বাংলাদেশ কার্টুন ফেস্ট এর দ্বিতীয় অনুষ্ঠান অবশেষে হল। গত বছর দুই দুইবার গ্যালারি বুইং দেবার পরেও রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে প্রোগ্রাম পছাতে হয়। অবশেষে, সেই দৃক গ্যালারিতেই ১৫,১৬,১৭ ই এপ্রিল প্রদর্শনী হল। যথারীতি ভীড়ে ভীরাক্কার। পা ফেলার জায়গা নাই ধরনের অবস্থা। বাংলাদেশের আর কোন প্রদর্শনীতে এত ভীড় আর হয় না। তারোপর এখানে আবার ছিলো ফৃ লাইভ ক্যারিকেচার। সেদিন আহসান ভাই (আহসান হাবীব) বলছিলেন-
লিংক ০১
লিংক ০২
এই যে কার্টুনিস্ট ছেলে মেয়েগুলা একটানা সারাদিন ফর ফৃ টানা আঁকলো এটা কি দারুণ একটা ব্যাপার না? আর যার ক্যারিকেচার করা হল সে সেটা দেখার পর যে হাসিটা দেয় সেটা দেখতেও তো ভালো লাগে। অন্যান্য ইভেন্টগুলিতে এই ব্যাপারটা মিসিং। মন থেকে ভালোবেসে মানুষের জন্যে কিছু করা হয় না। সব কিছুতেই ব্র্যান্ডিং আর ব্যবসার গন্ধ।সব শেষে দৃক এ ঘুরতে ঘুরতে নস্টালজিক হয়ে গেলাম। মনে পড়লো ১৫ বছর আগের থেকে দেখা সেই স্বপ্ন। একদিন এরকম ভাবে একটা ফেস্টিভ্যাল টাইপ কিছু করবো। সবাই সেটা দেখে মজা পাবে, আর অন্তত কার্টুনের ফ্রেমগুলি দৈন্য দশা থেকে বের হয়ে আসবে ঝাঁ চকচকে প্রেজেন্টেশন হবে। (এর জন্যে একটা বিরাট ধন্যবাদ পাওনা সব কার্টুনিস্টদের আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট শোরগোলের ছোট বড় ভাইদের।) জীবদ্দশায় গোল পূরণ হবার একটা সমস্যা আছে। এর পর কি করবো সেটা ভাবতে ভাবতে মাঝে একটা হতাশা চলে আসতে পারে। সেদিন স্টিফেন ফ্রাই নামের এক আমেরিকান কমেডিয়ানের ইন্টারভিউ শুনছিলাম, উনি বলছিলেন- নেভার সেট আ গোল। তাহলে দুইটা সমস্যা, যদি গোল পূরণ হয় তবে তারপর কী করবে খুঁজে না পেয়ে হতাশ লাগবে, আর যদি গোল পূরণ না হয় তবে তো পুরোটাই হতাশা। যাই হোক, হতাশা আসার আগেই আবার পরের কমিক্স নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আর প্রদর্শনীর আরো ডিটেইল এখানে না লিখে আজকের প্রথম আলোর ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলোতে বের হওয়া আমার লেখাটা এখানে তুলে দি'
লিংক ০১
লিংক ০২
প্রদর্শনীর শুরুতে |
মঞ্চে বাম থেকে আমি, সিম্পোজিয়াম পত্রিকার সম্পাদক ইফফাত হোসেন (ইভেন্টের স্পন্সর), কার্টুনিস্ট জাহিদ হাসান বেনু, বস আহসান হাবীব |
আমেরিকান সেন্টার এর স্পোকস্ম্যান কেলি ম্যাক্কার্থি। আমার করা ক্যারিকেচার নিয়ে হাস্যমূখী। মহিলা কার্টুন খুবই পছন্দ করেন। |
ইন্ডিপেন্টডেন্ট টিভির নিউজ কাস্টার ক্যারিকেচার হাতে- এরপরেরগুলিও আমার করা কিছু লাইভ ক্যারিকেচার |
শান্ত ভাইয়ের স্মরণে তাঁর নামে একটা পদক চালু করা হয়েছে এবার থেকে এবারের শান্ত পদক কার্টুনিস্ট রাজীব এর হাতে। |