December 08, 2011

কমিক্স চলছে

যতই চেষ্টা করি না ক্যান, রংটা কেমন যেন ক্ষ্যাত ক্ষ্যাতই হয়া যাচ্ছে... :(

December 01, 2011

ছাতা কপ্টার

বিডিনিউজ এর বাচচাদের ম্যাগাজিন KIDZ এর জন্যে করা প্রচ্ছদ। এই একটা জায়গায় প্রাণ খুলে RGB স্পেক্ট্রাম এ আঁকা যায়। কারণ একমাত্র এটাই ফাইনালি ইলেক্ট্রনিকালি পাবলিশ হয়। এবারের প্রচ্ছদে একেবার কল্পনার লাগাম ছেড়ে দিয়েছিলাম (তাও বেশীদুর যেতে পারি নি) গ্রাফায় কনসেপ্ট আর্ট নিয়ে যা যা শিখেছি তার সবই এখানে প্রয়োগের একটা চেষ্টা চালিয়েছি। বাসার আদ্দিকালের শরীফ ছাতা থেকে ডুডল শুরু করি। তারপর গুগল ভাইকে জিজ্ঞেস করে আরো কিছু ডুডল। তারপর সরাসরি থাম্বনেইলিং



ছাতা ডুডল

প্রথম থাম্বনেইল
থাম্বনেইল থেকে আরো একধাপ

এই পর্যায়ে এসে গুরু সব্যদা'কে মেইল করন ও ঝাড়ি খাওন, এবং ফর্ম এর রিদম ও হারমোনি নিয়ে সতর্কীকরণ
ওয়াটার কালার ডুডল


'লাআইট বলব' জ্বলন ও 'যান' টাকে আদি ভেস্পায় হাঁসজারুকরণ

সিলুয়েট এ সল্ভ করণ
৩ ঘন্টার ওয়াকম নিষ্পেষণ


দ্বিতীয়বার কালারিং এ স্যাচুরেশন নিয়ে ঝাড়ি খাওন ও ঠিক করন


মোটামুটিভাবে এ-ই। আশা করি পরেরবার আরো সহজে ও মন দিয়ে কাজ করা যাবে।

November 06, 2011

আমার স্টুডিও

গ্রাসহপার থেকে কেনা কলম পেন্সিল রাখার ব্যাগ, দারুণ জিনিস, দেখাদেখি মডার্ন-ও এখন বানাচ্ছে।

ওপেন সিসেমে


সার্কুলার স্টেন্সিল, তবে কাজের না। শেষে দেখা যায় যেই সাইজের গোল্লা আঁকা লাগবে সেটা ছাড়া আর সবই আছে। তখন কৃমের ডিব্বার মুক্ষা দিয়া কাজ চালাতে হয়



ওয়কম ইন্ট্যুস ৩। সব্যসাচী দ্যা গ্রেইট এর ব্যবহৃত। উনি আরেকটা কিনছেন তাই এটা আমারে ইউজ করতে দিছেন। সারা জীবন অন্যের ওয়াকমই ইউজ করে যাচ্ছি। ওয়াকমটা কয়েকদিন থম মেরে বসে ছিল, কার হাত থেকে কার হাতে এসে পড়ছে সেটা ভেবে। দিছি ঝাড়ি।

সাত বাই সাড়ে নয় এর বক্স স্কেল। এটা বাজারে আসার পর উন্মাদের সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচি, কারণ আমাদের ম্যাগাজিনের কনটেন্ট বাক্সের মাপ ঠিক এই মাপে। এর আগে একটা স্কেল দিয়ে এই বাক্স আঁক্তে আঁকতেই জান কালা হয়ে যেত।

সেট স্কয়ার। ওপরের প্যারালাল বারের সাথে মিশিয়ে সোজা দাগ টানার দারুণ ডিভাইস।

ড্রাফটিং টেবিল, দারুণ কাজের। বিশেষ করে এর ফ্লেক্সিবল পার্ট টা। তবে আঁকার জিনিসপ্ত্র রাখার জন্যে পাশে একটা টুল মাস্ট

তারিক সাইফুল্লার থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড অটবি (একাধিক ফার্স্ট হ্যান্ড চেয়ারের চাক্ক ভাঙ্গার পর)
গোটা ওয়ার্কস্পেস, ড্রাফটিং টেবিলের ওপর রাখা প্যারালাল বোর্ড, পেছনে ডেস্কটপ ইজেল

