবেচিন্তে করতে হয়, মানে বেশী স্বাধীনতা আসলে তোমাকে উলটো দমিয়েই রাখছে- হাহাহা।
- তার মানে সেখানে কার্টুন এঁকে কখনো কোন রাজনৈতিক বা অন্য কোন হুমকীর মধ্যে পড়তে হয়নি আপনার?
- না, ব্যাপারটা আসলে বেশ দুঃখজনক আমার জন্যে (বিমর্ষ মুখে)। তোমরা কিন্তু সেদিক থেকে ভাগ্যবান। অন্যভাবে দেখলে। আমি একটা কার্টুন আঁকলাম কিন্তু সেটা নিয়ে কোন হুমকী এলো না, বা কেউ বিরুদ্ধে কিছু বলল না সেটা একই সাথে একটু হতাশারও। মানে আদৌ সেটাতে কোন কাজ হচ্ছে কি না তা বোঝাটা মুশকিল। মনে আছে আমি একবার আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের এক বড় অফিসারকে নিয়ে ভয়ানক স্যাটায়ার কার্টুন করলাম। এঁকে মটামুটি নিশ্চিত যে এবার খবর আছে, একটা কিছু হবেই- হলও, তবে সেটা হল সেই ডিপার্ট্মেন্ট থেকে ফোন করে আমার কাছে কার্টুনটার অরিজিন্যাল কপিটা চাওয়া হল, তারা ওটা বাঁধাই করে রাখতে চাচ্ছে-হা হা হা এই হল আমেরিকা।
- হাহাহা, আসলেই দূর্ভাগ্য আপনাদের, আমরা তো-এই সেদিনও ডেইলি স্টার পত্রিকার সাদাত একটা উকিল নোটিশ পেল আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর থেকে, কেন তার চেহারা বিকৃত করে আঁকা হয়েছে। সে পরে জবাব দিয়েছিল ওটা নাকি এমন কি ক্যারিকেচার ও ছিলো না, ছিল পোর্ট্রেইট।
- হাহাহা, আসলেই ফানি।
-যাই হোক, আপনার কার্টুন কিভাবে শুরু বা কি খেতে পছন্দ করেন এইগুলি আমরা জানতে চাইছি না, আমরা এগুলির জন্যে এখানে উইকিপিডিয়ার লিংক্টা দিয়ে দেব।
- থ্যাংক্স।
- তো অন্য কিছু আমরা এখন জানতে চাইবো। সেটা হল আমরা জানি আপনি একজন পুলিতজার বিজয়ী রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট। এবং আপনি অনেকদিন ধরে আঁকছেন।
- হ্যাঁ আমি রীতিমত বৃদ্ধ।
- হাহা, না সেটা বলতে চাইছি না, মানে জানতে চাইছি আপনি তো সেই কম্পিউটার এর আগের যুগ থেকে আঁকছেন। মানে এনালগ যুগ থেকে। সে সময়ের কার্টুন আর এখনকার কার্টুন বা পৃথিবী সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ণ কী?
- হ্যাঁ, আমি এখনো সেই ক্রসহ্যাচ আর জল রঙ এর মানুষ। আগে বলে নেই আমাদের আমেরিকান কার্টুনিস্ট সমাজে কিন্তু রীতিমতন দুইটা যুদ্ধংদেহী গোষ্ঠী আছে। ক্রসহ্যাচ বনাম নন- ক্রসহ্যাচ। বা আরো সহজে বলা যায় ডিজিটালি আঁকে আর ট্রাডিশনালি আঁকে। রীতিমত যুদ্ধ। আমাকে তুমি ক্রসহ্যাচ দলের সর্দার বলতে পারো (হাসি)। আমাদের এসোসিয়েশনে দুই দল মোটামুটি দুই দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে থাকে। আর দূর্ভাগ্যক্রমে সেই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলাম আমি- ভালো কথা তুমিও তো তোমাদের এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলে?
