October 31, 2017

মথ-ক্যারেক্টার

সিঁড়ির গোড়ায় একটা মথ মরে পড়ে ছিলো, আগে স্টাডি করা হয়নি কখনো, নিয়ে এসে টুকটাক স্কেচ করলাম, কালারটা প্রায় এনালোগাস, সেটা থেকে একটা ক্লিশে টাইপ ক্যারেক্টার আঁকলাম। ক্লিপ স্টুডিওর ব্রাশের মিক্সড গ্রাউন্ড কালার অপশনটা ভাল লাগলো বেশ।


October 30, 2017

চতুর্ভূজ-ত্রিভূজ পদ্ধতি

যে কোন জটিল ফর্মকে প্রথমে বড় কোন বেসিক ফর্মে আটকে নিলে পরে আঁকা সহজ হয়। যত জটিলই হোক না কেন যে কোন জটিল ফর্ম আসলে অসংখ্য ছোট ফর্ম দিয়েই তৈরি হয়। আর এভাবে সহজ বড় ফর্মে আগে আটকে নিলে এর পর ধীরে ধীরে অন্য ছোট ফর্ম যোগ করলে আরেকটা ভাল ব্যাপার ঘটে, সেটা হল- স্টাইল। সরাসরি রিয়েলিস্টিক ছবি থেকে এভাবে আঁকা প্র্যাকটিস করলে নিজে নিজেই একটা মজার স্টাইল তৈরী হতে থাকে। উদাহরণ দেয়া যাক।


দেখতে মোটামুটি জটিল এই গাছকে চাইলে এভাবে একটা চতুর্ভূজে আটকে নেয়া যায়, চাইলে একটা বৃত্তেও আটকানো যেত। কিন্তু এটা সবদিকে সমান টাইপ না, বরং এভাবে আঁকাবাকা চতুর্ভূজে আটকালে পরে ডিটেইল করা সহজ হতে পারে। এই কাজটা কিন্তু সহজ না। গাছটার দিকে তাকিয়ে একটা ফর্মে ভাবা আসলে প্র্যাকটিসের ব্যাপার। দেখার চোখ তৈরী করা আঁকার চাইতে জরুরী। গাছটার কান্ড একটা উলটা ভি সাইন দিয়ে আপাতত করে রাখা হল।
এবারে খুব গুরুত্বপূর্ণ আরেকটা কাজ। আসলে আমরা যেহেতু একটু ডিটেইলে যেতে চাচ্ছি- সে ক্ষেত্রে চতুর্ভূজের ওপরে এভাবে কিছু ত্রিভূজ দিয়ে ভরাট আর ফাঁকা জায়গাগুলি আটকাই। মানে কোথাও কোথাও কিছু পাতা চতুর্ভূজের মূল ফর্মেরর বাইরে চলে গেছে, সেগুলিতে বাইরে ত্রিভূজ, আর যেসব জায়গায় ভেতরে আসলে কোন পাতা নেই, খালি জায়গা সেগুলি ভেতরে ত্রিভূজ এঁকে আটকানো হল।

এবারে পাতা টাতা ইচ্ছামতন আঁকা হলে জিনিসটা দাঁড়াবে এরকম। খেয়াল করার আছে একেবারে ত্রিভূজ বা চতুর্ভূজের মধ্যেই কিন্তু পাতা আঁকা থেমে থাকেনি, বেশ কিছু জায়গায় বাইরে গেছে। তবে সেটা মূল গাইডলাইনটাকে মেনেই।

শেষমেশ জিনিসটা দাঁড়ালো এমন। এমনিতে গাছটা দেখে দেখে এটা আঁকা সহজ ছিলো না। কিন্তু এই ত্রিভূজ-চতুর্ভূজ নিয়মে দেখতে দেখতে বেশ দেখনসই একটা স্টাইলাইজড গাছ এঁকে ফেলা গেল। চ্যালেঞ্জ নিতে চাইলে তিন ধরনের আরো তিনটা গাছ এঁকে এখানে পোস্ট করুন।





