November 12, 2012

বিউটি বোন ও ঠ্যাং

এইবারে কিছু বোঝার ব্যপার। এতক্ষণ আমরা যে বুকের খাঁচা আঁকলাম তার ঠিক ওপরের দিকে গলার নিচে এক জোড়া হাড় থাকে(কন্ঠার হাড় বা বিউটি বোন যাকে বলে),  আমাদের হাত বা বাহুর গোড়া সেই হাড় থেকে 'বল-সকেট' জয়েন্ট হয়ে নামে। অর্থাৎ হাত কখনই বুকের খাঁচা থেকে নামে না, সেটা কন্ঠার হাড় আর পিঠের দিকের ডানা ধরনের হাড় (স্ক্যাপুলা) দুইটার মাঝে থেকে ঝুলে থাকে। ফলে সবসময়েই বুকের খাঁচা থেকে তার একটা দুরত্ব থাকে। নীচের ছবিটাতে ব্যাপারটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হল।
পিঠের কমলা স্ক্যাপুলা আর সামনের নীল কন্ঠার হাড়ের মাঝামাঝি হাতটা ঝুলে থাকে

এবারে পা। পা কোমড়ের ঠিক দুই পাশ থেকে নামে, আর কোমড়টা আমরা আগেই জানি কিছুটা সামনের দিকে বেঁকে থাকে।

শেষে এসে সেই স্ট্রেইট কার্ভের সহজ নিয়মে মাসল বসানো হয়েছে।

আরো ভালভাবে বুঝতে গেলে এখানে একটা মজার জিনিস দেখা যাবে। সেটা হল, পায়ের প্রথম হাড়টা (ফিমার) কোমড় থেকে একটু কোণাকুণিভাবে বাইরের দিকে ছড়িয়ে যায়, আর তার একটু পরেই সেটা আবার ভেইতরের দিকে বেঁকে থাকে। মানে বাইরে থেকে আমাদের পা যতই সোজা দেখাক না কেন সেটা আসলে ভিতরে একবারে বাঁকা ধরনের একটা জিনিস। প্রথম জয়েন্ট টা 'বল-সকেট' পরেরটা (মানে হাঁটু) হিঞ্জ।
হাঁটুর সংযোগটা একেবারে অন্যরকম, এখানে দুইটা শক্ত হাড় মাঝখানে আরেকটা ছোট গোল চাকতি ধরনের হাড়ের সাথে এসে (যাকে আমরা হাঁটুর বাটি বা মালাই চাকি বলি) মেশে। মাসলে গিয়ে এটা আমরা আরো সহজে বুঝবার চেষ্টা করব

এই বাঁকা পা দুটোর ওপর দিয়ে বিভিন্ন রকম মাসল আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে তাকে আবার সোজা বানিয়ে দেয়।পায়ের এই বক্রতা বোঝাটা আমাদের ফিগার ড্রয়িং এর ক্ষেত্রে অনেক জরুরী। আমরা পরে গিয়ে এর মাহাত্ম্যটা দেখতে পাব আশা রাখি। 
আজ এটুকুই।




No comments:

Post a Comment

হ্যাংওভার কাটিয়ে

একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...