-হ্যাঁ গত টার্মে।
- হ্যাঁ তাহলে ব্যাপারটা কিছুটা বুঝবে। গণতন্ত্র একটি ভয়ানক আবিষ্কার, কি বল? আমাদের দুইশো সদস্য, তার মানে দুইশোটি গণতান্ত্রিক মত এবং কোনটা কোনটার সাথে মেলে না। এদের গাইড করা মানে একটা খরগোশের পাল সামলানো- হাহাহাহা।
- আমি মনে হয় কিছুটা বুঝতে পারছি ব্যাপারটা।
- যাই হোক, মূল প্রসংগ থেকে সরে যাচ্ছি। হ্যাঁ আমি পুরোই ট্রাডিশনাল মানুষ। কম্পিউটার ভালো আবিষ্কার। কিন্তু ড্রয়িং এ আমার মনে হয় মেশিন অনেকটাই শিল্পীর নিজস্বতা কমিয়ে দেয়। মানে যেমন আমেরিকায় প্রথমে যখন এয়ারব্রাশ এল- এয়ারব্রাশ চেনো তো?
- হ্যাঁ, ডিজনি বা লুনি টিউনস এর স্টুডিওর বইয়ে এটার কাজ দেখেছি। আসলটা দেখি নাই।
-যাই হোক, এয়ারব্রাশ আসার পর সবার মাথা খারাপ হয়ে গেলো, এটা তার চাই-ই চাই। কিছুদিন পর দেখা গেলো সবার রঙ একই রকম হয়ে যাচ্ছে। সবারই সেই নিপাট ফিনিশিং। মানে প্রত্যেকের যে রঙ করার একটা আলাদা ধরন ছিল সেটা চলে গেলো। এটা কখনই একজন শিল্পীর জন্যে ভালো না। তো এই ব্যাপারটা যতটা দূরে রেখে করা যায় আর কি। আমি এখনো মনে করি জল রঙ এ করাটা মজার ব্যাপার, এখানে বেশ কিছু হ্যাপী এক্সিডেন্ট ঘটে। ডিজিটালি আমার জানামতে এটার সুযোগ অনেক কম। তবে অবশ্যই সেখানেও অনেক দারুণ কিছু কাজ করা সম্ভব। মানে আমার কথা হল যে যাই করুক তাঁর কাজে কোথাও একটা নিজের স্টাইল যেন থাকে।
- আমি আসলে অন্য ব্যাপারটাও জানতে চাইছি, মানে ইন্টার নেটের যুগে খবরের কাগজ বা পৃন্ট মিডিয়ার হুমকী সেই সাথে কার্টুনিস্টদের কাজের ক্ষেত্র কতটা ঝুঁকির মুখে সেটা। মানে ক'দিন আগে আমাদের কয়েকজনের ইউ কে যাবার সুযোগ ঘটেছিলো, সেখানে আমরা দেখলাম পৃন্ট মিডিয়া উঠে যাচ্ছে। অনেক বড় বড় পত্রিকা তাঁদের পৃন্টিং বন্ধ করে শুধু ওয়েবসাইট রাখছে। কারণ সবাই ওয়েবসাইট থেকেই সব খবর সাথে সাথে পড়ে নিচ্ছে। ছাপাখানার খবরের কাগজ কেউ কিনছে না। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাঁটাই হচ্ছে আর ছাঁটাইয়ের প্রথম সারিতে আছে কার্টুনিস্ট ও আর্টিস্টরা।
-হ্যাঁ এটা একটা বিরাট সমস্যা। আমেরিকাতেও আলাদা কিছু না। কিন্তু আইরনি হল আমি কিন্তু এখন একটা ইন্টারনেট ভিত্তিক নিউজ সাইটেই কাজ করি-পলিটিকো। মজার ব্যাপার হল দৃশ্যটা আবার পাল্টাচ্ছে। কারণ এই খবরের সাইটগুলো হঠাত করে আবিষ্কার করছে যে ছবি নেই এমন খবরের চেয়ে ছবিসহ খবরের লিংক এ অনেক বেশী হিট পড়ে। আর সেটার হিট অনেক বেড়ে যায় যদি ছবিটা হয় কার্টুন। মানে এখন আবার উলটো ঘটনা ঘটছে। অনবেক নিউজ সাইট কার্টুনিস্ট হায়ার করছে হিট বাড়ানোর জন্যে। আসলে এটা কিন্তু হবেই। আমার নিজের একটা কার্টুন আছে যে সভ্যতার সেই প্রথম থেকে সবাই যখন ইতিহাস লেখায় ব্যাস্ত তখনও কোথাও না কোথাও একজন কার্টুনিস্ট বসে বসে এঁকেই যাচ্ছে। মানে সভ্যতা যদ্দিন আছে কার্টুনিস্ট ও থাকবেই। কারণ মানুষ আসলে হাসতে পছন্দ করে আনন্দ পছন্দ করে। এই বিষয়ে আমার থিওরি আর ডায়াগ্রামটা মনে আছে তো?