October 23, 2017

Demon challenge

ফেইসবুকের দুর্দান্ত গ্রুপ Character Design Challenge প্রতি মাসে নতুন ক্যারেক্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতা ছাড়ে। কত মহা মহা আঁকিয়ে যে এখানে কাজ দেয়! অসামান্য সব কাজ খালি মুগ্ধ হয়ে দেখি। এবারে ছিলো ডেমন- মানে শয়তান। ক'দিন আগেই নেপাল ঘুরে এলাম সে সময় হিন্দু ও বৌদ্ধ ডেমনোলজির দুটো ছোট বই কিনেছিলাম, Ritual objects and Deities: An iconography on Buddhism and Hinduism (এটা অবশ্য মিতু কিনেছে). আরেকটা স্রেফ-Himalayan Folklore: Ghosts and Demons from West NEPAL (এটা আমি)। এই জিনিস নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখি হিন্দুইজম বা বুঢিজম এ কোন পরম শয়তান বলে কিছু নেই। সেমিটিক ধর্মগুলিতে যেমন একদিকে ইশ্বর আরেকদিকে শয়তান এখানে ব্যাপারটা তা না। আমি এদ্দিন শয়তানের মুখোশ বলে যা সব দেখে এসেছি যেমন কালভৈরব, বজ্রকিলা, বজ্রপানি, বা যে কোন 'লাখে' এগুলো আসলে উলটো ভাল জিনিস। মানে এরা বরং অশুভকে বিতারণে ব্যস্ত। যাই হোক মাঝখান থেকে বেশ কিছু মাস্ক আর সেই ইলাস্ট্রেটেড বইয়ের কিছু মোটিফ স্টাডি করেছিলাম, সেগুলি মিলিয়ে ঝিলিয়ে সেই গ্রুপেও দিলাম। সাথে সাথে সেটা শ'খানে অসামান্য কাজের আড়ালে কই চলে গেল। 

এঁকে দারুণ মজা পেয়েছি। ভাবলাম ব্লগে তুলে রাখি এইবেলা।


বিমূর্ত শিল্পকলা ও আমাদের সংকট


শিল্পাচার্জ জয়নুল আবেদীনের দুর্ভিক্ষ সিরিজ থেকে। ছবির সোর্স

শিল্পী কেন শিল্প তৈরী করেন? এর আসলে কোন সহজ উত্তর নেই। সহজ উত্তর হল- তার ইচ্ছে করে তাই, তার ভালো লাগে তাই, অথবা তার খারাপ লাগে তাই। সোজা কথা কোন তীব্র আবেগ মানুষ নিজে নিজে ধারন করতে পারে না। তার কাউকে বলতে হয়। কাউকে জানাতে হয়। একটা সুন্দর বসন্তবৌরী পাখি প্রথমবারের মত কেউ দেখলে আগে নিজে অভিভূত হবে আর তারপরেই সে চাইবে আশেপাশে আর কাউকে দেখাতে। শিশু যেমন অদ্ভুত কিছু দেখলে সাথে সাথে সেটা আঙ্গুল দিয়ে কাউকে দেখাতে চায়, সেই একই কারণে। এটা অন্যের কাছে আরো উপাদেয় করে তুলতে পারে শিল্পী। শিল্পী মানে কিন্তু আঁকিয়ে বলা হচ্ছে না শুধু। চিত্রকলা, কলাবিদ্যার একটা মাধ্যম মাত্র। সব মাধ্যমেই কথা একই। মূল ব্যাপারটা হল- আমি যেটা দেখেছি বা ভেবেছি সেটার গল্পটা অন্যকে বলা। সেটা গানে, কবিতায়, নাটকে, সিনেমায় যেভাবে হোক বলা চাই।

এবারে ঠিক পরের কথাটাই হল এই বলাটা কে কাকে বলতে চাইছে?  শিল্পী যাকে বলতে চাইছে সে যদি ব্যাপারটা না-ই বোঝে তবে তা বলার মানে থাকে না। ধরা যাক আমি খুব দারুণ একটা চীনা গল্প পড়েছি। আমি চাচ্ছি অন্যেরাও সেটা শুনুক। আমি গল্পটা চাইনিজ ভাষাতেই পড়েছি কারণ আমি চাইনিজ জানি। এখন যেহেতু গল্পটা চাইনিজ আমি সেটা চাইনিজ ভাষাতেই আমার সব বন্ধুদের বললাম। ফলে যেটা হবে সব বন্ধুরা জানবে যে আমি চাইনিজ ভাষা জানি কিন্তু গল্পটা তারা বুঝবে না। তাদেরকে আমার আসলেই সেটা বোঝাতে হলে বলতে হবে তাদের ভাষায়। 

