Once you see it, you will never miss it. Muscles are fantastically designed to retain the rhythm of the body.
May 31, 2020
May 30, 2020
May 29, 2020
May 27, 2020
বিদায় নজরুল ভাই...
এই করোনার কঠিন সময়ে আরো কত জনকে বিদায় দিতে হবে জানি না। কার্টুনিস্ট নজরুল ভাই চলে গেলেন, যদিও তিনি করোনা ভাইরাসের কারনে মারা গেছেন এমনটা জানা যায় নি। লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অনেক দিন থেকেই। কিন্তু আমরা যারা তাঁর কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছিলাম তারা জানি, লিভারের চাইতেও অনেক বড় জটিলতা নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি তাঁর মস্তিষ্কে।
আমি মনে করি তাঁর সম্পর্কে সেই ঘটনাটা সবার জানা উচিত-
১৯৭১ সাল, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একে একে আক্রমণ করে চলেছে আমাদের দেশের আনাচ কানাচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ক'টা হলে ঢুকে ছাত্রদের সার দিয়ে দাঁড়া করিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে রেখেছে, এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে কাক কুকুর আর পাক বাহিনী। নিউ মার্কেটের পেছনের দিকে থাকায় একটি হল তাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো, সেখানেই হলের এক রুমে শাহনেওয়াজ নামের আরেক ছাত্রের সাথে রুমমেট হিসেবে থাকতেন নজরুল ভাই। পাক বাহিনী অবশেষে খবর পেয়ে সেখানে হানা দিলো। তল্লাশীতে ধরা পড়ে গেলেন নজরুল ভাই আর শাহনেওয়াজ। তাঁদের নিমেষে এক সারিতে দাঁড়া করালো আর্মি, হুকুম হল- ফায়ার। দু'জনেই গুলি খেয়ে পড়ে গেলেন, শাহনেওয়াজ সাথে সাথেই মারা গেলেন। নজরুল ভাই তখনো মারা যান নি, এবং তাঁর ভাষ্যমতে,
নজরুল ভাইয়ের এই বেঁচে যাওয়াটা ছিল খুবই আশ্চর্জনক , তবে বিপদের তখনো শেষ হয়নি। নজরুল ভাই বলেছিলেন ঠিক ওই মুহুর্তে কোন এক আশ্চর্য কারণে তিনি কোন ভয়ই পান নাই, এমনকি গুলি করে মারা হবে দেখেও তাঁর ভয়ের বদলে কাজ করেছে প্রচণ্ড ঘৃণা। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার কিছুদিন পরেই হঠাত করে প্রচণ্ড আতংকে তাঁর মাথা খারাপের মত হয়ে গেল! ডাক্তার দেখে বললেন আসলে সেই সময় তাঁর অবচেতন তাঁকে কোন একভাবে রক্ষা করেছিলো, ভয় পেতে দেয় নি। এখন যখন সব স্বাভাবিক তখন সেই চেপে রাখা মৃত্যু ভয় বের হতে চাইছে। কী ভয়ানক! এভাবে প্রায় বছর পাঁচেক প্রবল আতংকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন, এর পরেও থেকে থেকে সেই বিভীষিকা তাঁর মনে ফিরে আসতো- জানামতে জীবনে কখনই উনি এর থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাননি। কী করুণ কষ্টের জীবন!