- হ্যাঁ হ্যাঁ। সেটা আমার কাছে ছবি তুলে রাখা আছে। যাই হোক, তার মানে ইন্টারনেটের জন্যে ভয়ের কিছু নেই?
- মোটেও না, প্রাথমিক একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে কিন্তু কার্টুনের দর্শক কখনই কমার কারণ নেই।
- আচ্ছা, আর আরেকটা ব্যাপার হল আমেরিকার কার্টুন সিন্ডিকেট। মানে সেটা আসলে কিভাবে কাজ করে? আমাদের এখানে এ ধরনের কিছু নেই।
- তার মানে তোমরা ভাগ্যবান।
- মানে?
- আমাদের কার্টুন জগতের সবচেয়ে বড় সমস্যার একটা হল সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট যেটা করে একই কার্টুন কম মূল্যে বেশী খবরের কাগজে বা সাইটে বিক্রি করে। এখন মনে কর তুমি এ দেশের ভালো একজন কার্টুনিস্ট, তুমি যদি তোমার কার্টুন কম রেটে সবাইকে দিয়ে দাও তাতে তোমার মোট আয় বাড়বে কিন্তু ঝামেলায় পড়বে সব স্টাফ কার্টুনিস্টরা। কারণ তখন খবরের কাগজ বা সাইটগুলি আর মাসে মাসে এত টাকা দিয়ে তার নিজস্ব কার্টুনিস্ট পুষবে না। আর নতুন যারা এমেচার হিসেবে আগাচ্ছিলো তারা আর উথতেই পারবে না। আমেরিকায় এই কারণে গত কয়েক বছরে নতুন কার্টুনিস্ট জন্মানোর হার অনেক কমে গেছে।
- বিরাট সমস্যা। মানে কেগল ডট কম...
- ওটাকে আমরা দেখতে পারি না আসলে। অনেক বড় সর্বনাশ হচ্ছে এই সিন্ডিকেশন এ। তবে এটা এড়ানোটাও কঠিন। তোমরা এখনো ভাগ্যবান।
- সুতরাং সিন্ডিকেট করা যাবে না।
-একা ধনী হতে চাইলে করতে পারো (হাসি)।
- আচ্ছা, আর একটা প্রশ্ন করেই উঠি, আমাদের লাঞ্চ এর সময় হয়ে যাচ্ছে, কেলি তাড়া দিচ্ছে। সেটা হল বাংলাদেশ- এ দেশের কার্টুন নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
- সত্যি বলব? সত্যি হল আমি একটা ধাক্কা খেয়েছি। আমি আসলে ধরে রেখেছিলাম এখানে এসে অনেক কিছু শিখিয়ে যাব, মানে সেই জল রঙ ক্রস হ্যাছ ইত্যাদি। কিন্তু এখানে যে এত পুরোনো আর সমৃদ্ধ একটা কার্টুনিস্ট গোষ্ঠী আছে- আমি এসে আমার জল রঙের টিউব নিয়ে কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। খুবই অপ্রস্তুত লাগছিলো। মানে আমি বলতে চাইছি তোমাদের কাজ, এতটা পেশাদার এতটা সফিস্টিকেটেদ হবে আমি ভাবি-ই নি। আমি মুগ্ধ। নিজেকে তোমাদের কাজের পাশে পুরো প্রাগৈতিহাসিক মনে হচ্ছিলো। অসাধারণ। এটা কিভাবে হল বলবে? মানে বাংলাদেশ এতকার্টুনের জন্যে উর্বর কেন হল? আমি সত্যি অবাক হয়েছি।
- আপনি আবার একটু বেশী-ই বলছেন। হ্যাঁ এটা সত্যি আমাদের অন্য অনেক কিছুর সাথে তুলনা করলে কার্টুন একটা ভাল জায়গায় চলে এসেছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি এর প্রথম কারণ ওই যে বললেন মানুষ হাসতে পাছন্দ করে। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু খুবই আমুদে। তারা কাজের চেয়ে গল্প করতে বেশী পছন্দ করে, তারা হ্যাপী থাকাটাকে অর্থবিত্তের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়। আপনি এদেশের যে কোন জায়গায় দেখতে পারবেন ছোট ছোট চায়ের দোকান। দেখবেন মানুষ বসে চা খাচ্ছে আর গল্প করছে, বেশীরভাগ গল্পই দেখা যাবে রাজনৈতিক কোন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এবং অবশ্যই সেটা স্যাটায়ারপূর্ণ। গৌতম বুদ্ধের আমলেও কিন্তু আমাদের এখানে একটা গোষ্ঠী ছিল যারা পটচিত্র করে তার সাথে স্যাটায়ার ধরনের গান ভাঁজত- তাদের বলত মাশকারী। আমাদের এখানে স্যাটায়ারের বাংলা কিন্তু তাই- মশকরা। আমি মনে করে এটা আমাদের মজ্জ্বাগত। তাই জাতি হিসেবে কার্টুনকে অনেক ভালোভাবেই মানুষ নেয়।
- কিন্তু আমি কিন্তু শুনেছিলাম তোমাদের কোন এক কার্টুন নিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছিলো। কি যেন নাম?
