August 31, 2010
খোমাকেচারঃ রাম মোহন
ভারতের জীবন্ত কার্টুন কিংবদন্তি রাম মোহন। কপাল গুনে এই মূহুর্তে চলা ইউনিসেফের একটা কর্মশালায় (মীনা সিরিজ নিয়ে) তাঁর সাথে বসে কাজ করবার সুযোগ ঘটছে। আজ প্রথম দিনে তাঁর সামনে বসে আঁকা। (পরশু এটা তাকে বাঁধাই করে দেবার প্ল্যান)
গোটা ওয়ার্কশপ নিয়ে অচিরেই বিরাট এক পোস্ট দিতে যাচ্ছি।
August 17, 2010
খোমাকেচারঃ শিশির ভট্টাচার্য
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্যরিকেচারিস্ট শিশির ভট্টাচার্য।
তাঁর সাথে আমার পরিচয় ২০০১ সালে। তাঁর কলাবাগানের বাসায় মিলন ভাই (মশহুরুল আমিন মিলন, বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের পরিচালক) এর সাথে যেদিন যাই হার্টে পুরো দ্রিমি দ্রিমি বাজছিলো... আমি শিশির ভট্টাচার্যের বাসায় এসেছি? খুবই সাদামাটা ড্রয়িং রুম, ঘরে কলিংবেলের বদলে হাতে টানা একটা ঘন্টার ব্যবস্থা। ঢুকলেই বোঝা যায় আর্টিস্টের বাসা, বৌদি তখনো বেঁচে। শ্রাবন্তি মাত্র বছর তিন কি চারের শিশু। মিলন ভাই আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘শিশিরদা এ-ও কার্টুন আঁকে’ শুনে আমার নিজের ভেতরে সেঁধিয়ে যাবার যোগাড়। নিজেকে মনে হচ্ছিলো মাত্র ধুঁয়ে মুছে সাফ করা সাদা মেঝের ওপর একটা তেলাপোকা। যাই হোক তারপরেই সবচেয়ে বড় গর্হিত কাজটা করি, মিলন ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও তাকে ‘শিশিরদা’ বলে ডাকা শুরু করি। আসলে ওই মূহুর্তে আর কিছু মাথায় আসেনি, ওনাকে অন্তত স্যার বলেও যে ডাকা যায় তা-ও ভাবিনি। সেই থেকে এখনো গ্রাম্য চাঁড়ালের মতন আমি চারুকলায় সবার সামনে বলি ‘কেমন আছেন শিশিরদা?’ উনি স্মিত হেসে বলেন ‘আরে কি খবর উন্মাদ?’
তারপর দেখতে দেখতে ২০০৯, বৌদি হঠাৎ হৃদরোগে মারা গেলেন। সেই বৌদি, যিনি হাতে টানা ঘন্টাটা বাজালে দরজা খুলে বলতেন ‘এই, মেহেদী এসছে’ আমার মতন অকিঞ্চিৎকর কে নাম শুদ্ধ মনে রাখা সেই বৌদি...।
এই ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন শিশিরদার নতুন বাসায় গিয়েছিলাম। ধানমন্ডিতে বিরাট দোতলা বাসা। শ্রাবন্তি শিলং এর বোর্ডিং স্কুল থেকে ছুটিতে এসেছিলো। বেশ ভালো একটা সকালের বৈঠক হল। ফাঁকে শিশিরদা কে রিসেন্ট কিছু কাজ দেখালাম। তাঁর একটা ক্যারিকেচার করতে চেষ্টা করছি দেখে নিজেই একটা এঁকে দেখালেন(প্রথম আঁকা দ্রষ্টব্য)। আমরা ক্যারিকেচার নিয়ে তাঁর থেকে কোন ক্লাস আশা করতে পারি কি না জানতে চাইলে বললেন- হতে পারে। এমনকি হতে পারে তাঁর ওই বিরাট বাসারই কোন এক কোনায়। মাসে দুইদিন বা একদিন। প্রবল জোশে তাঁর বাসা থেকে বের হলাম। একটা ক্যরিকেচারিস্ট কম্যুনিটি গড়ে তোলা যাবে ভাবতেই উত্তেজনা বোধ করলাম।
রোজার মাসটা যাক, ক্যরিকেচার এর বন্যা বয়ে যাবে। সাথে থাকছেন শিশিরদা!