বিস্ময়ের ব্যাপার এই ধরনের একটা অভিজ্ঞতা ও অসুস্থতা নিয়েও তিনি কার্টুন এঁকেছেন, ক্রিয়েটিভ কাজ করেছেন। র'নবী স্যারের শিষ্য হিসেবে সাপ্তাহিক বিচিত্রায়, এরপরে কার্টুন পত্রিকা এবং আমাদের উন্মাদে তো এই সেদিন পর্যন্তও এঁকে গেছেন। দৈনন্দিন চাকুরী ছিলো পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনরত 'বেলা' তে। বেশ কয়েকবার বেলাতে তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। শান্ত সৌম্য চেহারায় বসে বসে আঁকছেন। বেলার সবাই তাঁকে বেশ সম্মানও করতো। এই ঘটনাটা পুরোটাই তাঁর মুখ থেকে সরাসরি শোনার সৌভাগ্য হল ২০১২ সালে। তখন বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশন গঠনের কাজ করছি, তার প্রথম বড়সর প্রদর্শনীর আয়োজন করে দিচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট শোরগোল। শোরগোলের শাতিল আর আমি মিলে এক ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বেলার অফিসে উপস্থিত হলাম সেদিনই এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটা শুনেছিলাম। সেবার আমরা আমাদের এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই গুণী মানুষটিকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করি। এবং তার পর থেকে উনি আবার বিপুল উদ্যমে উন্মাদ পত্রিকায় কার্টুন আঁকা শুরু করেছিলেন।
নজরুল ভাই চলে গেলেন, মৃত্যুর বিভীষিকা মস্তিষ্কে পুরে এতগুলো বছর যিনি সেই '৭১ এর ভয়াল দিনকে নিয়ে ঘুরছিলেন, তিনি আজ মুক্তি পেলেন, আশা করি আর আপনার সেই ভয়ানক কষ্টটা পেতে হবে না, ভালো থাকুন নজরুল ভাই, ভাল থাকুন আপনি।
আমি মনে করি তাঁর সম্পর্কে সেই ঘটনাটা সবার জানা উচিত-
১৯৭১ সাল, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একে একে আক্রমণ করে চলেছে আমাদের দেশের আনাচ কানাচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ক'টা হলে ঢুকে ছাত্রদের সার দিয়ে দাঁড়া করিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে রেখেছে, এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে কাক কুকুর আর পাক বাহিনী। নিউ মার্কেটের পেছনের দিকে থাকায় একটি হল তাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো, সেখানেই হলের এক রুমে শাহনেওয়াজ নামের আরেক ছাত্রের সাথে রুমমেট হিসেবে থাকতেন নজরুল ভাই। পাক বাহিনী অবশেষে খবর পেয়ে সেখানে হানা দিলো। তল্লাশীতে ধরা পড়ে গেলেন নজরুল ভাই আর শাহনেওয়াজ। তাঁদের নিমেষে এক সারিতে দাঁড়া করালো আর্মি, হুকুম হল- ফায়ার। দু'জনেই গুলি খেয়ে পড়ে গেলেন, শাহনেওয়াজ সাথে সাথেই মারা গেলেন। নজরুল ভাই তখনো মারা যান নি, এবং তাঁর ভাষ্যমতে,
-তখনো মরিনি, কিন্তু নড়াচরা করলে যদি বুঝে ফেলে মরিনি তবে হয়ত আবার বেয়োনেট চার্জ করবে, তাই মরার ভান করে পড়ে রইলাম।বেশ অনেক্ষণ পরে পাক বাহিনী চলে গেলে হলের এক ঝাড়ুদার তাঁর আর্তনাদ শুনে তাঁকে বাঁচায়। যুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় তিনি চিকৎসাধীন ছিলেন। তাঁর সেই রুমমেট শাহনেওয়াজের নামেই পরে এই হলের নাম হয় শাহনেওয়াজ হল।
নজরুল ভাইয়ের এই বেঁচে যাওয়াটা ছিল খুবই আশ্চর্জনক , তবে বিপদের তখনো শেষ হয়নি। নজরুল ভাই বলেছিলেন ঠিক ওই মুহুর্তে কোন এক আশ্চর্য কারণে তিনি কোন ভয়ই পান নাই, এমনকি গুলি করে মারা হবে দেখেও তাঁর ভয়ের বদলে কাজ করেছে প্রচণ্ড ঘৃণা। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার কিছুদিন পরেই হঠাত করে প্রচণ্ড আতংকে তাঁর মাথা খারাপের মত হয়ে গেল! ডাক্তার দেখে বললেন আসলে সেই সময় তাঁর অবচেতন তাঁকে কোন একভাবে রক্ষা করেছিলো, ভয় পেতে দেয় নি। এখন যখন সব স্বাভাবিক তখন সেই চেপে রাখা মৃত্যু ভয় বের হতে চাইছে। কী ভয়ানক! এভাবে প্রায় বছর পাঁচেক প্রবল আতংকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন, এর পরেও থেকে থেকে সেই বিভীষিকা তাঁর মনে ফিরে আসতো- জানামতে জীবনে কখনই উনি এর থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাননি। কী করুণ কষ্টের জীবন!