- কার্টুনিস্ট আরিফ?
- হ্যাঁ। ওটার ব্যাপারটা কি ছিলো?
-ওটা আসলে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঠিক ওই সময়টাতে দেশে অনিয়মতান্ত্রিক একটি সরকার ছিল, আর অন্যদিকে কাজ করেছে ওই সময়ের ওপরমহলের কিছু লোকের কিছু ব্যাক্তিগত আক্রোশ। কার্টুনটা- প্রথম কথা সেটা কার্টুন ছিলো না, ছিলো একটা পুরোনো কৌতুকের ইলাস্ট্রেশন। আর সেটা আগেও ছাপা হয়েছিলো।। এটাকে এবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধর্মপ্রাণ গোষ্ঠীকে ভুল বোঝানো হয়।
- তার মানে কার্টুন আঁকাটা ঠিক অতটা ভয়ানক না এখানে?
- (হেসে) না, তাহলে এই এত জন কার্টুনিস্ট এত বছর আমরা এখানে কাজ করতে পারতাম না। ওটা আসলেই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
- আমি অবশ্য ওই কার্টুনিস্টের কথা শুনেছিলাম, তাতে অন্যরকম মনে হয়েছিলো।
- অবশ্যই তার জায়গায় আমি থাকলে হয়তো আমি আরো বাজে ভাবে সেই ঘটনার বর্ণনা দিতাম। ও সময়ে আমি তাঁর ও এই ঘটনার ওপর দৈনিক সংবাদ এ- মানে একটা জাতীয় দৈনিক এ একটা লেখা লিখি। সে সময়ে আমাদের কোন এসোসিয়েশন ও ছিলো না। সত্যি বলতে ঐ ঘটনার পর আমাদের মনে হতে থাকে একটা এসোসিয়েশন থাকলে খুবই ভালো হয়।
- হুম, বুঝতে পেরেছি।
- যাই হোক আমরা আশা করি আপনার বাংলাদেশ সফর খুব একটা খারাপ কাটেনি-
- না না আমি অনেক কিছু শিখেছি- যেমন 'হরতাল'।
-হাহাহা, এটা এক ধরনের অহিংস আন্দোলন, যদিও এখানে সেটা আর অহিংস নেই।
- হ্যাঁ আমার মনে হয় এবার আমাদের আসলেই উঠতে হবে
-হ্যাঁ চলুন।
Matt Wuerker has been POLITICO's editorial cartoonist and illustrator since its launch. In 2012, he won the Pulitzer Prize for editorial cartooning, POLITICO's first Pulitzer win. In 2009, he was a finalist for the Pulitzer Prize in editorial cartooning.
Over the past 25 years, his work has appeared in publications ranging from The Washington Post, The Los Angeles Times and The New York Times to Smithsonian and the Nation, among many others. Along the way, he's also pursued other artistic tangents that have included clay animation, outdoor murals, teaching cartooning in prison (as a visitor, not as an inmate), book illustration and even animating a number of music videos.
Matt thinks Saul Steinberg is a cartoon god and the Peter Principle explains pretty much everything, and he also thinks the maxim "If you're not confused, you're just not thinking clearly" is one of the wisest things ever said.
Matt lives in Washington, D.C., in close proximity to the National Zoo and the Swiss Embassy. Depending how bad things get, he hopes to find asylum in one or the other.
Over the past 25 years, his work has appeared in publications ranging from The Washington Post, The Los Angeles Times and The New York Times to Smithsonian and the Nation, among many others. Along the way, he's also pursued other artistic tangents that have included clay animation, outdoor murals, teaching cartooning in prison (as a visitor, not as an inmate), book illustration and even animating a number of music videos.
