এমনি এমনি কিছু পুরানো স্কেচবুক প্র্যাকটিস পেইজ |
এর মধ্যে একটা উপলব্ধি হল জীবনে ভাল -মন্দ, সুখ দুঃখ হাত ধরাধরি করে হাঁটে। এই প্রবল মন খারাপ করা শরীরে একটা দারুণ খবর পেলাম, ক্যালিফোর্নিয়া কলেজ অফ আর্টস এ আমার পোর্টফোলিও পাঠিয়েছিলাম কমিকস এর ওপর মাস্টার্স এর জন্যে আমি এলিজিবল কি না, সেটা বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে জানালো আমাকে ওরা ফুল মেরিট স্কলারশিপ দিচ্ছে! সব ঠিকঠাক থাকলে (এবং ভিসা হলে) আর তিন মাস পরে পড়তে যাচ্ছি সেখানে। আর ওদের একটা দারুণ সুযোগ আছে, সেটা হল বছরে শুধু সামার, মানে জুলাই- আগস্ট থাকলেই চলবে, এটাকে বলে 'লো রেসিডেন্সি' মডেল। বাকিটা আবার বাংলাদেশে। আমার জন্যে অসাধারণ। ওখানের ডিন জাস্টিন হল আমার একটা জুম এ ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন স্কলারশিপের আগে যার মূল উদ্দেশ্যই ছিল আমি কমিকস অলরেডি আঁকি ও পাবলিশ ও করি এর পরেও আমি ওদের থেকে আর কী শিখবো বলে আশা করি। আসলে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ওরা এটাও দেখতে চায় যে আমি কি ওই দেশে সেটেল এর জন্যে তক্কে তক্কে আছি কিনা, স্কলারশিপ অপাত্রে যাবে তাহলে। বেচারার জানার কথা না আমার মা, বোন ওখানেই থাকে। বহুবার আমাকে ডাকার পরেও যাইনি ও ওখানের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হবার জন্যে ফর্ম পূরণ করিনি বলে তারা গোস্বা হয়ে আছেন। যাই হোক, পরে যখন বুঝলো যে আমি আসলে একটা গাইডেড লার্নিং (ইউটিউবের জোড়াতালি না) চাচ্ছি। আর দেশে ফিরে আমি আমার নিজের দেশের গল্প নিজেদের মতে করে বলার চেষ্টাটা আরো ভালো করে করতে চাইছি। সে মনে হল বেশ খুশী হল।
যাই হোক। এটা আমার জন্যে দারুণ ব্যাপার, অনেকদিন পর কৈশোরের উত্তেজনা বোধ করছি, তবে আমার চেয়ে উত্তেজিত মিতু। সে আমার যে কোন ভাল খবরে আমার চেয়ে বেশি উত্তেজিত থাকে। দু' মাস ওকে ও বাসার আহ্লাদী মার্জারকুল ফেলে থাকতে হবে ভেবে কিছুটা ডাউন ও লাগছে।
যাই হোক, সবার আগে গলা দিয়ে পঁচা কফ পড়া থামুক, দিল্লী বহুত দুরস্ত আভি।
No comments:
Post a Comment