গত পনের বছরের সাথী আমার সিঙ্ক মাস্টার ৫৫০ সিয়ারটি মনিটর। আর ক্যানন স্ক্যান লাইড ২৫। পিসির কনফিগারেশন ২০ গিগা হার্ড ডিস্ক (গত ১০ বছর ধরে এবং আমার কোন সমস্যা হয় না, খুব ইম্পর্ট্যান্ট না হলে কিছু সেইভ দেই না, আর তারো ইম্পর্ট্যান্ট হলে ডিভিডি রাইট করে রাখি) ১ গিগা RAM ১.৬ গিগা Processor. এন্ড আই হ্যাপি :)




October 28, 2011

MANGASTUDIO EX 4 এ আঁকা। এ পর্যন্ত দেখা লাইন ড্রয়িং এর জন্য সবচেয়ে কাজের সফটওয়্যার। মজা পাচ্ছি :)

October 25, 2011

গোলাম মাওলা রনী বোম্বাঁশটিং এম্পি

October 24, 2011

স্কেচ ফ্রম অগ্রণী ব্যাংক



আজকাল চারিদিকে অনেক মজার মজার ক্যারেকটার দেখি, সেগুলো দেখলে হাত নিশপিশ করে আঁকবার জন্যে, সেদিন পানির বিল দিতে গিয়েছিলাম ব্যাংক এ, প্রায় ঘন্টাখানেক টানা দাঁড়িয়ে শুধু চারিদিকের বিভিন্ন চরিত্র দেখলাম। একটু খেয়াল করে দেখলে আসলে মনে হয় যেন কমিক বইয়ের থেকে উঠে আসা সব চরিত্র দেখছি। সেগুলো মনে করে করে বাসায় ফিরে এঁকে ফেললাম।

প্রথমজন ব্যাংক এর ম্যানেজার, একটু পর পর তাঁর বিশাল বপু নিয়ে হাতে রাজ্যের কাগজ নিয়ে দৌড়ে এক টেবিল থেকে আরেক টেবিল করছেন। দ্বিতীয়জন ম্যানেজারকে দেখেই সটান দাঁড়িয়ে পুরো-আপনি হুজুর যা বলেছেন চমৎকার_ এই ধরণের মুখভঙ্গী করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর পরের জন অনবরতঃ পান চিবুচ্ছে আর সবাইকে ধমকাচ্ছে, ইনি নিম্নপদস্থ কেউ, কিন্তু যে কোন লাইনের টোকেন উনার হাত থেকে নিতে হয় বলে বেশ গরমে থাকেন। এর পরের দুইজন বিল দিতে এসেছিলেন এক সাথে, দুইজনের কন্ট্রাস্ট হাইট। লম্বাজন আবার খাটোজনের কাঁধে সবসময় একটা হাত রেখে হাঁটছেন। এর পরের ভদ্রলোক যেন পারসিপলিস থেকে উঠে এসেছেন। পুরো ঘণ প্যাঁচানো দাঁড়ি। তারের মত শক্ত একটা ফর্ম তৈরি করেছে। শেষের ভদ্রমহিলা ভেতরে বসে মানিগ্রামের সফটোয়্যার অপারেট করছিলেন, চেহারা দেখে মনে হচ্ছিলো অফিসের সবচেয়ে অসুখী মানুষ।

আসলে আজকাল এইসব দেখতে দেখতে এত মজা লাগে যে বোরিং লাইনে দাঁড়ানো-ও বেশ মজাদার ব্যপার হয়ে ওঠে।

