October 28, 2011
October 24, 2011
স্কেচ ফ্রম অগ্রণী ব্যাংক
আজকাল চারিদিকে অনেক মজার মজার ক্যারেকটার দেখি, সেগুলো দেখলে হাত নিশপিশ করে আঁকবার জন্যে, সেদিন পানির বিল দিতে গিয়েছিলাম ব্যাংক এ, প্রায় ঘন্টাখানেক টানা দাঁড়িয়ে শুধু চারিদিকের বিভিন্ন চরিত্র দেখলাম। একটু খেয়াল করে দেখলে আসলে মনে হয় যেন কমিক বইয়ের থেকে উঠে আসা সব চরিত্র দেখছি। সেগুলো মনে করে করে বাসায় ফিরে এঁকে ফেললাম।
প্রথমজন ব্যাংক এর ম্যানেজার, একটু পর পর তাঁর বিশাল বপু নিয়ে হাতে রাজ্যের কাগজ নিয়ে দৌড়ে এক টেবিল থেকে আরেক টেবিল করছেন। দ্বিতীয়জন ম্যানেজারকে দেখেই সটান দাঁড়িয়ে পুরো-আপনি হুজুর যা বলেছেন চমৎকার_ এই ধরণের মুখভঙ্গী করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর পরের জন অনবরতঃ পান চিবুচ্ছে আর সবাইকে ধমকাচ্ছে, ইনি নিম্নপদস্থ কেউ, কিন্তু যে কোন লাইনের টোকেন উনার হাত থেকে নিতে হয় বলে বেশ গরমে থাকেন। এর পরের দুইজন বিল দিতে এসেছিলেন এক সাথে, দুইজনের কন্ট্রাস্ট হাইট। লম্বাজন আবার খাটোজনের কাঁধে সবসময় একটা হাত রেখে হাঁটছেন। এর পরের ভদ্রলোক যেন পারসিপলিস থেকে উঠে এসেছেন। পুরো ঘণ প্যাঁচানো দাঁড়ি। তারের মত শক্ত একটা ফর্ম তৈরি করেছে। শেষের ভদ্রমহিলা ভেতরে বসে মানিগ্রামের সফটোয়্যার অপারেট করছিলেন, চেহারা দেখে মনে হচ্ছিলো অফিসের সবচেয়ে অসুখী মানুষ।
আসলে আজকাল এইসব দেখতে দেখতে এত মজা লাগে যে বোরিং লাইনে দাঁড়ানো-ও বেশ মজাদার ব্যপার হয়ে ওঠে।
সামনে আরো এঁকে তুলবো আশা করি।
October 22, 2011
মৎসিনী
কমিক্স আঁকছি,
মোট ৩৬ পৃষ্ঠার।
জান কালা হয়ে যাচ্ছে। তবে দারুণ আনন্দ পাচ্ছি, আরো যেটা বলার সেটা হল- অনেক কিছু শিখছি। বিশেষ করে ক্যারেক্টার ডিজাইন পার্টটা। প্রায় দিনই একাধিক সব ক্যারেকটার মাথায় কিলবিল করছে। কিন্তু আঁকতে গিয়ে দেখি তা আসলে চর্বিতচর্বনই হচ্ছে বারবার। কাহিনীর প্রয়োজনে এবারে দরকার হল মৎসকন্যা টাইপ কিছু একটা ডিজাইন করা। মারমেইড বলতেই ত সেই ডেনমার্কের লিটিল মারমেইড চোখে ভাসে, তার বাইরে আসলে কিভাবে যাওয়া যায়? আসলে ব্যপারটা খুব একটা কঠিন না। ঠিক নাকের নিচে চোখের পাশের বস্তুগুলি ঘাটলেই আসলে নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়। মারমেইড ভাবতে তাই আমি চলে গেলাম ছোটবেলাতে রেখে আসা বাড্ডার বেনোবিলে। কি যে অসাধারণ সেই বিল। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ লক্ষকোটিবার দেখা সেই কচুরীপানাই আবার মন কাড়লো। এই একটা ফুল এত সুন্দর। হুমায়ূন আজাদএর 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না' পড়েছেন? সেখানে উনি এই ফুলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল বলেছেন। আমি একমত। এমন নরম বেগুনীর সাথে হলদে রঙ যে এত দারুণ করে মেশে! যাই হোক ক'টা পাতা আর ফুল তুলে নিয়ে এলাম, কারণ ছোটবেলার একটা ফ্যন্টাসী দৃশ্য মনে পড়ে গেল। ভরা বরষায় বাড্ডার বেনোবিল যখন থত্থরে কম্পমান, আমি স্কুল ফাঁকি দিতে পেরে যার পর নাই আনন্দিত মনে ফকির বাড়ির জারুল গাছটায় পা ঝুলিয়ে কই মাছের আশায় বরশি পেতে বসে, ঠিক তখন বিল ভর্তি কচুরিপানাগুলি যেন হঠাৎ করে হয়ে যেত একদল মারকন্যা, ফুলগুলি দেখে মনে হত তাদের মুখ, পাতাগুলি তাদের সবজে তরল চুল, বেতসের দেহ বরষার তালে তালে কাঁপছে। ঘোর লেগে যেত।
সেই বয়ঃসন্ধির ফ্যান্টাসিটাই আবার ঝেঁড়েপুছে আঁকতে বসে গেলাম, যা দাঁড়ালো তা অনেকটা এই,
জানি না এই বস্তু নতুনপাতার পৃ বয়ঃসন্ধির পোলাপান কীভাবে নেবে (আসলে পৃ বয়ঃসন্ধিতে কেউ কি আদৌ পোলাপান থাকে?)