বিস্ময়ের ব্যাপার এই ধরনের একটা অভিজ্ঞতা ও অসুস্থতা নিয়েও তিনি কার্টুন এঁকেছেন, ক্রিয়েটিভ কাজ করেছেন। র'নবী স্যারের শিষ্য হিসেবে সাপ্তাহিক বিচিত্রায়, এরপরে কার্টুন পত্রিকা এবং আমাদের উন্মাদে তো এই সেদিন পর্যন্তও এঁকে গেছেন। দৈনন্দিন চাকুরী ছিলো পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনরত 'বেলা' তে। বেশ কয়েকবার বেলাতে তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। শান্ত সৌম্য চেহারায় বসে বসে আঁকছেন। বেলার সবাই তাঁকে বেশ সম্মানও করতো। এই ঘটনাটা পুরোটাই তাঁর মুখ থেকে সরাসরি শোনার সৌভাগ্য হল ২০১২ সালে। তখন বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশন গঠনের কাজ করছি, তার প্রথম বড়সর প্রদর্শনীর আয়োজন করে দিচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট শোরগোল। শোরগোলের শাতিল আর আমি মিলে এক ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বেলার অফিসে উপস্থিত হলাম সেদিনই এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটা শুনেছিলাম। সেবার আমরা আমাদের এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই গুণী মানুষটিকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করি। এবং তার পর থেকে উনি আবার বিপুল উদ্যমে উন্মাদ পত্রিকায় কার্টুন আঁকা শুরু করেছিলেন।
নজরুল ভাই চলে গেলেন, মৃত্যুর বিভীষিকা মস্তিষ্কে পুরে এতগুলো বছর যিনি সেই '৭১ এর ভয়াল দিনকে নিয়ে ঘুরছিলেন, তিনি আজ মুক্তি পেলেন, আশা করি আর আপনার সেই ভয়ানক কষ্টটা পেতে হবে না, ভালো থাকুন নজরুল ভাই, ভাল থাকুন আপনি।
May 26, 2020
Mehedi Haque: Art talk
আঁকাআঁকি নিয়ে ইদানীং আঁকান্তিসের চ্যানেলে মাঝে মাঝাই কিছু কথাবার্তা শেয়ার করি। ভাবছি নাম দিয়ে দেব 'হক টক।' হাহাহা
May 25, 2020
May 24, 2020
May 22, 2020
Gesture drawing tips
আঁকান্তিসের শুক্রবারের টিউটরিয়াল, লক ডাউনের এই সময়টায় মাঝে মাঝেই লাইভ করছি, আজকের টপিকটা আমার মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিজে যা যা সমস্যা ফেইস করেছি সেসব নিয়ে সাধারণত সবসময় বলার চেষ্টা করি।
May 21, 2020
May 20, 2020
May 19, 2020
May 14, 2020
May 13, 2020
May 11, 2020
কিশোর বাংলা ঈদ সংখ্যা ড্রয়িং ২০২০
কিশোর বাংলা পত্রিকায় এবারে দুই রূপে আসতে যাচ্ছি, একটা বেশ বড়ো গল্প লিখেছি নিহিলিন ক্লাবের (বিষপর্ণী), আর সেই সাথে অন্যদের গল্পের ইলাস্ট্রেশন। এই ম্যাগাজিনে কাজ করার সময় একটা উত্তেজনা কাজ করে, এই কিশোর বাংলাতেই মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের দীপু নাম্বার টু বের হয়েছিল ধারাবাহিক ভাবে। আর এখানে আগে ইলাস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করতেন অভিনেতা আফজাল হোসেন।
ইলাস্ট্রেশন সবসময়েই চ্যালেঞ্জিং মনে হয় আমার কাছে। অন্যের লেখা পড়ে তার মুড টা বোঝাই সব চেয়ে কঠিন। আর ইদানীং স্কিলের চাইতে সেই মুড ধরাটাই আসল মনে হচ্ছে। গল্পের মধ্যে গল্পটা কী সেটা বোঝাই আসল।
ইলাস্ট্রেশন সবসময়েই চ্যালেঞ্জিং মনে হয় আমার কাছে। অন্যের লেখা পড়ে তার মুড টা বোঝাই সব চেয়ে কঠিন। আর ইদানীং স্কিলের চাইতে সেই মুড ধরাটাই আসল মনে হচ্ছে। গল্পের মধ্যে গল্পটা কী সেটা বোঝাই আসল।