Matt thinks Saul Steinberg is a cartoon god and the Peter Principle explains pretty much everything, and he also thinks the maxim "If you're not confused, you're just not thinking clearly" is one of the wisest things ever said.
Matt lives in Washington, D.C., in close proximity to the National Zoo and the Swiss Embassy. Depending how bad things get, he hopes to find asylum in one or the other.
November 26, 2013
November 05, 2013
November 03, 2013
October 14, 2013
প্রথম টাইম ল্যাপ্স আঁকান্তিস :D
October 11, 2013
কুফা প্রজেক্ট
এই একটা কমিক্স গত তিন মাস ধরে করেও শেষ করা যাচ্ছে না। একেকবার একেক সমস্যা হয়, শেষ যেটা হল সেটা ছিল- আমার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ (ব্যাকাপ ড্রাইভ সহ) ক্র্যাশ করা। খুঁজে পেতে পাওয়া গেল হাফ ডান একটা পিডিএফ ফাইল। বলতে গেলে গোটাটাই আবার আঁকতে হল। আজ শেষ করলাম। আশা করি ঈদের পরেই ঢাকা কমিকনে রিলিজ পেতে যাচ্ছে সাই-ফাই টাইপ গল্প রিশাদ-১। গল্প ভাবনায় ছিল নাভিদ হোসাইন নামের একেবারে বাচ্চা একটা ছেলে, আর আঁকায় সহযোগিতা করেছে রাতুল আসিফ, এ সময়ের অন্যতম প্রমিজিং আঁকিয়ে। আশা করি কুফান্তিস কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত খারাপ হবে না কমিক্স টা- আপাতত এই, পরে বিস্তারিত।
September 26, 2013
আসিফ কবীর চৌধুরী
ঢাকা কমিক্স ডাইজেস্টের কাজ করছি, মাহবুব ভাই আর আমি মুখ চোখ শক্ত করে প্রতিদিন গেটাপ দিচ্ছি। ডাইজেস্টটা পৌনঃপুনিক ভাগের মত শেষ হচ্ছে না। প্রতিদিনই ভাবি আজই শেষ হবে, কিন্তু শেষ হয় না। ওদিকে রোজা পার হয়ে ঈদ চলে আসছে। ডাইজেস্ট এর একটা বড় অংশই রিপৃন্ট, আগের কমিক্স আবার করে ছাপা হচ্ছে। নতুন করে দেবার মত সময় আঁকিয়েদের নেই। সবাই অনেক কিছু (অবশ্যই তা ড্রয়িং নিয়ে নয়) নিয়ে ব্যস্ত। যাই হোক আমরা টানা গেটাপ দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে এ যুগের এন্টারটেইনমেন্ট ফেইসবুক খুলে বসি। এমন ভাবে এক রাতে কাজের ফাঁকে ফেইসবুক খুলে আঁকান্তিসে একটা পোস্ট দেখলাম, আসিফ কবির চৌধুরীর। দেখে অবাক (হিংসা মিশ্রিত অবাক) হলাম। এর কাজ আমি আগেও দেখেছি। কিছুটা সব্য'দার স্টাইল ঘ্যাঁষা কাজ, কিন্তু এখানে দেখে মনে হল সে হঠাৎ অনেক এগিয়ে গেছে। আগের চেয়ে অনেক ম্যাচিওরড কাজ। মেসেজে জানালাম কাজটা ভালো হয়েছে, আর সে ডাইজেস্ট এর জন্যে পাঁচ পৃষ্ঠা কমিক্স করতে আগ্রহী কি না। সাথে সাথে রিপ্লাই এল-আগ্রহী, এবং আশ্চরযের ব্যাপার এক সপ্তার মধ্যেই প্রায় পরো কাজ করে সে পাঠিয়ে দিল। আমি নিজে