আমার যে বয়স হয়ে যাচ্ছে
সেটা ভেবে আমি ইদানীং বেশ আনন্দিত। এখন মন খুলে সবাইকে উপদেশ দিয়ে বেড়াতে পারছি, যেমন আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে চট করে চাইলেই ১০টি টিপস দিয়ে দিতে পারছি এভাবে-
১. বিনয়ী হোন।
২. আঁকার সময় আনপ্লাগড কাজ
করুন। আঁকার সময় ফেইসবুক এ কখন দেব আর কয়টা লাইক পড়বে সেটা ভেবে হার্ট এর গতি
বাড়াবেন না। লাইক এর জন্যে আঁকতে চাইলে বাকিটুকু না পড়লেও চলবে।
৩. সবসময় একটা স্কেচবুক
রাখতে হবে। সেটা নিজের পছন্দসই যে কোন খাতা হলেই হবে। সেখানে যখন যা ইন্টারেস্টিং
মনে হবে তা টুকে নিতে হবে। স্কেচ করাটা কাজ বলে ভাবা যাবে না। আমরা যেমন দাঁত মাজি, তিন বেলা খাই তেমনি স্কেচ করাটা একটা দৈনন্দিন
অভ্যাস বানিয়ে ফেলুন। স্কেচবুক মূলতঃ একটা ব্যাক্তিগত ডায়রির মত। সেটা আপনার
পোর্টফোলিও না। মাসে একটা স্কেচবুক শেষ করুন। আঁকার ক্ষেত্রে সেটা সুন্দর হতে হবে
এটা না ভেবে সেটা সঠিক হতে হবে এটা ভাবুন। না বুঝে আন্দাজে আঁকা যাবে না। বোঝা হল
আঁকার আগের ধাপ।
৪. প্রচুর দেখুন। ড্রয়িং, মুভি,
পেইন্টিং, ডকুমেন্টারি, ফটোগ্রাফি। যা কিছু ইন্টারেস্টিং সব দেখুন। যাই
ভাল্লাগবে তারই একটা রেফারেন্স লাইব্রেরি করুন। চাইলে পিনটারেস্ট টাইপ ওয়েব সাইটের
সাহায্য নিতে পারেন। সাথের মোবাইল এ ক্যামেরা থাকলে প্রতিদিনের টুকিটাকি মজার
দৃশ্যের ছবি তুলুন।
৫. যা যা আঁকতে পারি না-
নামে একটা লিস্টি করুন (জানি সেটা লিস্টিটা প্রথমে অনেক বড় হবে, তবে আগে ব্রড ক্যাটাগরিতে সেটা করুন)। তারপর
প্রতি সপ্তাহে একটা করে সল্ভ করুন। লাগলে যেটা পারেন না- কথার কথা নাক আঁকতে পারেন
না, তবে পরের এক সপ্তাহ শুধু
নাক নিয়েই পড়ে থাকুন। এবং এমন ভাবে সেটা শেষ করুন যাতে একই ভুল দ্বিতীয়বার না হয়।
৬. খুব ভালো লাগে এমন কোন
মাস্টার আর্টিস্ট এর ড্রয়িং খুঁজে বের করুন। এবার চোখ বুজে (মানে চোখ খুলে) সেটা
কপি করুন। করার সময় হুবহু হল কি না সেদিকে না তাকিয়ে ওই আর্টিস্ট কাজটা কিভাবে
করেছেন- মানে প্রসেসটা কী ছিল সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
৭. নিজের চে' খারাপ আঁকে এমন আঁকিয়েদের কাজ দেখবেন না। তাতে
নিজের কাজের ওপর সন্তুষ্টি চলে আসবে। কাজ দেখুন পৃথিবীর সেরাদের। সবচেয়ে ভালো হয়
অনেক ভালো কোন আঁকিয়ের সাগরেদ বনে যাওয়া। তবে সাবধান! এ ক্ষেত্রে তাঁকে হুবহু কপি
করার লোভটা এড়িয়ে চলতে হবে।
৮.নিজের স্টাইল কেন নেই
সেটা ভাববেন না। 'ঠিকমত' আঁকতে শিখুন,
আঁকতে থাকুন, আপনার পেন্সিলই আপনাকে
স্টাইলের কাছে নিয়ে যাবে। স্টাইল নিজেই তৈরী হয়।
৯.নিজের আনন্দের জন্যে
আঁকুন, আনন্দ না পেলে আঁকবেন না।
দুনিয়ায় আরো অনেক কাজ আছে করার।
১০. প্রকৃতিকে ভালবাসুন, আঁকার আগে সাবজেক্ট কে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখা
আর খেয়াল করা এক কথা না। এখন থেকে প্রকৃতিকে খেয়াল করুন। চারদিকের ক্যানভাসে আপনি
যা চান তার সবই আছে। প্রয়োজন শুধু খেয়াল করা।
আমার জীবনে পড়া আঁকা-আঁকি সম্পর্কে সব চে' অসাধারণ কিছু কথা। আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না আপনি আমার কতটা উপকার করলেন।
ReplyDeleteধন্যবাদ মেহেদী ভাই।
অসাধারণ একটি লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । প্রত্যেকটি মেনে চলার চেষ্টা করব অবশ্যই :)
ReplyDeleteধন্যবাদ মেহদী ভাই। মেনে চলার চেস্টায় আছি। দোয়া রাইখেন।
ReplyDelete৭.নাম্বার পয়েন্টটা ভাল্লাগসে, এই জন্যই আপনের কাছে আর আসা আর প্রসূন'দার সাথে সারাদিন থাকা হয়! 😃 ক্লাস শেষ হয়ে গেলেও আমার জালানো শেষ হবে না 🤣
ReplyDeletesure :D
Deleteদারুন :)
ReplyDelete:D
ReplyDelete