বিদায় সাজ্জাদ ভাই
একটা আশংকা অনেকদিন থেকেই আমরা সবাই বয়ে বেড়াচ্ছিলাম, এই বুঝি আপনি 'আর নেই' হয়ে গেলেন, 'ক্যান্সার' শব্দটা ধক করে এসে বুকে লেগে যায়। তবে সেই অবস্থায় যতবারই আপনাকে দেখেছি মনে হয়েছে ক্যান্সার ব্যাপারটা অত ভয়ানক নয়, অন্তত আপনার সাথে সে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কতদিন চিনি আপনাকে? বিশ বছর? বাইশ বছর? এর মধ্যে কখনো হাসিমুখ ছাড়া দেখেছি? মনে পড়ে না। এমনকি এই ভয়ানক রোগের মধ্যেও কি অনায়াস আকর্ণলম্বিত মন ভোলানো হাসিটা তো আপনার লেগেই ছিলো মুখ। সহসা এরকম উত্তম কুমার ঘরানার ভদ্রলোক আমি দেখিনি। যেন ষাটের দশকের পর্দা কাঁপানো কোন বাংলা ছবির নায়ক এখন প্রৌঢ় বয়সে হঠাৎ ঘুরতে এসেছেন আমাদের উন্মাদ অফিসে।
আপনাকে নিয়ে কোত্থেকে কিভাবে লিখব তা ভেবে বের করা মুশকিল। অল্প স্বল্প চেনাদের নিয়ে লেখা সহজ, কারণ তাদের নিয়ে স্মৃতি খুব বেশী থাকে না। একটা যেটা প্রথমেই মনে পড়ে সেটা বলি। একটা কিশোর উপন্যাস লিখেছেন- অরুণ আমার মামাতো ভাই, সেটার ইলাস্ট্রেশন করবো কিনা জানতে চাইলেন। সাথে সাথে রাজী হই, কারণ বড় বইয়ের ইলাস্ট্রেশন ওটাই আমার প্রথম। সেটা কিভাবে আঁকবো সেই প্রসঙ্গে একটা ছোট কথা বললেন সেটা এখনো আমার মনে আছে। হয়ত আপনার মনে নেই, কাজী আবুল কাশেমের (কার্টুনিস্ট দোপেঁয়াজা) একটা ইলাস্ট্রেশন দেখালেন, ঝড়ের কবলে পড়া এক নৌকা। বললেন-
কিছু মনে না করলে বলি, তোমাদের এখনকার ড্রয়িং এ অনেক কসরৎ থাকে, অনেক ডিটেইল আর স্কিল। কিন্তু এটা দেখো। এই যে কয়েকটা টানে ঝড়ের তীব্রতার যে আবহ সেটা কি দূর্দান্ত এসেছে। একজন ভাল শিল্পী কিন্তু এটাই করেন। স্কিলের চাইতে মুড আনেন আরো জোরালো করে।
পুরো এক মাস ধরে একটা বড় খাতায় ড্রাফটিং পেন দিয়ে ধীরে ধীরে এঁকেছিলাম সেই বইটা। এর পর তো আপনার আরো কত বইয়ের কাজই করেছি। সেই সাথে আপনার দারুণ লেখনির সাথেও পরিচয় হয়েছে। কিন্তু কখনই সেই কথাটা ভুলিনি। মাঝে মাঝে আপনার আরামবাগের প্রেসে যাওয়া হত। কাগজ কাগজ গন্ধওয়ালা গলি তস্য গলি পার হয়ে অফিসে গেলেই জুটতো চা, আর উপরি হিসেবে মাঝে মাঝে আপনার অনুজ আসরার ভাই সহ একটা জমাট আড্ডা।
একবার দেখা হয়েছিলো পল্টনের হারূন এন্টারপ্রাইজের সামনে, আমি কিনিতে গিয়েছিলাম পয়েন্ট থ্রি লাইনার। রিক্সা থামিয়ে নেমে এলেন। শহরে এসব বিরল। গ্রিন রোডে বাসা নেবার পর শেষের ক'দিন মাঝে মাঝেই জ্বালাতন করতে যেতাম বাসায়, জানি অসুস্থ, কিন্তু এত কাছে থেকেও দেখা না করার মানে নেই।
প্রথম আলো পত্রিকায় নিতান্তই অকিঞ্চিতকর একটা ছোট গল্প বের হলো আমার, সাথে সাথে প্রথম এস এম এস আপনার থেকে-
নতুন জগতে স্বাগতম, গল্পটা ভালো লেগেছে।
সাজ্জাদ ভাই, আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি আপনার মানসিক জোর দেখে। গড় আয়ু পেলে বছর বিশেক পরে আমি মারা যেতে পারি এটা ভেবে আমার মাঝে মাঝে মাঝরাতে ঘুম চটে যায়। সেখানে আপনি মৃত্যুর এত কাছে থেকেও এত সাবলীল আর প্রডাক্টিভ থাকলেন কিভাবে? শেষবার যখন বাসায় গেলাম, এই মেলাতেও দেখি দুটো বই বের হয়েছে। এবারে আমাকে বলেন নি বলে একটু সলজ্জ হাসি দিলেন, বললেন-
তুমি তো এখন ব্যাস্ত তাই...