আঁকি তাই কাজ দেখে এইটুক বলা যায় যে এই কাজ এক সপ্তায় দেয়াটা কঠিন। আসিফ কবির পড়েন রাজশাহী চারুকলায়। সেখান থেকে আর কেউ এই ধরনের ডিজিটাল মিডিয়া ও হালের কনসেপ্ট আর্ট ঘ্যাঁষা কাজ করেন কি না আমার জানা নেই। সত্যি বলতে কাজ দেখে অভিভূত হলাম, কারণ টুকটাক একটা কনসেপ্ট আর্ট করা আর অর্ডারি একটা স্টোরি এঁকে কমিক্স করাটা এক না। অনেক বড় বড় কনসেপ্ট আর্টিস্ট এখনো একটা প্রোপার কমিক্স করে দেখাতে পারেন নি। তাকে প্রথামত একটা বিরাট ধন্যবাদ দিয়ে ডাইজেস্ট এর শেষে সেই পাঁচ পৃষ্ঠা বসিয়ে দিলাম,.চ্যাটিং এ কথোপকথন চলতে লাগলো।
এক সপ্তা পর ডাইজেস্ট বের হলে তাকে ফোন দিতে গিয়ে থেমে গেলাম... তার আঁকায় তার নাম দেয়া হয়নি!! এর কোন অজুহাত হয় না। যতই তাড়াহুড়ার কাজ হোক না কেন এটা মেনে নেবার উপায় নেই। লজ্জ্বায় ফোন তো দূরে থাকুক কোনরকম যোগাযোগ বাদ দিয়ে ভাবতে লাগলাম কি চাপা মারা যায়। অনেক ভেবে কিছু না পেয়ে এসেমেস দিলাম- ভাই আপনার কমিক্স আপনা র নাম ছাড়া ছাপা হয়েছে। সাথে সাথে রিপ্লাই এল- 'ব্যাপার না, লোকে কাজটাই দেখবে।' এত স্মার্ট রিলাই দেখে মনটাই ভালো হয়ে গেল। জানালাম যে অন্তত সূচীতে তার নাম আঁকিয়ে হিসেবে দেয়া আছে। এত বড় একটা ডিজ্যাস্টার এত সহজে নেয়া মানুষটা (আমি হলে কি কি বলতাম তা আমার কাছের লোকেরা জানে) আসলে ভালো মানুষ। যা এই সময়ে দূর্লভ। তখনই বুঝলাম এর সাথে কাজ করা যাবে। ওদিকে দিন যায় মাস যায় পকেট ভোঁ ভোঁ, নতুন আঁকিয়েদের সম্মানী দেয়া যাচ্ছে না। আশে পাশের সবাইকে হাবিজাবি বুঝায়ে রাখা যাচ্ছে, কিন্তু রাজশাহীর আসিফ-আর নামটাও ছাপি নাই তার আঁকিয়ে সম্মানীয় না দিয়ে কতদিন অসম্মান করব সেটা বুঝতে পারছিলাম না। অবশেষে গত ২৩ তারিখ সেটা ক্লিয়ার করে ফোন দিলাম- সে তার সাথে প্রথম কথা।জানালো ডাইজেস্ট টা ভালো হয়েছে। ফোন রাখার পর জিজ্ঞেস করলাম আসছে ফেব্রুয়ারিতে একটা ২৪ পৃষ্ঠার কমিক্স করতে চান কি না। জবাব এল- 'এইটা দারুণ হবে। আমার এখন যে পর্যায় এতে চলবে তো?' জানালাম 'চলবে' মনে মনে বললাম-দৌড়াবে। পরের রিপ্লাইএ সে জানালো যে ২৬ তারিখ তার ঢাকা আসার কথা, আমার সাথে দেখা করা যেতে পারে। আমি পজিটিভ জানিয়ে রিমাইন্ডার দিলাম- আসিফ, রাজশাহী 05.30 pm। লেখাটা এ পর্যন্ত রাখতে পারলেই হত। কিন্তু আরো একটু লিখতে হচ্ছে, সেটা হল গতকাল সকাল আসিফ কবীর চৌধুরী মারা গেছে। নিজের চেয়ে ছোটো ও সমগোত্রীয় কেউ মারা গেলে কি ভয়ানক অবাক লাগে! আর তার সাথে যদি কিছু আগেই কথাবার্তা হয়ে গিয়ে থাকে। যার সাথে দেখা করার রিমাইন্ডার এখনো আমার ফোনে রাখা, আজ বিকেলে ঠিক ৫.৩০ এ সেটা বেজে উঠবে...
