মোট ৩৬ পৃষ্ঠার।
জান কালা হয়ে যাচ্ছে। তবে দারুণ আনন্দ পাচ্ছি, আরো যেটা বলার সেটা হল- অনেক কিছু শিখছি। বিশেষ করে ক্যারেক্টার ডিজাইন পার্টটা। প্রায় দিনই একাধিক সব ক্যারেকটার মাথায় কিলবিল করছে। কিন্তু আঁকতে গিয়ে দেখি তা আসলে চর্বিতচর্বনই হচ্ছে বারবার। কাহিনীর প্রয়োজনে এবারে দরকার হল মৎসকন্যা টাইপ কিছু একটা ডিজাইন করা। মারমেইড বলতেই ত সেই ডেনমার্কের লিটিল মারমেইড চোখে ভাসে, তার বাইরে আসলে কিভাবে যাওয়া যায়? আসলে ব্যপারটা খুব একটা কঠিন না। ঠিক নাকের নিচে চোখের পাশের বস্তুগুলি ঘাটলেই আসলে নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়। মারমেইড ভাবতে তাই আমি চলে গেলাম ছোটবেলাতে রেখে আসা বাড্ডার বেনোবিলে। কি যে অসাধারণ সেই বিল। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ লক্ষকোটিবার দেখা সেই কচুরীপানাই আবার মন কাড়লো। এই একটা ফুল এত সুন্দর। হুমায়ূন আজাদএর 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না' পড়েছেন? সেখানে উনি এই ফুলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল বলেছেন। আমি একমত। এমন নরম বেগুনীর সাথে হলদে রঙ যে এত দারুণ করে মেশে! যাই হোক ক'টা পাতা আর ফুল তুলে নিয়ে এলাম, কারণ ছোটবেলার একটা ফ্যন্টাসী দৃশ্য মনে পড়ে গেল। ভরা বরষায় বাড্ডার বেনোবিল যখন থত্থরে কম্পমান, আমি স্কুল ফাঁকি দিতে পেরে যার পর নাই আনন্দিত মনে ফকির বাড়ির জারুল গাছটায় পা ঝুলিয়ে কই মাছের আশায় বরশি পেতে বসে, ঠিক তখন বিল ভর্তি কচুরিপানাগুলি যেন হঠাৎ করে হয়ে যেত একদল মারকন্যা, ফুলগুলি দেখে মনে হত তাদের মুখ, পাতাগুলি তাদের সবজে তরল চুল, বেতসের দেহ বরষার তালে তালে কাঁপছে। ঘোর লেগে যেত।
সেই বয়ঃসন্ধির ফ্যান্টাসিটাই আবার ঝেঁড়েপুছে আঁকতে বসে গেলাম, যা দাঁড়ালো তা অনেকটা এই,
জানি না এই বস্তু নতুনপাতার পৃ বয়ঃসন্ধির পোলাপান কীভাবে নেবে (আসলে পৃ বয়ঃসন্ধিতে কেউ কি আদৌ পোলাপান থাকে?)
তবে আমি এঁকে সেই ঘোরের আবহটা আবার অনেকদিন পরে ফিরে পেয়েছি, বেঁচে থাকো বেনোবিল।
কমিক্স থেকে এক পৃষ্ঠা |
Gr8 mehedi vai... lal salam......... :)
ReplyDeleteCool cartoon.but when you are going to publish the comics?:d
ReplyDeletethis book fair hopefully :)
ReplyDeletethanks rifat vai
ReplyDeletechorom.
ReplyDeleteidear transormation ar form theke character derivation oshadharon hoyechhe.