সামনে আরো এঁকে তুলবো আশা করি।

October 22, 2011

মৎসিনী

কমিক্স আঁকছি,
মোট ৩৬ পৃষ্ঠার।
জান কালা হয়ে যাচ্ছে। তবে দারুণ আনন্দ পাচ্ছি, আরো যেটা বলার সেটা হল- অনেক কিছু শিখছি। বিশেষ করে ক্যারেক্টার ডিজাইন পার্টটা। প্রায় দিনই একাধিক সব ক্যারেকটার মাথায় কিলবিল করছে। কিন্তু আঁকতে গিয়ে দেখি তা আসলে চর্বিতচর্বনই হচ্ছে বারবার। কাহিনীর প্রয়োজনে এবারে দরকার হল মৎসকন্যা টাইপ কিছু একটা ডিজাইন করা। মারমেইড বলতেই ত সেই ডেনমার্কের লিটিল মারমেইড চোখে ভাসে, তার বাইরে আসলে কিভাবে যাওয়া যায়? আসলে ব্যপারটা খুব একটা কঠিন না। ঠিক নাকের নিচে চোখের পাশের বস্তুগুলি ঘাটলেই আসলে নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়। মারমেইড ভাবতে তাই আমি চলে গেলাম  ছোটবেলাতে রেখে আসা বাড্ডার বেনোবিলে। কি যে অসাধারণ সেই বিল। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ লক্ষকোটিবার দেখা সেই কচুরীপানাই আবার মন কাড়লো। এই একটা ফুল এত সুন্দর। হুমায়ূন আজাদএর 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না' পড়েছেন? সেখানে উনি এই ফুলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল বলেছেন। আমি একমত। এমন নরম বেগুনীর সাথে হলদে রঙ যে এত দারুণ করে মেশে! যাই হোক ক'টা পাতা আর ফুল তুলে নিয়ে এলাম, কারণ ছোটবেলার একটা ফ্যন্টাসী দৃশ্য মনে পড়ে গেল। ভরা বরষায় বাড্ডার বেনোবিল যখন থত্থরে কম্পমান, আমি স্কুল ফাঁকি দিতে পেরে যার পর নাই আনন্দিত মনে ফকির বাড়ির জারুল গাছটায় পা ঝুলিয়ে কই মাছের আশায় বরশি পেতে বসে, ঠিক তখন বিল ভর্তি কচুরিপানাগুলি যেন হঠাৎ করে হয়ে যেত একদল মারকন্যা, ফুলগুলি দেখে মনে হত তাদের মুখ, পাতাগুলি তাদের সবজে তরল চুল, বেতসের দেহ বরষার তালে তালে কাঁপছে। ঘোর লেগে যেত।
সেই বয়ঃসন্ধির ফ্যান্টাসিটাই আবার ঝেঁড়েপুছে আঁকতে বসে গেলাম, যা দাঁড়ালো তা অনেকটা এই,







জানি না এই বস্তু নতুনপাতার পৃ বয়ঃসন্ধির পোলাপান কীভাবে নেবে (আসলে পৃ বয়ঃসন্ধিতে কেউ কি আদৌ পোলাপান থাকে?)
তবে আমি এঁকে সেই ঘোরের আবহটা আবার অনেকদিন পরে ফিরে পেয়েছি, বেঁচে থাকো বেনোবিল।

কমিক্স থেকে এক পৃষ্ঠা


October 08, 2011

A god has been died

''Have the courage to follow your heart and intuition.''
________________________________________Steve Jobs

September 11, 2011

TIAGO HOISEL

অসামান্য এক আর্টিস্ট এর কাজ দেখলাম সারাদিন। TIAGO HOISEL, ব্রাজিলের ক্যারিকেচারিস্ট। লাইটিং কালার ব্লেন্ডিং আর সে সাথে রাফনেস- সব মিলিয়ে একজন কম্পলিট মাস্টার মনে হল মানুষটাকে। ব্রাজিলিয়ানরা এমনিতেও এই লাইনে অনেক আগানো। ইরান কার্টুনের দ্বি-বার্ষিক কনটেস্ট গুলিতে প্রায় প্রতিবারেই ব্রাজিলিয়ান ক্যারিক্যচারিস্টরা ফার্স্ট হয়। (নিচে HOISEL এর কিছু কাজ, তাঁর অরিজিন্যাল ক্যপশন সহ)
Another personal work. This is a stylized design of my fiance,
Rachel. In this work I tried to emphasize the indirect light from the
atmosphere and the bounce light of the floor.
It was a good exercise of indirect lighting.

Caricature of Ariano Suassuna, who is a playwrighter,
Romanticism, and Brasilian poet. He is a great defender of brasillian northeast culture.
I took almost a year to make it, actually I made a draft for lighting and shapes,
after that I left the draw behind and a year after I decide to finish.
I made all the painting work with just one brush, and at the end
I made contrast and shapen adjustments to enrich the strokes.