অন্যদের থেকে জানলাম ক্লাস শেষে বের হয়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়, আর ক'দিন আগেই নাকি একটা লাংসজনিত সমস্যার কারনে মেডিক্যাল অপারেশন হয়ে গিয়েছহিল। অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নেবার পড়ে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই এক বছরে আমি আমার দুইজন সহযাত্রী হারালাম। ফেব্রুয়ারিতে তারিকুল ইসলাম শান্ত ভাইয়ের সাথে কথা হল পরেরদিন বইমেলাতে কমিক্স নিয়ে কথা হবে, পরদিন শাহবাগ আন্দোলনে স্লোগানরত অবস্থায় হার্ট এটাকে মারা গেলেন। আর এবার যাকে কখনো এমনকী চোখের দেখাও হল না তার সাথে দেখা হবার আগের দিন সে নেই। গত কয়েকবছরে মৃত্যু দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। প্রতিবার মোটামুটি সব কাটিয়ে উঠতে ন উঠতেই আবার আরেকটা সংবাদ...
যাই হোক, যে মারা গেছে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। আমরা যা করতে পারি তার স্মৃতিচারণ, এবং আসিফ কবির ছিল সেই মানের সম্বভানাময় একজন শিল্পী যার আসলে অনেক কিছু দেবার ছিল। বাংলাদেশের কমিক্স কার্টুন ও পেইন্টিং দুনিয়া অনেক অভূতপুর্ব কাজ থেকেও বঞ্চিত হল।
আর আমি বঞ্চিত হলাম এক ভালো মনের অসাধারণ প্রতিভাবান সহযোদ্ধার থেকে।
ভালো থাকুন আসিফ,
যেখানেই থাকুন।
July 22, 2013
গোলাপ ভাইঃ রিটোল্ড
ঢাকা কমিক্স এর ঈদ সংখ্যা ডাইজেস্ট বের হচ্ছে (ইয়্য্য্যাহুউউ), সেখানে মূল বইয়ের সাথে একটা ছোট্ট কমিক্স ফৃ দেয়া হবে, কমিক্স বাই ওয়ান এন্ড অনলি শাহরিয়ার শরিফ!। (প্রচ্ছদটা অবশ্য আমার করা)বেশ চনমনে বোধ করছি। সবাইকে সাথে নিয়ে কমিক্স করার একটা আলাদা মজা আছে আসলে।
July 07, 2013
Studying Culbard
CULBARD নামের এক দারুণ কমিক্স আঁকিয়ের খোঁজ পেলাম, অসাধারণ সব গ্রাফিক নভেল এঁকে ভরায়ে ফেলতেছে। বিশেষ করে H.P. Lovecraft এ গল্পগুলি নিয়ে নতুন কিছু অন্থো নামাচ্ছে সে, মজার ব্যাপার হল সে বুড়া বয়সে মাঙ্গাস্টুডিও দিয়ে কাজ করছে। খুবই মজা পেলাম, তার কাজের কিছু টৃটমেন্ট দারুণ। তার কাজের ধরন ফলো করার চেষ্টা করে যাচ্ছি
July 06, 2013
ইংকিং ০২ :cast shadow
এবারে কাস্ট শ্যাডো নিয়ে যা বুঝি তা আলোচনা করা যাক
আশা করি কিছুটা পরিষ্কার করা গেল ব্যাপারটা । তারপরেও কারো বোঝার কিছু থাকলে এখানে নিশ্চিন্তে প্রশ্ন করতে পারেন (তবে তার উত্তর জানাতে পারবোই এমন না- কিন্তু ওই যে- নেভার স্টপ কোয়েশ্চেনিং :D)
এখানে দেখুন মানুষটার ছায়া (কাস্ট শ্যাডো) তার ঠিক পেছনের সিঁড়ির গা বেয়ে বেয়ে উঠে গেছে |
এবারে একটা কমিক্স এর ড্রয়িং এ এই জ্ঞানটা ফলানো যাক- প্ রথমে খুশী মত শুধু লাইন ড্রয়িং করলাম, এখানে নো শ্যাডো, নো কালি |
এবারে কোণাকুণী একটা সহজ আলোর উৎস ধরে তার উলটো দিকে কাস্ট শ্যাডো মারি |
এবারে সেই আগের পোস্টের দাবার ছক পদ্ধতি মেনে ব্ল্যাক কোথায় ফেলা যায় তা ঠিক করি |
রঙ- খুশী মতন |
আশা করি কিছুটা পরিষ্কার করা গেল ব্যাপারটা । তারপরেও কারো বোঝার কিছু থাকলে এখানে নিশ্চিন্তে প্রশ্ন করতে পারেন (তবে তার উত্তর জানাতে পারবোই এমন না- কিন্তু ওই যে- নেভার স্টপ কোয়েশ্চেনিং :D)