শিল্পের ক্ষেত্রে বিমূর্ত ভাবধারা একটা দারুণ উৎকর্ষ সন্দেহ নেই, কিন্তু যদি কেউ আশা করে সেটা সর্বসাধারণের বোঝা উচিত তবে আমার মতে সেটা এই বন্ধুদের চাইনিজ গল্প বলার মত ঘটনা। যাকে বলছি তার ভাষায় যদি বলা না যায় তবে বলার মানে নেই। তাই শিল্পীকে বলার আগে প্রথমে ভাবতে হবে এটা আমি কাকে বলছি? সবাইকে বলার কিন্তু দরকার নেই, হতে পারে চাইনিজ গল্পটা আমি যারা চীনা ভাষা জানে খালি তাদেরই বলছি। কিন্তু সেটা আগে নিজের কাছে নিজের পরিষ্কার থাকা দরকার। সবাই কেন চাইনিজ বোঝে না সেটা ভেবে সবাই যে আসলে অশিক্ষিত এবং আমি যে এদের থেকে আলাদা এটা বলাটা কতটা হাস্যকর তা আশা করি এই উদাহরণ থেকে বোঝা যাচ্ছে। 

আমার কাছে মনে হয় আমাদের শিল্পকলায় এরকম দুই মেরু তৈরী হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। একটি অতি বিমুর্ত, অন্যটি অতি খেলো। খেলো শিল্প বলতে আমি সেইসব কাজের কথাই বলব যা আসলে শিল্পের তাড়নায় হয় না, হয় শুধুমাত্র অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠতে। বিমূর্ত চিত্রকলা বা শিল্প থাকাটা জরুরী, আর খেলো লাফালাফিও সমাজ থেকে নাই হয়ে যাবে না, সেটা বরং সাময়িক গণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তাও পাবে। কিন্তু এসব বাদ দিয়ে আরেকটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা খালি হয়ে যাচ্ছে সেটা হল- মধ্যপন্থার শিল্প, মানে যা বিমূর্তও না, অকারণে জনপ্রিয় হবার লাফালাফিও না, সেটার ব্যাপক অভাব দেখা যাচ্ছে।  শুধু চিত্রকলা নিয়েই যদি বলি কতিপয় ব্যাতিক্রম ছাড়া আমাদের অসম্ভব গুণী শিল্পীরা কিন্তু চাইনিজ গল্পই বলে যাচ্ছেন, আমরা বুঝতে পারছি না। ইউরোপীয় ভাববাদ ও বিভিন্ন ইজম তাঁরা মধ্যপন্থার বাংলায় ব্যাখ্যা করতে পারছেন না। আমাদের নিজেদের ইজম গড়ে উঠছে না, আমরা দুর্বল অনুবাদেই আটকে আছি। একই সাথে চিত্রকলায় পপুলার ধারা শীর্ণ হয়ে আসছে। সমসাময়িক সমাজ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে শিল্পীরা কাজ করছেন না তা নয়, কিন্তু সেটা কেন জানি সুখপাঠ্য হচ্ছে না। দুর্বোধ্য সংকেতের মারপ্যাঁচে তা তাদের নিজেদের বৈঠকখানার চায়ের কাপেই আটকে যাচ্ছেন, মডার্নিজম পার হয়ে পোস্ট মডার্নিজম চলে যাচ্ছে, আমরা আমজনতা যেই তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছি। একটা বড় শিল্পীগোষ্ঠী ইউরোপমুখী যশাক্রান্ত বিধায় দেশের মানুষদের মূর্খ ভাবছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল প্রতিটা দেশই আলাদা, তার নিজস্ব একটা ইতিহাস থাকে, থাকে নিজস্ব দৃশ্য-ভাষা। সবাই চেনে ও জানে এমন ভাষায় না বলে আমি বাইরের ভাষায় বলে আশা করতে পারি না সবাই বুঝবে, এবং ইউরোপীয় দর্শন জানি না বলে আমি ততটা মূর্খ না যতটা সেই শিল্পী তার নিজের দেশের দর্শন না জেনে হচ্ছেন। 