তা বটে, ব্যস্ত তো বটেই, তবে আপনি বললেই আমি যেভাবেই হোক সেটা করে দিতাম। যদিও তা আর বলা হয় নি। বাসা থেকে বের হবার সময় মনে হল এবার আস্তে আস্তে সেড়ে উঠবেন আপনি। ক্যান্সারকে যিনি জয় করতে পারেন তাঁর আর কোন কিছুতেই ভয় নেই। কিন্তু সেটা আর হলো না।
মানুষ মরে গেলে স্মৃতি হয়ে যায়। আপনি আমাদের স্মৃতি হয়ে রইলেন।
ভাল থাকুন সাজ্জাদ ভাই।
আপনাকে নিয়ে লেখাটা কেমন অসংলগ্ন হয়ে রইলো/
May 09, 2020
May 08, 2020
আঁকাআঁকি তরুণদের জন্যে ৫ টি টিপস
আঁকান্তিসের শুক্রবারের ভিডিও, বছর ঘুরে এটা এখন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে একটা কিছু নিয়মিত করা প্রথম প্রথম কঠিন তবে সেটা অভ্যাসে পরিণত হলে বেশ অনায়াসে হয়ে যায়। আজকের টা হচ্ছে টুকিটাকি টিপস।
May 07, 2020
May 06, 2020
May 04, 2020
May 02, 2020
Coronacature, করোনাক্যাচার
MAD ম্যাগাজিনের প্রিয় আর্টিস্ট টম রিচমন্ড এই বন্দী সময়ে ক্যারিকেচারিস্টদের জন্যে একটা দৈনিক ক্যারিকেচার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। নাম করোনাক্যাচার। প্রতিদিন বেশ ইন্টারেস্টিং চেহারার কারো ছবি পোস্ট করা হয় ফেইসবুকের ওই গ্রুপে, তার পর যে তাকে যেভাবে আঁকে। কাল ছিল এমিলি ব্লান্ট। আঁকতে গিয়ে বেড়াছেড়া। খেয়াল করেছি যখনই স্টাডি বাড়াই আঁকা পঁচা হয়। হাহা। সম্ভবত স্টাডিতে যা যা দেখি সব আনতে চাই, আসে না, মাঝে দিয়ে লাইকনেস টাইকনেস চলে যায়। যাই হোক, যত পঁচাই হোক এই বছর কাজ কমপ্লিট করছি প্ল্যান মত।
স্টাডি: সজনিগার ভাই
রেফারেন্স ছিলেন সজনিগার ভাই। |
এনাটমি স্টাডি করছি আবার, বেশ কিছু জায়গায় গোঁজামিল দিতাম সেগুলি ধরে ধরে করার চেষ্টা করছি। সদ্য প্রয়াত কার্টুন মাস্টার মর্ট ড্রেকার বলেছেন
- কিছু একটা নিয়ে ভেজাল লাগলে সেটা এড়িয়ো না। যেমন হাত আঁকতে সমস্যা তার মানে হাতকে পকেটে ঢুকিয়ে বা গায়ের পেছনে পাঠিয়ে দিয়ে কাজ সেরো না। ভেজালের জায়গাটা খুঁজে বের করো, এর পর সরাসরি আক্রমণ করো আঁকতে আঁকতে, স্টাডি করতে করতে সেটা শেষ করে ফেলো!স্টাডি করছি, কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে আরো প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলছি। আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে। তবে গুরুর কথা ফেলবো না, আক্রমণ চলবে।
May 01, 2020
Ransomware Attack and MUKU Comics: মুকু কমিক্স
করোনার টাইম আউট পিরিয়ডে কাজ চলছে যাকে বলে- ধুমায়ে। তপবে মাঝে হঠাত এক আজব ব্যাপার ঘটে গেল, পিসির সব ড্রাইভের সব ফোলডারে দেখি একোটা এক্সটেনশন তৈরী হয়েছে .mpaj নামে, এবং কোন ফাইল বা ফোল্ডারই খুলছে না। ঘাঁটাঘাঁটি করে জানা গেল এর নাম র্যানসমওয়ার! মানে কিনা ভাইরাস দিয়ে অন্যের পিসির সব ডেটা লক করে টাকা চাওয়া ভাইরাস। এবং সব ফোল্ডারে রীতিমতন একটা মুক্তিপণের চিঠি। ভাষা এরকম-