তবে আমি এঁকে সেই ঘোরের আবহটা আবার অনেকদিন পরে ফিরে পেয়েছি, বেঁচে থাকো বেনোবিল।
মোট ৩৬ পৃষ্ঠার।
জান কালা হয়ে যাচ্ছে। তবে দারুণ আনন্দ পাচ্ছি, আরো যেটা বলার সেটা হল- অনেক কিছু শিখছি। বিশেষ করে ক্যারেক্টার ডিজাইন পার্টটা। প্রায় দিনই একাধিক সব ক্যারেকটার মাথায় কিলবিল করছে। কিন্তু আঁকতে গিয়ে দেখি তা আসলে চর্বিতচর্বনই হচ্ছে বারবার। কাহিনীর প্রয়োজনে এবারে দরকার হল মৎসকন্যা টাইপ কিছু একটা ডিজাইন করা। মারমেইড বলতেই ত সেই ডেনমার্কের লিটিল মারমেইড চোখে ভাসে, তার বাইরে আসলে কিভাবে যাওয়া যায়? আসলে ব্যপারটা খুব একটা কঠিন না। ঠিক নাকের নিচে চোখের পাশের বস্তুগুলি ঘাটলেই আসলে নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়। মারমেইড ভাবতে তাই আমি চলে গেলাম ছোটবেলাতে রেখে আসা বাড্ডার বেনোবিলে। কি যে অসাধারণ সেই বিল। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ লক্ষকোটিবার দেখা সেই কচুরীপানাই আবার মন কাড়লো। এই একটা ফুল এত সুন্দর। হুমায়ূন আজাদএর 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না' পড়েছেন? সেখানে উনি এই ফুলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল বলেছেন। আমি একমত। এমন নরম বেগুনীর সাথে হলদে রঙ যে এত দারুণ করে মেশে! যাই হোক ক'টা পাতা আর ফুল তুলে নিয়ে এলাম, কারণ ছোটবেলার একটা ফ্যন্টাসী দৃশ্য মনে পড়ে গেল। ভরা বরষায় বাড্ডার বেনোবিল যখন থত্থরে কম্পমান, আমি স্কুল ফাঁকি দিতে পেরে যার পর নাই আনন্দিত মনে ফকির বাড়ির জারুল গাছটায় পা ঝুলিয়ে কই মাছের আশায় বরশি পেতে বসে, ঠিক তখন বিল ভর্তি কচুরিপানাগুলি যেন হঠাৎ করে হয়ে যেত একদল মারকন্যা, ফুলগুলি দেখে মনে হত তাদের মুখ, পাতাগুলি তাদের সবজে তরল চুল, বেতসের দেহ বরষার তালে তালে কাঁপছে। ঘোর লেগে যেত।
সেই বয়ঃসন্ধির ফ্যান্টাসিটাই আবার ঝেঁড়েপুছে আঁকতে বসে গেলাম, যা দাঁড়ালো তা অনেকটা এই,
জানি না এই বস্তু নতুনপাতার পৃ বয়ঃসন্ধির পোলাপান কীভাবে নেবে (আসলে পৃ বয়ঃসন্ধিতে কেউ কি আদৌ পোলাপান থাকে?)
তবে আমি এঁকে সেই ঘোরের আবহটা আবার অনেকদিন পরে ফিরে পেয়েছি, বেঁচে থাকো বেনোবিল।
কমিক্স থেকে এক পৃষ্ঠা |
October 08, 2011
A god has been died
''Have the courage to follow your heart and intuition.''
________________________________________Steve Jobs
________________________________________Steve Jobs
Subscribe to:
Posts (Atom)
হ্যাংওভার কাটিয়ে
একটা সময় ছিল সব জায়গায় লেখা থাকতো (অবশ্যই এখনো আছে) 'রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ'। এখন অবস্থা উলটো। এখন যেন রাজনীতি ছাড়া অন্য আলাপ জমেই না। ...
-
আইডিয়া পাওয়া বা ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদিকে এখনো আমাদের সমাজে একটা অলৌকিক প্রতিভা হিসেবে ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যও বটে। ত...
-
দীর্ঘ দশ মাস পর ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের নবম-দশম শ্রেণির ৫ টা (গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) ও আর্টস ও কমার্স বি...
-
এইবার আমরা হুইলের আসল কাজটা দেখি। মানে রঙ করার সময় এটা আসলে কি কাজে লাগে। একটা ছবি রঙ করার সময় আসলে মূল যে ব্যপারটা মাথায় আগে আনতে হবে সেটা ...