১. অনেকদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানে একই সরকার আছে (যেভাবেই থাকুক সেটা সাপোর্ট করি বা না করি) ফলে প্রজেক্ট শুরু হয়ে দেরিতে হলেও সময় পেয়ে শেষ হচ্ছে। টাকা মারার জন্যে হলেও অনেক অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে, অবকাঠামো হচ্ছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা দারুণ উন্নত হচ্ছে, আর সেই সাথে বিদেশী বিনিয়োগ আসছে আগের চাইতে নিশ্চিন্তে।
২. ইন্টারনেট। আসলে এটাই অনেক কিছু পালটে দিয়েছে। গ্রাম গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট। অনেক বিপত্তি ঘটছে তা সত্য তবে তার সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। আর ক্রিয়েটিভ সেক্টরে যে আগে কিছু দারোয়ান বসে থাকতো বিভিন্ন দরজায় যেমন সিনেমা, সাহিত্য, গান সেগুলো ঘুচে যাচ্ছ। ওভার দ্য টপ বা ওটিটি প্লাটফর্ম, বা অনলাইনে এখন পৃথিবী জুড়েই সব ভিজুয়াল কন্টেন্ট দেখার অভ্যাস পালটে দিচ্ছে। কিছুই আর সেন্সরে আটকাচ্ছে না। ফলে যে যার গল্পটা বলতে পারছে। আর মৌলিক গল্প সৎভাবে বললে সেটা মানুষকে টানবেই। একেবারে সাম্প্রতিক উদাহরণ মেজবাউর রহমান সুমনের 'হাওয়া' সিনেমাটা। তথাকথিত আর্ট ফিল্ম তকমা দিয়ে যেই ধরনটাকে আলাদা করা হয় দেখা যাচ্ছে নিজের মত করে মুন্সিয়ানার সাথে বলার কারণে সেরকম একটা গল্পও মূলধারায় রীতিমত বাণিজ্য করে ফেলছে। এটা একটা ভাল শুরু।
৩. গ্রাম থেকে প্রথম শহরে আসা বাবা মায়েদের যে একটা পিছুটান ছিল বা সব আনন্দ বাদ দিয়ে শুধু সঞ্চয় করতে হবে সেই জিনিসটা ছিল তা পরের প্রজন্মে অনেকটা কমে গেছে। ফলে জীবন মান আরো ভাল করতে মানুষ একটা বাজেট বরাদ্দ রাখছে আগের চেয়ে বেশি, উদাহরণ- তরুণেরা এখন অনেক বেশী ভ্রমণ করে। অনেক বেশি অন্যরকম কিছু অভিজ্ঞতা নিতে চায়।
আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পার করে আমরা খুব সজীব একটা সময়ে আছি। আর এত তরুণ একত্রে আগে কখনো এই দেশে ছিলো না। আরো ৫০ বছর পরে এরা (আমি সহ :P চান্সে ঢোকার চেষ্টা) একটা সমস্যা তৈরী করবো বটে- বুড়ো অকর্মা হিসবে দেশের অন্ন বস্ত্র ধ্বংস করবো। তবে তার আগে আমাদের সর্বোচ্চটুকু দেয়ার এটা একটা দারুণ সুযোগ। আমি এটা দারুণভাবে অনুভব করছি।
No comments:
Post a Comment