আমার খাতায় শিশিরদার আঁকা সেলফ ক্যারিকেচার
পেন্সিলে কার্ট্রিজ খাতায় প্রথম রাফ
স্ক্যান ও এডজাস্টমেন্ট সেরে রেফারেন্স পিকচার আনয়ন ফর কালার প্যালেট
কালার শুরু
ডান
প্যানারমিক্যালি ফেইজগুলি
গ্রাফিক ট্যবলেট আর পেন্সিলের কাজ। নেক্সট কাজ নিব আর হ্যাচ এ করার ইচ্ছা রাখি।
তাঁর সাথে আমার পরিচয় ২০০১ সালে। তাঁর কলাবাগানের বাসায় মিলন ভাই (মশহুরুল আমিন মিলন, বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের পরিচালক) এর সাথে যেদিন যাই হার্টে পুরো দ্রিমি দ্রিমি বাজছিলো... আমি শিশির ভট্টাচার্যের বাসায় এসেছি? খুবই সাদামাটা ড্রয়িং রুম, ঘরে কলিংবেলের বদলে হাতে টানা একটা ঘন্টার ব্যবস্থা। ঢুকলেই বোঝা যায় আর্টিস্টের বাসা, বৌদি তখনো বেঁচে। শ্রাবন্তি মাত্র বছর তিন কি চারের শিশু। মিলন ভাই আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘শিশিরদা এ-ও কার্টুন আঁকে’ শুনে আমার নিজের ভেতরে সেঁধিয়ে যাবার যোগাড়। নিজেকে মনে হচ্ছিলো মাত্র ধুঁয়ে মুছে সাফ করা সাদা মেঝের ওপর একটা তেলাপোকা। যাই হোক তারপরেই সবচেয়ে বড় গর্হিত কাজটা করি, মিলন ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও তাকে ‘শিশিরদা’ বলে ডাকা শুরু করি। আসলে ওই মূহুর্তে আর কিছু মাথায় আসেনি, ওনাকে অন্তত স্যার বলেও যে ডাকা যায় তা-ও ভাবিনি। সেই থেকে এখনো গ্রাম্য চাঁড়ালের মতন আমি চারুকলায় সবার সামনে বলি ‘কেমন আছেন শিশিরদা?’ উনি স্মিত হেসে বলেন ‘আরে কি খবর উন্মাদ?’
তারপর দেখতে দেখতে ২০০৯, বৌদি হঠাৎ হৃদরোগে মারা গেলেন। সেই বৌদি, যিনি হাতে টানা ঘন্টাটা বাজালে দরজা খুলে বলতেন ‘এই, মেহেদী এসছে’ আমার মতন অকিঞ্চিৎকর কে নাম শুদ্ধ মনে রাখা সেই বৌদি...।
এই ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন শিশিরদার নতুন বাসায় গিয়েছিলাম। ধানমন্ডিতে বিরাট দোতলা বাসা। শ্রাবন্তি শিলং এর বোর্ডিং স্কুল থেকে ছুটিতে এসেছিলো। বেশ ভালো একটা সকালের বৈঠক হল। ফাঁকে শিশিরদা কে রিসেন্ট কিছু কাজ দেখালাম। তাঁর একটা ক্যারিকেচার করতে চেষ্টা করছি দেখে নিজেই একটা এঁকে দেখালেন(প্রথম আঁকা দ্রষ্টব্য)। আমরা ক্যারিকেচার নিয়ে তাঁর থেকে কোন ক্লাস আশা করতে পারি কি না জানতে চাইলে বললেন- হতে পারে। এমনকি হতে পারে তাঁর ওই বিরাট বাসারই কোন এক কোনায়। মাসে দুইদিন বা একদিন। প্রবল জোশে তাঁর বাসা থেকে বের হলাম। একটা ক্যরিকেচারিস্ট কম্যুনিটি গড়ে তোলা যাবে ভাবতেই উত্তেজনা বোধ করলাম।
রোজার মাসটা যাক, ক্যরিকেচার এর বন্যা বয়ে যাবে। সাথে থাকছেন শিশিরদা!