এখন এ তো গেল সংকটের কথা, সমাধান কী? সমাধান এক কথায় বলা সহজ না, তবে যে কারণে এই লেখার অবতারণা সেটা হল- এই মুহূর্তে অসম্ভব প্রতিভাবান আঁকিয়ে ও শিল্পীর দারুণ একটা জাগরণ ঘটছে আমাদের দেশে। তাঁরা আঁকছেন, গাইছেন, শিল্প সৃষ্টি করছেন। তাঁরা তাঁদের উচ্চমার্গীয় বোধে আঁকুন সমস্যা নেই কিন্তু আমাদের নিজেদের ভাষার আঁকিয়েও খুব দরকার। যার গল্পটা বাংলায় বলা, যার গল্প বলে আসলেই কিছু আছে। শুধু আমি কতটা ভাল কাজ করি এটা দেখানোই উদ্দেশ্য না। আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যও থাকতে হবে সাথে। যা সবাইকে ভাবাবে ও একটা জীবনদর্শন দেবে। 'জনমানুষের জন্যে শিল্পই একমাত্র সার্থক শিল্প' এমন না হলেও জনমানুষের শিল্প সবচেয়ে প্রয়োজনীয় শিল্প বটেই। 

তাই শিল্পীদের আঁকা উচিত প্রথমে নিজেদের জন্যে তারপরেই নিজেদের আশাপাশের সবার জন্য। যাকে পাশে তাকালেই দেখা যায়। যাকে আঙ্গুল উঁচিয়ে দূরের বসন্তবৌরী দেখিয়ে বলা যায়। ইউরোপের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করলে সেটা অতদূরে না-ও পৌঁছাতে পারে। আর কোনভাবে পৌঁছালে দেখা যেতে পারে এরকম পাখি তারা ১০০ বছর আগেই ঢের দেখেছে। তাই পা নিজের মাটিতে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

October 11, 2017

বাংলাদেশ কার্টুন ফেস্ট-২০১৭



বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশনের বার্ষিক প্রদর্শনী অবশেষে ত্রি-বার্ষিকী আকারে হলেও শুরু হতে যাচ্ছে। মানে মাঝে প্রায় আড়াই বছর আমাদের কোন প্রদর্শনী নেই। কারণ? কারণ আর কিছুই না, স্পন্সর জটিলতা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট যাদের করার কথা তারা বার বার শেষ মুহূর্তে জানাচ্ছিলো যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু টাকার অভাবে কার্টুন প্রদর্শনী হবে না এটা ভাবতেই আমার মনে পড়লো সেই বছর ১৫ আগের করা প্রথম কার্টুন প্রদর্শনীর কথা। আক্ষরিক অর্থে পকেট ভোঁ ভোঁ। তখন মনে আছে আঁলিয়স ফ্রাঁসেজ গ্যালারি ছিল ফ্রি (এবং আমার ভুল না হয়ে থাকলে উলটো তখন যারা প্রদর্শনী করত তারা টাকাও পেত।) অন্য অনেক কার্টুনিস্টের মত আমারও কোন মোবাইল ফোন ছিল না। মনে আছে সবার নাম ঠিকানা নাম্বার অনেক কষ্টে জোগাড় করে একটা খাতায় লিখে নিয়েছিলাম, যেদিন সবাইকে কল দিতে হবে সেদিন সেই খাতা নিয়ে বের হয়ে মোড়ের ফোনের দোকানে যেতাম। ল্যান্ড ফোনে পার মিনিট ২ টাকা ছিল তাদের। এক টানা প্রায় তিরশটার মত কল করে থামতাম। দোকানদার ছেলেটা খুবই সন্দেহের চোখে তাকাতো যে ঘটনাটা কী? আমি তার সন্দেহ ভাঙ্গাতাম না। 

