বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্যরিকেচারিস্ট শিশির ভট্টাচার্য।
তাঁর সাথে আমার পরিচয় ২০০১ সালে। তাঁর কলাবাগানের বাসায় মিলন ভাই (মশহুরুল আমিন মিলন, বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের পরিচালক) এর সাথে যেদিন যাই হার্টে পুরো দ্রিমি দ্রিমি বাজছিলো... আমি শিশির ভট্টাচার্যের বাসায় এসেছি? খুবই সাদামাটা ড্রয়িং রুম, ঘরে কলিংবেলের বদলে হাতে টানা একটা ঘন্টার ব্যবস্থা। ঢুকলেই বোঝা যায় আর্টিস্টের বাসা, বৌদি তখনো বেঁচে। শ্রাবন্তি মাত্র বছর তিন কি চারের শিশু। মিলন ভাই আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘শিশিরদা এ-ও কার্টুন আঁকে’ শুনে আমার নিজের ভেতরে সেঁধিয়ে যাবার যোগাড়। নিজেকে মনে হচ্ছিলো মাত্র ধুঁয়ে মুছে সাফ করা সাদা মেঝের ওপর একটা তেলাপোকা। যাই হোক তারপরেই সবচেয়ে বড় গর্হিত কাজটা করি, মিলন ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও তাকে ‘শিশিরদা’ বলে ডাকা শুরু করি। আসলে ওই মূহুর্তে আর কিছু মাথায় আসেনি, ওনাকে অন্তত স্যার বলেও যে ডাকা যায় তা-ও ভাবিনি। সেই থেকে এখনো গ্রাম্য চাঁড়ালের মতন আমি চারুকলায় সবার সামনে বলি ‘কেমন আছেন শিশিরদা?’ উনি স্মিত হেসে বলেন ‘আরে কি খবর উন্মাদ?’
তারপর দেখতে দেখতে ২০০৯, বৌদি হঠাৎ হৃদরোগে মারা গেলেন। সেই বৌদি, যিনি হাতে টানা ঘন্টাটা বাজালে দরজা খুলে বলতেন ‘এই, মেহেদী এসছে’ আমার মতন অকিঞ্চিৎকর কে নাম শুদ্ধ মনে রাখা সেই বৌদি...।
এই ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন শিশিরদার নতুন বাসায় গিয়েছিলাম। ধানমন্ডিতে বিরাট দোতলা বাসা। শ্রাবন্তি শিলং এর বোর্ডিং স্কুল থেকে ছুটিতে এসেছিলো। বেশ ভালো একটা সকালের বৈঠক হল। ফাঁকে শিশিরদা কে রিসেন্ট কিছু কাজ দেখালাম। তাঁর একটা ক্যারিকেচার করতে চেষ্টা করছি দেখে নিজেই একটা এঁকে দেখালেন(প্রথম আঁকা দ্রষ্টব্য)। আমরা ক্যারিকেচার নিয়ে তাঁর থেকে কোন ক্লাস আশা করতে পারি কি না জানতে চাইলে বললেন- হতে পারে। এমনকি হতে পারে তাঁর ওই বিরাট বাসারই কোন এক কোনায়। মাসে দুইদিন বা একদিন। প্রবল জোশে তাঁর বাসা থেকে বের হলাম। একটা ক্যরিকেচারিস্ট কম্যুনিটি গড়ে তোলা যাবে ভাবতেই উত্তেজনা বোধ করলাম।
রোজার মাসটা যাক, ক্যরিকেচার এর বন্যা বয়ে যাবে। সাথে থাকছেন শিশিরদা!
আমার খাতায় শিশিরদার আঁকা সেলফ ক্যারিকেচার
পেন্সিলে কার্ট্রিজ খাতায় প্রথম রাফ
স্ক্যান ও এডজাস্টমেন্ট সেরে রেফারেন্স পিকচার আনয়ন ফর কালার প্যালেট
কালার শুরু
ডান
প্যানারমিক্যালি ফেইজগুলি
গ্রাফিক ট্যবলেট আর পেন্সিলের কাজ। নেক্সট কাজ নিব আর হ্যাচ এ করার ইচ্ছা রাখি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
হ্যাংওভার কাটিয়ে
একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...
-
আইডিয়া পাওয়া বা ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদিকে এখনো আমাদের সমাজে একটা অলৌকিক প্রতিভা হিসেবে ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যও বটে। ত...
-
দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বি...
-
এইবার আমরা হুইলের আসল কাজটা দেখি। মানে রঙ করার সময় এটা আসলে কি কাজে লাগে। একটা ছবি রঙ করার সময় আসলে মূল যে ব্যপারটা মাথায় আগে আনতে হবে সেটা ...
josh! hats off to u!
ReplyDeleteHat nai mor:-P.. Tai choshma khuilia shomman prodorshito korilam.
ReplyDeleteভাই আমাগোরে বাঁচতে দিবেন তো নাকি? দেইখা তো আরেকটু হইলে স্ট্রোক করা ধরসিলাম!
ReplyDeleteদূর্দান্ত হয়েছে।
ReplyDelete