Illustration made for a publicity campaign of
Leo Burnett to divulgate the AE Investimentos portal.
Inpired on a Salvador Dali piece.Actually, the connection
of Dali´s paint and this job are the shape
and layout of the elements, not with the painting style.

All done in ADobePhotoshop cs3 with exception
of the rusted iron chain,that was made
by a work matte, Mariano Steiner, in 3dsMax9.

কন্সেপ্ট আর্ট (মাছি পাইসি :D)

saki

এই লোক আরো অনেকের মতই ডিজিটালি কাজ করে। ওল্ড স্কুলের অনেকেই ডিজিটাল আসলে আর্ট না-ইত্যাদি বলবার চেষ্টা করেন। তাঁদের উচিত এনাদের কাজ দেখা। HOISEL এর CG পোর্টফলিও-http://tiagohoisel.cgsociety.org/gallery/

এনিমেশন ওয়ার্কশপ

ছবিতে ক্লিক করুন ইহা হয় একটি এনিমেশন
POKEE'র সাথে এনিমেশন ওয়ার্কশপ চলছে পুরোদমে, ওয়ার্কশপটা আসলে খুবই ভাল হচ্ছে। বিশেষ করে অপু ভাই খুবই হেল্পফুল টিচার হিসেবে নিজেকে প্রমান করে যাচ্ছেন। আর এই গ্রুপের সবাই (আশীষ ভাই, তৌফিক ভাই, শ্রাবনী) সেই মীনা ওয়ার্কশপের সময় থেকে পরিচিত বলে বেশ একটা ফ্রেন্ডলি (মানে কি না চাইলেই ফাঁকি মারা যাচ্ছে) পরিবেশ।  এই গ্রুপের সবাই আসলে এক কথায় ভাল মানুষ। আর নিজেদের কাজটা তারা ভালই বোঝেন।

আজ সারাদিন ক্যারেক্টার হাঁটালাম (Walk cycle)। মাঝখান দিয়ে নিজের হাঁটার স্টেপ ভুলবার জোগাড়! ব্যপারটা ভালই জটিল। তবে মজা পাচ্ছি। একেকটা ব্যপার সলভ হলে খুবই ভাল লাগে। আশা করি এই ওয়ার্কশপ শেষে ছোটখাট একটা স্টোরি নিয়ে এনিমেশন নামায়ে ফেলা যাবে!

September 10, 2011

খোমাক্যাচারঃনতুন করে

ইদানীং ক্যারিকেচার করে আরো মজা পাচ্ছি। ফর্ম বোঝাটা আগের চে' সহজ লাগছে। গত এক বছরে আসলে যা শিখেছি তার আগের দশ বছরে তা শিখিনি। এর পেছনের মূল অবদান অগ্রজ সব্যদা (সব্যসাচী মিস্ত্রী)। 'সহজ' করে ফর্ম বোঝাটা ওনার ইন্সপায়ারেশন। আর বারবার করতে থাকার ব্যপারটা (সাথে এনাটমী স্টাডি) তো আছেই। ক্যারিকেচার এ সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং যেই উপলব্ধিটা হল সেটা হল এখানে কপি করার চেয়ে ক্যারেকটার ধরতে পারাটাই আসল। মানে কি না ড্রয়িং as it is হল কি না তার চেয়ে জরুরী যাকে আঁকা হচ্ছে তার আসল চরিত্রটা ফুটে উঠলো কি না। সে ক্ষেত্রে এমন কী দেখতে একেবারে হুবহু এক হওয়াটা জরুরী না! ইদানীং কালের কয়েকটা কাজ তুলে দিলাম। আরো আসছে :)

সব্যসাচী হাজরা

মেসি

জয়া আহসান

কিছু মুসুল্লী




August 11, 2011

ভীতু দেশলাই কাঠিঃমাছি এক্সপ্লোর

এনিমেশন ওয়ার্কশপ এর ক্যারেক্টার ডেভেলপিং চলছে, মাছি আঁকা এত ঝামেলা আগে বুঝিনি। কর্সটায় মজা পাচ্ছি, অনেক কিছু শিখছি।




হ্যাংওভার কাটিয়ে

একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...