ফোনের পরের পর্ব ছিলো আরো কষ্টের, তখন ডিজিটাল কার্টুন বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই। দুই একজন বিত্তশালী যাদের স্ক্যানার আছে তারা মাঝে  মাঝে কার্টুন স্ক্যান করে ফটশপে কিছু রঙ চং করত, ওইটুকুই। তার মানে সবই ট্রাডিশনাল হার্ড কপি। অর্থাৎ প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে গিয়ে নিয়ে আসো। আমার তখন খুবই গরিবী দশা (এখনো)। ভাগ্য ভাল লোকাল বাসে তখনো ওঠা যেত, আর ছিল গরীবের বন্ধু টেম্পো। সব মিলিয়ে দিন দশেক ছোটাছুটি করে কার্টুনও জোগাড় করে ফেলা যেত। সমস্যা হত ফ্রেম নিয়ে। এটা তো আর ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে না। গুরু আহসান হাবীব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লাগসই প্রজেক্ট হাতে নেন। তার একটা অংশ হিসেবে একবার করা হল ইলেকট্রিক চ্যানেলের ফ্রেম। মানে যেই প্লাস্টিকের ফাঁপা নল দিয়ে ইলেকট্রিকের লাইন ওয়ারিং করা হয় সেগুলি-ই ৪৫ ডিগ্রিতে কেটে কেটে জোড়া দিলে ফ্রেম বানানো যায়। এর চেয়ে সস্তা আর হয় না (যদিও প্রজেক্টটা প্রথমে সফল হয়নি, কেন জানি ফ্রেমগুলি কোণায় কোণায় ভালমত জোড়া লাগছিলো না) । এতেই কিন্তু শেষ না। প্রদর্শনীর লাগে পোস্টার, লাগে দাওয়াত কার্ড, লাগে ব্রোশিওর। একটা কাগজেই কিভাবে কেটেকুটে জোড়াতালি দিয়ে তিনটা জিনিস বের করা যায় সেটা সেবার দেখলাম। এবং আশ্চর্য ব্যাপার, দিনশেষে আঁলিয়সে যখন শুরু হল সেই প্রদর্শনী তখন কিন্তু এর পেছনের গরিবী হাল আর কারো চখেই পড়লো না। শেষে এসে দুর্দান্ত জম্পেশ হল সেই প্রদর্শনী। 

তার মানে সেই শূন্য হাতে (পকেটে) আমরা সেই ১৫ বছর আগের ইন্টারনেট বিহীন সময়ে যদি প্রদর্শনী করে ফেলতে পারি তবে এখন এই সময়ে এসে কেন পারবো না? যেই ভাবা সেই কাজ। আমাদের ৫ বছর ধরে অস্থায়ী অফিসে কারওয়ানবাজারের স্টার কাবাবে মিটিং চল্ল বারবার। ঠিক হল আমরা কার্টুনিস্টেরাই চাঁদা দিয়ে এবারের প্রদর্শনী করে ফেলব। হিসাব নিকাশ করে দেখা গেল তাতে মাথাপিছু খুবই অল্প পড়ছে। তাহলে আর বসে থাকা কেন? শুরু হয়ে গেল সব কাজ। ডিজিটাল যুগের সুবিধা টের পাওয়া গেল অচিরেই। ইভেন্টের মাধ্যমে সবাই জেনে গেল, মেইলের মাধ্যমে চলে এল কার্টুন। পৃন্ট হয়ে ফ্রেমে চলে গেল সব কাজ। শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রায় সবাই কাজ দিয়ে দিল। 

আগামীকাল বিকেল ৩ টায় শুরু হবে এবারের প্রদর্শনী, আমাদের প্রদর্শনী। অনেকটা পদ্মা সেতু করে ফেলার অনুভূতি হচ্ছে। স্পন্সর ছাড়াই এ সময়ে এত ব্যাবহুল একটা কাজ আমরা সবাই মিলে করে ফেললাম।
এবং এবারের ফ্রেমগুলি কাঠের :D

সবাইকে প্রদর্শনীতে আসার অনুরোধ জানাই।





হ্যাংওভার কাটিয়ে

একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...