July 04, 2013
ইঙ্কিং:০১
প্রথমেই বলে নেয়া ভাল আমি এই ব্লগে যে সব তথাকথিত টিউটোরিয়াল ধরনের পোস্ট দেই সেসব আসলে বেশীরভাগই আমার নিজের চিন্তা, মানে ব্যাপারটা আমি যেভাবে বুঝি বা করি সেটাই সহজ করে সবার সাথে ভাগ করে নেই, তাই এটাই একেবারে শেষ কথা না, এমন কি এর মাঝে অনেক ভুলও থাকতে পারে, আর সময়ের সাথে সাথে আমার নিজেরও কাজের পদ্ধতি, মাধ্যম ইত্যাদি অনবরত পাল্টাচ্ছে। তাই এই সব পোস্ট অনেকটা থাম্বরুল হিসেবে দেখাই ভাল। এই পোস্ট টা দেবার আগে আমার অনেক মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে। ড্রয়িং এর ক্ষেত্রে বিশেষ করে সাদা কালো আঁকার ক্ষেত্রে কোথায় 'কালো' করব এটা সবসময়ই একটা ভ্যাজাল মনে হয় আমার কাছে (এখনো) তবে ইদানীং এই পদ্ধতিতে করে কিছুটা উপকার পাচ্ছি। পদ্ধতিটা বেশ কিছু মহারথী আঁকিয়ের ড্রয়িং দিনের পর দিন ঘেঁটে বের করেছি (যার হয়ত কোন দরকারই ছিলো না, হয়ত কোন ব্লগ বা ফোরামের চিপায় এক লাইনেই সেটা লেখা আছে) আর এটা বোঝার জন্যে নাম দিয়েছি 'দাবা ছক পদ্ধতি'/Chess Board Technique (এর আগে ফেইসবুকের আঁকান্তিস গ্রুপে এই নাম লিখে অনেককে বিভ্রান্ত করে বিমলানন্দ ভোগ করেছি,অনেকেই সেটা গুগল করে পায়নি, ভাবছি নামটা পেটেন্ট করায় নিব ) ব্যাপারটা আর কিছুই না, মনে রাখা যে
পাশাপাশি দুইটা আলাদা জিনিস (ফর্ম) একই রকম (রঙ বা ভ্যালুর) হবে না
মানে দাবার ছকে যেমন সাদার পরে কালো আর কালোর পরে সাদা তেমন। ইঙ্কিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্যাঁচ যেখানে লাগে সেটা হল সব রকমের কালিকেই আসলে মনে হয় ছায়া। মানে শুধু মাত্র আলোর উলটা দিকেই কালো করা যাবে বাকিটা করা যাবে না এরকম মনে হওয়া। সাদা কালোয় ইঙ্কিং এর সবচেয়ে বড় সিক্রেট যেটা আমার মনে হয়েছে সেটা হল ব্যাপারটা আলো ছায়ার চেয়েও অনেক বেশী হল 'ডিজাইন' এ, অর্থাৎ আলো ছায়ার ব্যাকরণে যেখানে অন্ধকার হবার কথা না সেখানেও শুধু ডিজাইনের খাতিরে এক চাবড়া কালি ঢেলে দেয়া জায়েজ আছে। এই পোস্টে আলো ছায়ার ব্যাপারটা বলা হবে না, সব একসাথে করলে সেই আগের মত প্যাঁচটা থেকেই যাবে, তার চেয়ে এখানে একেবারে সহজ পদ্ধতিতে দাবার ছকের ঘটনাটা বলা যাক,
দাবার ছকের নিয়মে আমরা ডান দিকের লাইন ড্রয়িং টা কালি করব |
একইভাবে ক'দিন আগে করা আরেকটা ড্রয়িং আবার দেই |
May 31, 2013
May 26, 2013
Subscribe to:
Posts (Atom)
হ্যাংওভার কাটিয়ে
একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...
-
আইডিয়া পাওয়া বা ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদিকে এখনো আমাদের সমাজে একটা অলৌকিক প্রতিভা হিসেবে ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যও বটে। ত...
-
দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বি...
-
এইবার আমরা হুইলের আসল কাজটা দেখি। মানে রঙ করার সময় এটা আসলে কি কাজে লাগে। একটা ছবি রঙ করার সময় আসলে মূল যে ব্যপারটা মাথায় আগে আনতে হবে সেটা ...