হে পিসির মালিক, ভয় পাইও না, টেকা দিলেই তোমার সব কিছু ফিরায়ে দেয়া হইবে।
এইরকম আজব সমস্যায় আগে পড়ি নি। আমার বন্ধু বান্ধব যারা এইসব এথিক্যাল হ্যাকিং বা কম্পিউটার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে তাদের জিজ্ঞেস করায় একজন (সজীব) বলল- আল্লা আল্লা কর। আরেকজন (আফতাব) বলল মুক্তিপণ দাবীকারীদের কে একটা পায়ে ধরা টাইপের ইমেইল দিতে, যে I poor cartoonist from Bangladesh, please give back my data, এরকম ছ্যাঁচড়া টাইপ। এতে নাকি অনেক সময় কাজ হয়। যা বুঝলাম, কিছু করার নাই আর। তবে আমার জরুরী ফাইল সব গুগল ড্রাইভ আর ড্রপবক্সে থাকে বলে রক্ষা। মুক্তিপণ চাহিয়া র্যানসমওয়ালাদের চিঠির কোন জবাব দিলাম না, (তারা আবার টাকা চায় বিটকয়েনে, সে আরেক রহস্যময় ব্যাপার।)। যাই হোক, এতে করে আমার কমিক্স মুকু, আর একটা এনিমেশন প্রজেক্টের প্রায় এক সপ্তাহের কাজ খালি নেই হয়ে গেছে, মানে আবার করতে হবে। তবে আমার এগুলিতে অভ্যাস আছে। এক কমিক্সের বই তিনবার করার পর সেটা হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতাও আছে তাই কিছুই ভয় পাই না। যা আছে কপালে ভেবে আবার শুরু করলাম, এবং দেখলাম আজব কিছু পজিটিভ জিনিস ঘটেছে যেগুলি আগে খেয়ালই করিনি-
১. কম্পিউটারের গিগা গিগা যেসব তথ্য খুব গুরুত্বপুর্ন ভাবতাম (আসলে ফোল্ডারগুলি না খুললে সেগুলি যে আছে তাই মনে পড়ে না এমনিতে) সেগুলি অত গুরুত্বপুর্ণ না। বরং সেগুলো ঘাঁটতে গেলে সময় নষ্ট হত অযথাই।
২. পিসি উদ্ধারে উইন্ডোজ নতুন করে দিতে গিয়ে কিভাবে পেন ড্রাইভ বুট করে তা শেখা হয়ে গেছে।
৩. পিসি গত চার বছরে অনেক স্লো হয়ে গিয়েছিলো এখন একেবারে দুর্দান্ত ফাস্ট ও নতুন সব আপডেটেড সফটওয়ার ইন্সটল করা হয়েছে।
৪। এবং ফাইনালি- যেসব কাজ দ্বিতীয়বার করছি তা আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে, মুকুর গল্পের একোটা রাম গিট্টু অনায়াসেই ছুটে গেছে।
ভাবছি র্যানসমওয়ারের লোকগুলোকে মেইল পাঠাবো- thank you for locking my data- big help.
নতুন করে আঁকা মুকুর ৩৫ নম্বর পেইজ |
পেইজ ৩৬ |
Subscribe to:
Posts (Atom)
হ্যাংওভার কাটিয়ে
একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...
-
আইডিয়া পাওয়া বা ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদিকে এখনো আমাদের সমাজে একটা অলৌকিক প্রতিভা হিসেবে ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যও বটে। ত...
-
দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বি...
-
এইবার আমরা হুইলের আসল কাজটা দেখি। মানে রঙ করার সময় এটা আসলে কি কাজে লাগে। একটা ছবি রঙ করার সময় আসলে মূল যে ব্যপারটা মাথায় আগে আনতে হবে সেটা ...