আমার খাতায় শিশিরদার আঁকা সেলফ ক্যারিকেচার
পেন্সিলে কার্ট্রিজ খাতায় প্রথম রাফ
স্ক্যান ও এডজাস্টমেন্ট সেরে রেফারেন্স পিকচার আনয়ন ফর কালার প্যালেট
কালার শুরু
ডান
প্যানারমিক্যালি ফেইজগুলি
গ্রাফিক ট্যবলেট আর পেন্সিলের কাজ। নেক্সট কাজ নিব আর হ্যাচ এ করার ইচ্ছা রাখি।
August 16, 2010
ডিজনি থেকে কিছু কার্টুন টিপস
আমার একটা Rapidshare account আছে! ওইটা কেনার পর থেকে আমি সারাদিন অফিস করি :) (অফিসের ডাউনলোড স্পিড ২৫০ কেবিপিএস!!) গুগল ফাতা ফাতা করে প্রায় শ'খানেক ড্রয়িং বইয়ের এক ডিজিটাল লাইব্রেরি বানিয়ে ফেলেছি। সেখান থেকেই একটা PDF জেপেগ করে দিলাম। বাকি গুলি কিভাবে শেয়ার করা যায় ভাবতেছি। (কেউ চাইলে পার্সোনালি একটা ২ গিগা পেন ড্রাইভ নিয়া আমার অফিসে আসতে পারেন)
ভালো কথা, এই টিপস গুলা আমাদের মত যারা ফান ম্যাগ আর সাপ্লিমেন্টে অহরহ কাজ করি তাদের জন্য বাইবেল বলা যেতে পারে।
ভালো কথা এইখানে অনেক টার্ম-ই (যেমন পেগ বার, ব্লু পেন্সিল ইত্যাদি) মূলতঃ এনিমেটরদের, শব্দার্থে সব ধরবার দরকার নেই। ভাবছি এই ধরণের কিছু টিপস মিলিয়ে একটা বাংলা পোস্ট বানাবো।
ভালো কথা, এই টিপস গুলা আমাদের মত যারা ফান ম্যাগ আর সাপ্লিমেন্টে অহরহ কাজ করি তাদের জন্য বাইবেল বলা যেতে পারে।
ভালো কথা এইখানে অনেক টার্ম-ই (যেমন পেগ বার, ব্লু পেন্সিল ইত্যাদি) মূলতঃ এনিমেটরদের, শব্দার্থে সব ধরবার দরকার নেই। ভাবছি এই ধরণের কিছু টিপস মিলিয়ে একটা বাংলা পোস্ট বানাবো।
August 15, 2010
স্টাডিঃ রাজীব
উন্মাদের সবচেয়ে ট্রেন্ডি চ্যাপ, রাজীব
অফিসের ক্লারিকাল কাজকর্মগুলি তার করবার কথা। তবে বাস্তবে দেখা যায় সে সপ্তাখানেক পর পর এসে দুইদিনের ছুটির জন্যে দরখাস্ত দেয়। ইদানীং সে তার পাড়ায় ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিয়েছে, ফলে আহসান ভাইয়ের সুবিধা যেটা হয়েছে সেটা হল মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে তাকে ৩০০ টাকা পাঠাতে বলা। এতে এক ঢিলে দুই পাখির মত কাজ হয়। দ্বিতীয় পাখি রাজীব দুইদিনের মাথায় অফিসে চলে আসে, আহসান ভাইয়ের পেছনে ঘুরঘুর করে বলে 'বস ট্যাগা লাগবো'
(ভালো কথা, সে দেখতে এতোটা ভয়াবহ না, স্টাডির প্রয়োজনে এমন করা হয়েছে)
August 14, 2010
অন স্পট স্টাডি
গতকাল ঢাকা আর্ট সেন্টারে গিয়েছিলাম কার্টুন প্রদর্শনীর যোগাড় যন্ত্র(ণা) করতে। প্রায় ঘন্টা খানেক হুদাহুদি বসে ছিলাম। গ্যালারির জুয়েল ভাই (প্রথম ছবি) একটা কাগজ দেয়াতে বাঁচোয়া। জম্বু মুনি সদৃশ ভদ্রলোককে (দ্বিতীয় ছবি) আঁকতে আঁকতে কোথায় যেন দেখেছি বলে মনে হচ্ছিলো। মাঝপথে বুঝলাম- শিল্পী নিসার হুসেন। চুল লালনীয় কায়দায় বলে প্রথমে চিনি নাই, স্টাডির জন্যে অসাধারণ ফর্ম।
August 11, 2010
বুধবারের কার্টুনঃ ১১.০৮.১০
জনতা আর পুলিশ একসাথে আইন তুলে নিয়েছে হাতে,চলছে গণপিটুনি, পুলিশ পিটুনি আর চোরাগোপ্তা গুমখুন।
মাঝে মাঝে ইতিহাসের কিছু ঘটনা পড়ে মনে হত ওই সময়টা কি ভয়ংকর ছিল! চারদিকে খুনোখুনি, মারামারি, চুরি, ডাকাতি ওই সময় লোকজন বাঁচত কিভাবে? ওই সময়ের সমাজের তরুন গোষ্ঠী কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতো? প্রতিবাদের কেউ ছিলো না?
এখন বুঝতে পারছি আমরা এই মুহুর্তে ওই রকম একটা সময়ই পার করছি। ভয়ংকর সময়ে আমরা নাকে তেল দিয়েই ঘুরছি, হাঁসের মত গায়ে পানি না মেখে চলার কৌশল বুঝে নিয়েছি।
...খারাপ কি?
হাঁসের দলে স্বাগতম
August 01, 2010
উন্মাদ ঈদ সংখ্যা ২০১০: প্রচ্ছদ টিজার
Subscribe to:
Posts (Atom)
হ্যাংওভার কাটিয়ে
একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...
-
আইডিয়া পাওয়া বা ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদিকে এখনো আমাদের সমাজে একটা অলৌকিক প্রতিভা হিসেবে ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যও বটে। ত...
-
দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বি...
-
এইবার আমরা হুইলের আসল কাজটা দেখি। মানে রঙ করার সময় এটা আসলে কি কাজে লাগে। একটা ছবি রঙ করার সময় আসলে মূল যে ব্যপারটা মাথায় আগে আনতে হবে সেটা ...